BN/Prabhupada 1032 - জড় শক্তি থেকে আধ্যাত্মিক শক্তিতে যাওয়ার পদ্ধতি

The printable version is no longer supported and may have rendering errors. Please update your browser bookmarks and please use the default browser print function instead.


740628 - Lecture at St. Pascal's Franciscan Seminary - Melbourne

মধুদিষাঃ আমি জানি আপনি উৎসুক হতে পারেন মহাশয়কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য। সুতরাং যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনি আপনার হাত তুলতে পারেন এবং তারপর আমরা প্রশ্ন করতে পারি, এখন যদি আপনি চান। (দীর্ঘ বিরতি) কোন প্রশ্ন নেই? এর মানে হল যে সবার এতে সন্মতি আছে। (হাসি)

প্রভুপাদঃ পুর্ন সন্মতি, এটা ভাল।

অতিথি (1): আপনার ভক্তরা বলছেন যে আপনার লক্ষ্য রোগের অস্তিত্বকে অতিক্রম করা। আমি ওটা করার পদ্ধতি বুঝতে পারিনি, কিন্তু এই রোগকে অতিক্রম করতে পারলে তবে তার অন্তিম ফলাফলটি সম্পর্কে আপনি কি বলতে পারবেন?

প্রভুপাদঃ কি সেটা?

মধুদিষাঃ কৃষ্ণ ভাবনামৃত, প্রক্রিয়াটি হচ্ছে জড় অস্তিত্বের রোগ অতিক্রম করা। তার প্রশ্নের প্রথম অংশ, "কিভাবে এটা করতে হয় ?" তার প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশ, "প্রক্রিয়ার গ্রহণ করার পরে শেষ ফলাফল কি?"

প্রভুপাদঃ প্রক্রিয়াটি হচ্ছে আপনি জড় শক্তি থেকে আধ্যাত্মিক শক্তিতে যাও। আমরা শক্তির অধীনে আছি ভগবানের দুটি শক্তি আছে জড় শক্তি এবং আধ্যাত্মিক শক্তি। আমরাও শক্তি, আমরা তটস্থা শক্তি। তাই তটস্থা শক্তির অর্থ আমরা জড় শক্তি অথবা আধ্যাত্মিক শক্তির অধীন থাকতে পারি, যেমন আমরা পছন্দ করি। তটস্থা... যেমন আপনি সমুদ্রের পাড়ে পাবেন, কখনও কখনও জল সীমানাকে, জল ভূমিকে ঢেকে ফেলে এবং কখনও কখনও ভূমি খালি থাকে। একে তটস্থা স্থিতী বলা হয়। একইভাবে, আমরা ভগবানের তটস্থা শক্তি, জীব। তাই আমরা জলের নিচে থাকতে পারি মানে জড় শক্তি, অথবা আমরা খোলা থাকতে পারি, আধ্যাত্মিক শক্তির অধীনে।