BN/Prabhupada 0979 - ভারতের অবস্থা অত্যন্ত নৈরাজ্যকর

Revision as of 07:09, 19 August 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730408 - Lecture BG 04.13 - New York

প্রভুপাদঃ এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন মনুষ্য সমাজে কিছু মস্তিষ্ক তৈরি করছে। ব্রাহ্মণ। এবং এই মস্তিষ্ক...ব্রাহ্মণের কাজ হল... ব্রাহ্মণ, এই শব্দটি এসেছেঃ

নমো ব্রহ্মন্য-দেবায়
গো-ব্রাহ্মন্য-হিতায় চ্‌,
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায়
গোবিন্দায় নমো নমঃ
(চৈতন্য চরিতামৃত মধ্য ১৩.৭৭, বিষ্ণু পুরাণ ১.১৯.৬৫)

ব্রাহ্মণ মানে যিনি ভগবানকে জানেন। তিনিই ব্রাহ্মণ। এবং ভগবানকে সামনে রেখে, তারা অন্যদের ভগবৎ ভাবনাময় হওয়ার শিক্ষা দেয়। ভগবৎ ভাবনাময় ছাড়া, মনুষ্য সমাজ হচ্ছে পশু সমাজ। পশুরা ভগবৎ ভাবনাময় হতে পারে না, যাই হোক তুমি পশুদের মাঝে প্রচার করে যেতে পার, বেড়াল এবং কুকুরদের। এটি সম্ভব নয়। কারণ তাদের কোন মস্তিষ্ক নেই ভগবানকে বোঝার। মনুষ্য সমাজে, যদি কোন ব্রাহ্মণ না থাকে যে ভগবান সম্পর্কে শিক্ষা দেবে, যিনি মানুষকে ভগবদ্‌ চেতনায় উন্নীত করবেন, তবে এটিও পশুসমাজে পরিণত হবে। শুধু আহার, নিদ্রা, মৈথুন এবং আত্মরক্ষা, এগুলো পশুদেরও কাজ। পশুরাও জানে কীভাবে খেতে হয়, কীভাবে ঘুমাতে হয়, কীভাবে মৈথুন সঙ্গ উপভোগ করতে হয়, কীভাবে আত্মরক্ষা করতে হয়। তারা তাদের মত করে জানে।

তাই শুধুমাত্র এই কাজগুলো জানার মানে এই না যে, সে মানুষ। তাহলে মানুষ, মনুষ্য জাতির উদ্দেশ্য সফল হবে না। সেখানে চার বর্ণের মানুষ থাকতে হবে, যেমন শ্রীকৃষ্ণ বলেছেনঃ চাতুর্বণ্যং ময়া সৃষ্টং (গীতা ৪.১৩) সেখানে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য শ্রেণীর মানুষ থাকতে হবে... তারা ইতিমধ্যে সেখানে আছে। কিন্তু তারা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে নেই, যেমনটি ভগবদ্‌গীতায় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। চাতুর্বণ্যং ময়া সৃষ্টং (গীতা ৪.১৩). এগুলো গুণ-কর্ম- বিভাগশঃ। গুণঃ মানে গুণ অনুসারে। ভারতবর্ষে, এই চার শ্রেণীর মানুষ রয়েছে, কিন্তু তারা নামে মাত্র আছে। প্রকৃতপক্ষে এটিও বিশৃঙ্খল হয়ে আছে। কারণ কেউ ভগবদগীতার নির্দেশনা পালন করছে না, গুণ-কর্ম-বিভাগশঃ ভারতবর্ষে, যদিও একজন ব্যক্তি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তার গুণ, যোগ্যতা, শুদ্রের থেকেও কম, কিন্তু তারপর সে ব্রাহ্মণ বলে গ্রহণযোগ্য। সেটাই সমস্যা। তাই ভারতের অবস্থা এত বিশৃঙ্খল। কিন্তু এটি একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক পন্থা। তোমরা পাশ্চাত্য দেশবাসীরা, তোমাদের এটি বোঝা উচিত। এবং আমাদের ছেলেমেয়েরা, যারা যোগদান করেছে, তারা বুঝতে চেষ্টা করছে, এবং নীতিগুলো কার্যকর করছে। তাই তোমরা যদি এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন গ্রহণ কর, যা ব্রাহ্মণের উপযুক্ত, যদি তোমরা ব্রাহ্মণ গুণ প্রাপ্ত হও, তাহলে তোমাদের, পাশ্চাত্য দেশগুলো... বিশেষ করে আমেরিকা, তারা প্রথম শ্রেণীর জাতি হবে। তারা প্রথম শ্রেণীর জাতি হবে। তোমাদের বুদ্ধিমত্তা আছে। তোমাদের সম্পদ আছে। তোমরাও জিজ্ঞাসু। তোমারা ভাল জিনিস গ্রহণ কর। তাই তোমরা ভালো গুণ পেয়েছ। তোমার এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন ঐকান্তিকভাবে গ্রহণ কর এবং তোমরা বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর জাতি হয়ে উঠবে। এটা আমার অনুরোধ।

অসংখ্য ধনবাদ। হরে কৃষ্ণ।

ভক্তবৃন্দঃ জয়, শ্রীল প্রভুপাদের জয় হোক!