BN/Prabhupada 0974 - আমাাদের মহত্ত্ব হচ্ছে আমরা খুবই ক্ষুদ্র, আর ভগবান হচ্ছেন বিশাল

Revision as of 07:08, 19 August 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730408 - Lecture BG 04.13 - New York

চাতুর বর্ণম্‌ ময়া সৃষ্টং
গুণ কর্মবিভাগশঃ
তস্য কর্তারমপি মাং
বিদ্ধ্যকর্তারমব্যয়ম্‌
(গীতা৪.১৩)।

এটি ভগবদ্গী‌তার শ্লোক। তোমরা অনেকেই এই গ্রন্থটি সম্পর্কে জান। এটি জ্ঞানের খুব বিখ্যাত গ্রন্থ। এবং আমরা শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ উপস্থাপন করছি। এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন মানে শ্রীমদ্ভগবদগীতাকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা, কোনরকম ভেজাল ছাড়া।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চার ধরণের মানুষের কথা বলেছেন, চাতুর্বণ্যং...। চাতুর্বণ্যং মানে "চার", এবং বর্ণ মানে "সামাজিক বিভাজন"। ঠিক যেমন বর্ণ মানে রং। যেহেতু রঙের বিভাগ রয়েছে, লাল, নীল এবং হলুদ, একইভাবে মানব, মানব সমাজকে গুণ অনুযায়ী ভাগ করা উচিত। এই গুণটিকে রংও বলা হয়। চাতুর্বণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণ কর্মবিভাগশঃ (গীতা ৪.১৩) এই ভৌতিক জগতে তিন ধরণের গুণ রয়েছে। তিনটি গুণ। অথবা তিনটি রং। লাল, নীল এবং হলুদ। এগুলোর মিশ্রণ করো। তখন তুমি ৮১ টি রং পাবে। তিনটি রং, তিনের সাথে তিন গুণ, এটি ৯ হয়ে যাবে। নয় এর সাথে নয় গুণ। এটি ৮১ হয়ে যাবে। এখানে ৮৪ লক্ষ প্রকারের জীব রয়েছে। এই বিভিন্ন ধরণের গুণের প্রভাবে তৈরি। প্রকৃতি বিভিন্ন ধরণের দেহ তৈরি করছে। জীব কোন নির্দিষ্ট প্রকারের গুণের সঙ্গ করে তার প্রভাব অনুযায়ী।

জীব হচ্ছে ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মনে কর ভগবান অনেক বড় আগুন এবং জীব হচ্ছে তার স্ফুলিঙ্গ। স্ফুলিঙ্গ সমূহ, তারাও আগুন। স্ফুলিঙ্গও, যদি একটি স্ফুলিঙ্গ তোমার গায়ে অথবা জামায় পরে, এটি পুড়ে যাবে। কিন্তু এটি বড় আগুনের মতো শক্তিশালী নয়। একইভাবে,ভগবান সর্বশক্তিমান। ভগবান মহান। আমরা ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই আমাদের মহানুভবতা খুব, খুব ছোট, অসীম। ভগবান মহান। তাই, তিনি অনন্ত বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন। আমরা এমনকি একটি ব্রহ্মাণ্ডেরও সবকিছুর হিসাব রাখতে পারব না। এই এক ব্রহ্মাণ্ড যা আমরা দেখি, আকাশ, গম্বুজ, সেই আকাশের মধ্যে, বাহ্যিক স্থান, সেখানে লক্ষ কোটি তারা ও গ্রহ রয়েছে। তারা ভাসছে। বাতাসে ভাসছে। সবাই জানে।