"ঠিক যেমন আমাদের গান্ধীজি, তিনি ভগবদ্গীতার দ্বারা অহিংসা নীতির প্রযোজ্যতা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভগবদ্গীতা যেখানে বলা হয়েছিল সেটা ছিল যুদ্ধক্ষেত্র, যা ছিল সম্পূর্ণরূপে হিংসাত্মক। তো, গান্ধীজি কিভাবে এর দ্বারা অহিংসা নীতি প্রমান করবেন? গতিকে তিনি নিজের মনগড়া অর্থ বের করেছিলেন এর থেকে। এটা খুবই অসঙ্গতিপূর্ণ, আর যে ব্যক্তি গীতার এইরূপ ভাষ্য পরবে তার সর্বনাশ হবে। তার সর্বনাশ হবে কারণ ভগবদ্গীতার জ্ঞান এজন্যই দেওয়া হয়েছে যাতে তোমার কৃষ্ণচেতনা জাগ্রত হয়। যদি এর দ্বারা ব্যক্তির কৃষ্ণচেতনা জাগ্ৰত না হয়, তাহলে তা সময়ের ব্যর্থ অপচয়।ঠিক যেমন চৈতন্য মহাপ্রভু একজন ব্রাহ্মণকে আলিঙ্গন করেছিলেন। সেই ব্রাহ্মণ যদিও অশিক্ষিত ছিলেন,কিন্তু ভগবদ্গীতার সার অর্থাৎ ভগবান ও ভক্তের মধ্যে কি সম্পর্ক,সেই জ্ঞান গ্রহণ করেছিলেন। গতিকে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনো সাহিত্যের সার গ্রহণ করতে না পারছি, ততক্ষন সময়ের অপচয় হয়।"
|