আমার আজ্ঞায় গুরু হইয়া তাড় সর্ব দেশ
যারে দেখ তারে কহ 'কৃষ্ণ'-উপদেশ(চৈ.চ.মধ্য ৭.১২৮)
"এটি হচ্ছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মিশন। তিনি বলেছেন,'তুমি একজন আধ্যাত্মিক গুরু হও।কিভাবে? আমার কোন যোগ্যতা নেই।না। তুমি শুধু আমার আদেশ গ্রহণ কর।আপনার কি আদেশ প্রভু?' যারে দেখ তারে কহ 'কৃষ্ণ'-উপদেশঃ তুমি শুধু যার সাথে দেখা হবে তাকে কৃষ্ণের উপদেশ দাও। এভাবেই তুমি একজন আধ্যাত্মিক গুরুতে পরিণত হবে। সুতরাং প্রকৃতপক্ষে এটাই ঘটছে। আমরা বিস্ময়কর কোন মানুষ নই। আমাদের কাজ হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ যা বলেছেন ঠিক সেই কথাটাই আমরা বলছি। এই যা। এখানে কোন যাদু নেই। আর এটাই হচ্ছে যাদু। কিন্তু তুমি যদি একটা বদমাশের মতো আবোলতাবোল বলে ভেজাল সৃষ্টি কর, তাহলে তুমি আধ্যাত্মিক গুরু হতে পারোনা। তুমি যদি শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণ যা বলেছেন সেটাই অনুসরণ কর, তাহলে তুমি আধ্যাত্মিক গুরু হতে পার। খুবই সহজ জিনিস। এতে শিক্ষার প্রয়োজন হয় না। তুমি তোমার গুরুদেবের কাছ থেকে শ্রবণ করতে পার যে শ্রীকৃষ্ণ কি বলেছেন, এতে এমনকি সাক্ষরতারও প্রয়োজন হয়না। অনেক মহান ব্যক্তিত্ব আছেন যারা সাধু ছিলেন। আমার গুরুদেবের গুরুদেব যিনি ছিলেন নিরক্ষর, শ্রীল গৌরকিশোর দাস বাবাজি মহারাজ। তিনি এমনকি তাঁর নামটা পর্যন্ত লিখতে পারতেন না। কিন্তু আমার গুরুদেব ছিলেন তৎকালীন সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ পণ্ডিত। তিনি তাঁকে গুরুরূপে বরণ করেছিলেন।"