BN/Prabhupada 0999 - আত্মবিৎ মানে যিনি আত্মাকে জানেন

Revision as of 06:08, 18 August 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0999 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730406 - Lecture SB 02.01.01-2 - New York

কৃষ্ণসমপ্রশ্নঃ, শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কিত এইসমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর, আমরা যদি শুধু শ্রবণ করি, এটি হচ্ছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উপদেশ। স্থানে স্থিতাঃ শ্রুতিগতাং তনুবাংমনোভিঃ। তুমি তোমার সামাজিক অবস্থানে স্থিত থেকেও শ্রীকৃষ্ণ সম্বন্ধে শোনার চেষ্টা কর। এই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তোমরা শুধু এই মন্দিরে আস আর শ্রবণ কর। স্থানে স্থিতাঃ শ্রুতিগতাং তনুবাং। এটিই তোমাদেরকে পবিত্র করবে, শ্রীকৃষ্ণের নাম অত্যন্ত শক্তিশালী, তোমরা যদি শুধু শ্রবণ কর "কৃষ্ণ, কৃষ্ণ, কৃষ্ণ, কৃষ্ণ, কৃষ্ণ," তোমরা শুদ্ধ হয়ে উঠবে। তোমরা পবিত্র হয়ে উঠবে। তাই এটি বলা হয়েছে, বরীয়ানেষ তে প্রশ্নঃ কৃতো লোকহিতং নৃপ, আত্মবিৎসম্মতঃ (শ্রীমদ্ভাগবত ২.১.১)। আত্মবিৎ। এটি এমন নয় যে আমি শুধুই প্রশংসা করছি। আত্মবিৎসম্মতঃ। সমস্ত আত্মোপলব্ধ ব্যক্তিরা, আত্মবিৎ। আত্মবিৎ মানে যিনি আত্মাকে জানেন। সাধারণ মানুষ আত্মা সম্পর্কে জানে না। কিন্তু আত্মবিৎ মানে যিনি আত্মাকে জানেন, অহং ব্রহ্মাস্মি, "আমি হচ্ছি চিন্ময় আত্মা, আমি এই দেহ নই," আর যিনি আত্মতত্ত্ব সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত। তাই কেউ এই আত্মতত্ত্ব সম্পর্কে অবগত না হয়ে সে যাই করছে, তাতেই সে পরাজিত হচ্ছে। তারা দেখছে... সাধারণত মানুষ এভাবে চিন্তা করে যে "আমি একটি আকাশচুম্বী অট্টালিকাটি তৈরি করেছি। এখন আমি সফল। আমি রথসচাইল্ড হয়েছি, আমি ফোর্ড হয়েছি।" এটি আত্মবিৎ নয়। আত্মবিৎ... জাগতিকভাবে ঐশ্বর্যশালী হলেই তাকে আত্মবিৎ বোঝায় না। এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী শ্লোকে আলোচনা করা হবে, অপশ্যতাম্‌ আত্মতত্ত্বং (শ্রীমদ্ভাগবত ২.১.২)। সে তার আত্মাকে দেখতে পায় নাঃ গৃহেষু গৃহমেধিনাম্‌। তারা জীবনের জাগতিক বিষয়গুলো নিয়ে নিবিড়ভাবে মগ্ন থাকে, গৃহেষু গৃহমেধিনাম্‌। তাদের অবস্থা খুবই... প্রকৃতপক্ষে এটিই হচ্ছে সারা পৃথিবীর অবস্থা। তারা আত্মবিৎ নয়। তারা আত্মতত্ত্ব অনুসন্ধান করে না; তাই তারা অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন। বিমানবন্দরে আমি বলছিলাম যে, আমাদের কার্যক্রম হচ্ছে মানুষকে উন্নত বুদ্ধিসম্পন্ন করা। তারা হয়ত এটাকে খুব ভালোভাবে নেয় নি। তারা ভাবে যে "এই গরীব স্বামীজি আমাদেরকে বুদ্ধিমান বানাতে এসেছে।" কিন্তু আসলে এটিই সত্য। এটিই ঠিক। এটি বুদ্ধিমত্তা নয়, জীবনের এই দেহগত ধারণা, "আমি আমার সারা জীবন ধরে এই দেহের আরামের জন্য নষ্ট করব আর এই দেহ ত্যাগ করার পর কুকুর বিড়াল হবো।" তাহলে এটা কি ধরণের বুদ্ধি? এটি কি খুব ভালো বুদ্ধি?

প্রকৃতপক্ষে এটিই ঘটছে। আমি আলোচনা করতে চাই না। আমার গুরুভাই শ্রীধর মহারাজ বলেছেন... তিনি একটি পত্রিকা থেকে পড়ছিলেন আমাদের ভারতবর্ষের একজন বড় রাজনৈতিক নেতা তিনি এখন সুইডেনের একটি কুকুর হয়ে এসেছেন। এটি প্রকাশিত হয়েছিল। ভারতের কিছু বিখ্যাত মানুষ সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয়েছিল, এবং তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, একটি উত্তর ছিল, "এই এই রাজনীতিবিদ, সে এখন সুইডেনের এক ভদ্রলোকের দুটো কুকুরের মধ্যে একটি হয়ে এসেছে।" দেখেছ। এই জীবনে আমি অনেক বড় কেউ হতে পারি, বড় রাজনীতিবিদ, বড় কূটনীতিবিদ, বিরাট ব্যবসায়ী, কিন্তু পরবর্তী জীবনে, তোমার মৃত্যুর পর, তোমার জাগতিক বিশালতা, তোমার মহত্ত্ব তোমাকে সাহায্য করবে না। এটি তোমার কর্মের ওপর নির্ভর করছে, আর প্রকৃতি তোমাকে একটি বিশেষ ধরণের দেহ দিবে, তোমাকে সেটিই গ্রহণ করতে হবে। অবশ্য তুমি ভুলে যাবে। এটি হচ্ছে প্রকৃতি প্রদত্ত একটি ছাড়। যেমন ধর তুমি ভুলে যাবে আগের জীবনে তুমি কি ছিলে। মনে কর যদি আমি স্মরণ রাখতে পারতাম যে আগের জীবনে আমি একজন রাজা ছিলাম, এখন আমি একটি কুকুর হয়েছি, তাহলে এটি কতোটা যন্ত্রণাদায়ক হতৎ। তাই প্রকৃতির নিয়মেই একজন তা ভুলে যায়। আর মৃত্যু মানে হচ্ছে এই বিস্মরণ। মৃত্যু মানে এই ভুলে যাওয়া।