"তোমাদের বুঝতে হবে যে, যেইমাত্র জড়দেহ প্রাপ্ত হবে, তা শুধু কষ্টদায়ক হবে। তাই সমগ্র বৈদিক সভ্যতা হচ্ছে কি করে এই জড় দেহকে বন্ধ করা যায় তার একটা সংস্কৃতি বা শিক্ষা। মায়াবাদী দার্শনিকরা, তারাও চেষ্টা করছে। বুদ্ধিষ্টরাও চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা ভাবছে 'যখন আত্মা থাকেনা, তখন দেহ শেষ হয়ে যায়,' এটা হচ্ছে বুদ্ধিষ্টদের মতবাদ। কিন্তু তারা জানে দেহটা কষ্টদায়ক। একইভাবে মায়াবাদীরা, তারাও জানে যে দেহটা যন্ত্রণাদায়ক। তাই তারা এই জড় দেহ থেকে বেরিয়ে আসতে চায় এবং ভগবানের অস্তিত্তের সাথে মিশে যেতে চায়। ইন্দ্রিয়সমূহ কিন্তু উভয়ক্ষেত্রে বজায় থাকে, বুদ্ধিষ্ট অথবা মায়াবাদী। কিন্তু বৈষ্ণব দর্শন হচ্ছে, 'জীবনের এই দুর্দশাক্লিষ্ট পরিস্থিতি থেকে শুধু বেরিয়ে আসাই নয়, বরং শ্রীকৃষ্ণের পরিবারে প্রবেশ করা এবং শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই শরীরটা যে খারাপ তা সব দার্শনিকই মেনে নিয়েছে।"
|