BN/680830 প্রবচন - শ্রীল প্রভুপাদ কথামৃতবিন্দু মন্ট্রিয়াল
BN/Bengali - শ্রীল প্রভুপাদ কথামৃতবিন্দু |
"শ্রীমতি রাধারাণী হলেন শ্রীকৃষ্ণের বিস্তার। শ্রীকৃষ্ণ হলেন শক্তিমান, আর শ্রীমতি রাধারানী হলেন শক্তি। ঠিক যেমন শক্তি এবং শক্তিমানকে, তুমি আলাদা করতে পারবে না। আগুন এবং তাপকে আপনি তুমি করতে পারবে না। যেখানে আগুন আছে সেখানে তাপ আছে, এবং যেখানে তাপ আছে সেখানে আগুন আছে, একইভাবে যেখানে শ্রীকৃষ্ণ আছেন সেখানে শ্রীরাধা আছেন। আর যেখানে শ্রীরাধা আছেন সেখানে শ্রীকৃষ্ণ আছেন। তারা অবিচ্ছেদ্য। তাই শ্রীল স্বরূপ দামোদর গোস্বামী শ্রীরাধা এবং শ্রীকৃষ্ণের এই জটিল দর্শনকে এক শ্লোকে বর্ণনা করেছেন, খুব সুন্দর শ্লোক। রাধা কৃষ্ণপ্রণয়বিকৃতির্হ্লাদিনীশক্তিরস্মা–
দেকাত্মানাবপি ভুবি পুরা দেহভেদং গতৌ তৌ। (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আদি ১/৫)। তাই শ্রীরাধা এবং শ্রীকৃষ্ণ একই পরমেশ্বর, তবে রসাস্বাদন করার জন্য, তারা দুই রূপে বিভক্ত। আবার ভগবান শ্রীচৈতন্য এই দুইকে এক করে সম্মিলিত করেন। চৈতন্যাখ্যম্ প্রকটম্ অধুনা। তার অর্থ শ্রীরাধার ভাবে শ্রীকৃষ্ণ। কখনও কখনও শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধার ভাবে থাকেন। কখনও কখনও শ্রীরাধা শ্রীকৃষ্ণের ভাবে থাকেন। এটি চলতে থাকে। তবে সম্পূর্ণ বিষয়টি হলো শ্রীরাধা এবং শ্রীকৃষ্ণ মানে একজন, পরমেশ্বর। " |
৬৮০৮৩০ - শ্রীমতি রাধারাণীর প্রাকট্য দিবস, রাধাষ্টমী উৎসব প্রবচন - মন্ট্রিয়াল |