"ঠিক যেমন একটি শিশু কিছু করতে চায়। তখন পিতা বলেন, 'এটি কোর না', আমি এটি বেশ কয়েকবার বলেছি। তারপর অনিচ্ছাকৃতভাবে বললেন, 'ঠিক আছে, কর।' ১৯২৫ কি ২৬ সালে যখন আমার পুত্রটি দু বছরের ছিল, সেই সময়কালের কথা। আমি আমার নিজের জীবনের বাস্তব ঘটনা দিয়ে এটির উদাহরণ দিয়েছি। একটি টেবিল ফ্যান ছিল, (শিশুটি বলল) 'আমি এটি স্পর্শ করতে চাই'। তখন আমি বললাম, 'না, এটি স্পর্শ কোর না'। এটিই হচ্ছে শিশুর আচরণ। তবুও সে যেহেতু শিশু ছিল তাই সে তা স্পর্শ করতে চাইল। সেখানে একজন বন্ধু ছিল, সে বলল, 'ফ্যানের গতিটা একটু কমিয়ে দিয়ে ওকে স্পর্শ করতে দাও'। আমি তাই করলাম। ফ্যানের গতিটা কমিয়ে দিলাম আর শিশুটা স্পর্শ করতেই 'টাং! এরপর সে আর সেটি স্পর্শ করে নি। দেখলে তো? স্পর্শ করার জন্য ওকে অনিচ্ছাকৃতভাবে অনুমতি দেওয়া হল। এখন সে অভিজ্ঞতাটা পেল আর আমি যখন ওকে জিজ্ঞাসা করলাম 'আবার হাত দিবে?' 'না'। এটি হচ্ছে একধরণের অনুমোদন। আমরা যারাই এই জড় জগতে এসেছি, আমাদের অবস্থাটি এই রকম। অনিচ্ছাকৃতভাবে। তাই ভগবান এই সমস্ত মূর্খদের এটি বোঝানোর জন্য আবারও অবতীর্ণ হন যে, 'অনেক চেষ্টা করেছ। ভাল হয় যে এখন এইসব ছাড়, আমার নিকট চলে আস।' সর্বধর্মাণ পরিত্যাজ্য। (ভগবদগীতা ১৮/৬৬)। অনুমোদন নিশ্চয়ই দেওয়া হয়েছিল। আর তার অভিজ্ঞতাও হয়েছে, অত্যন্ত তিক্ত অভিজ্ঞতা, কিন্তু তারপরও সে ছাড়বে না... এই হচ্ছে একগুঁয়েমি। কুকুরের মনোভাব।"
|