BN/Prabhupada 0980 - আমরা জাগতিক সমৃদ্ধির দ্বারা সুখী হতে পারি না, এটিই বাস্তব সত্যি

Revision as of 14:10, 17 August 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0980 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


720905 - Lecture SB 01.02.06 - New Vrindaban, USA

প্রদ্যুম্নঃ অনুবাদঃ সমস্ত মানুষের পরম ধর্ম হচ্ছে সেই ধর্ম যার দ্বারা ইন্দ্রিয়জাত জ্ঞানের অতীত শ্রীকৃষ্ণে অহৈতুকী এবং অপ্রতিহতা ভক্তি লাভ করা যায়। সেই ভক্তিবলে অনর্থ নিবৃত্তি হয়ে আত্মা যথার্থ প্রসন্নতা লাভ করে।"

প্রভুপাদঃ তো...

স বৈ পুংসাং পরো ধর্মঃ
যতো ভক্তিরধোক্ষজে
অহৈতুক্যপ্রতিহতা
যয়াত্মা সুপ্রসীদতি
(ভাগবত ১.২.৬)

প্রত্যেকে সন্তুষ্ট হতে চায়, আত্যন্তিকষু প্রত্যেকে বাঁচার জন্য চরম সুখ পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে। কিন্তু এই জড় জগতে, যদিও তারা ভাবছে যে জাগতিক সম্পদ আহরণ করে তারা সন্তুষ্ট হবে, কিন্তু তা সত্য নয়। উদাহরণস্বরূপ তোমাদের দেশে, তোমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ধন সম্পদ পেয়েছ অন্য দেশের তুলনায়, কিন্তু তবুও কোন সন্তুষ্টি নেই। জাগতিক আনন্দ উপভোগের সমস্ত ভাল ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও, যথেষ্ট খাবার, যথেষ্ট... সুন্দর এপার্টমেন্ট, মোটর গাড়ী, রাস্তা, এবং মৈথুন স্বাধীনতার জন্য খুব ভাল ব্যবস্থা, এবং আত্মরক্ষার জন্যও খুব ভাল ব্যবস্থা- সবকিছুই পূর্ণ- কিন্তু তারপরও মানুষ অসন্তুষ্ট, দ্বিধাগ্রস্ত, এবংতরুণ প্রজন্ম, তারা হিপিতে পরিণত হচ্ছে, প্রতিবাদী, বা অসন্তুষ্ট কারণ তারা খুশি নয়। আমি বেশ কয়েকবার উদাহরণটি বলেছি যে লস্‌ এঞ্জেলেসে, আমি যখন বেভার্লি‌ হিলস্‌- এ প্রাতঃভ্রমণ এ বেরিয়েছিলাম, অনেক হিপ্পিরা খুব সম্মানজনক এক বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছিল। দেখে মনে হচ্ছিল এটি তার বাবার, তার একটি সুন্দর গাড়িও ছিল, কিন্তু তার বস্ত্রটি ছিল হিপ্পি। সুতরাং ,জাগতিক আয়োজনের পেছনে একটি প্রতিবাদ রয়েছে, তারা তা পছন্দ করে না। আসলে আমরা জাগতিক সমৃদ্ধির দ্বারা সুখী হতে পারি না, এটিই বাস্তব সত্যি। তা শ্রীমদ্ভা‌গবতমেও উল্লেখ করা আছে। প্রহ্লাদ মহারাজ তার নাস্তিক পিতাকে বলেছিলেন... তার পিতা ছিলেন হিরণ্যকশিপু। হিরণ্য মানে সোনা এবং কশিপু মানে নরম শয্যা, বালিশ। সেটাই জাগতিক সভ্যতা। তারা খুব নরম শয্যা এবং শয্যা সঙ্গী চায়, এবং পর্যাপ্ত ব্যাংক সঞ্চয়, টাকা। এটা হিরণ্যকশিপুর অন্য অর্থ। সেও সুখী ছিল না। হিরণ্যকশিপু খুশি ছিলেন না- অন্তত তিনি সুখী ছিলেন না যে, তার পুত্র প্রহ্লাদ ভগবানের একজন ভক্ত ছিলেন, যা তিনি পছন্দ করতেন না। তিনি তার পুত্র কে জিজ্ঞাসা করলেন যে " তুমি কেমন অনুভব করছ? তুমি একজন ছোট বালক, শিশু, তুমি কিভাবে এত ভাল করছ আমার সব হুমকি সত্ত্বেও। তাহলে তোমার আসল সম্পদ কী?" তিনি উত্তর দিলেন, "প্রিয় পিতা, ন তে বিদুঃ স্বার্থগতিং হি বিষ্ণুং (ভাগবত ৭.৫.৩১)। মূর্খরা, তারা জানে না যে তাদের অন্তিম আনন্দের লক্ষ্য হচ্ছে বিষ্ণু, ভগবান, পরমেশ্বর ভগবান।" দুরাশয়া যে বহিরর্থমানিনঃ (ভাগবত ৭.৫.৩১)। দুরাশয়া, দূর, আশার বিপরীতে আশা, তারা এমন কিছু আশা করছে যা কখনও পূরণ করা সম্ভব নয়। সেটা কি? দুরাশয়া যে বহিরর্থমানিনঃ (ভাগবত ৭.৫.৩১)।