BN/Prabhupada 0007 - শ্রীকৃষ্ণের ভরণপোষণ আসবেই



Lecture on SB 1.5.22 -- Vrndavana, August 3, 1974

ব্রহ্মানন্দঃ ব্রাহ্মণদের কোন চাকুরী করা উচিত নয়।

শ্রীল প্রভুপাদঃ না, তিনি না খেয়ে মারা যাবেন তবু কোনো চাকুরী করবেন না। এই হচ্ছে ব্রাহ্মণ। একই ভাবে ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যরাও l শুধুমাত্র শুদ্রেরা l একজন বৈশ্য কিছু ব্যবসা খুঁজে নেবে l সে কিছু ব্যবসা খুঁজে নেবে l সুতরাং একটি বাস্তব গল্প রয়েছে l দীর্ঘদীন আগে, কলকাতার শ্রীমান নন্দী নামে একজন, তিনি একজন বন্ধুর কাছে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন,

“ যদি তুমি আমাকে সামান্য কিছু মূলধন দাও তাহলে আমি কিছু ব্যবসা শুরু করতে পারি”

তখন তিনি বললেন, "আপনি কি বৈশ্য? ব্যাপারী?"

“হ্যাঁl”

“ওহ্, আপনি আমার কাছ থেকে অর্থ চাইছেন ? টাকাতো রাস্তায় পড়ে আছে l আপনি খুঁজে বের করতে পারেন l”

তখন তিনি বলেন, "আমি খুঁজে পাই নিl "

“আপনি খুঁজে পাচ্ছেন না? এটা কি?”

“এটি, এটিতো একটি মৃত ইঁদুর l”

“সেইটিই আপনার মূলধন l”

দেখুন l

তখনকার দিনে কোলকাতায় প্লেগ রোগ ছড়িয়ে গিয়েছিল l তাই পৌরসভার ঘোষণা অনুযায়ী, যদি কেউ পৌরসভা অফিসে মৃত ইঁদুর নিয়ে আসতে পারে, তাকে দুই আনা দেয়া হবে। তাই তিনি মরা ইঁদুরটি নিয়ে পৌরসভা অফিসে গেলেন। তাকে দুই আনা দেওয়া হল। তাই তিনি দুই আনা দিয়ে কিছু পচা সুপারী কিনে নিলেন, এবং সেগুলো ধুয়ে চার আনা, অথবা পাঁচ আনায় এটি বিক্রি করলেন। এইভাবে বারবার একইভাবে করতে করতে, সেই লোকটি বিশাল ধনী হয়ে গেলেন। তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজন আমাদের গুরুভাই ছিল। নন্দী পরিবার। সেই নন্দী পরিবার এখনও, দৈনিক চার-পাঁচশ' লোককে খাওয়ায়। একটি বড়, অভিজাত পরিবার। এবং তাদের পরিবারের রীতি হল, একটি ছেলে বা মেয়ে জন্মের সাথে-সাথে, ব্যাংকে পাঁচহাজার টাকা জমা করা হয়, এবং সেই নবজাতক বড় হয়ে তার বিয়ের সময়ে, সেই পাঁচ হাজার টাকা সুদসমেত, তিনি তা গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়া ঐ পুঁজিতে অন্যথা আর কারোর ভাগ থাকে না, এবং যারাই ঐ পরিবারে ​​বসবাস করেন সবাই, আহার এবং আশ্রয় পায়। কিন্তু আসলে, আমি বলতে চাইছি, এই পরিবারের সংস্থাপক যে নন্দী, তিনি একটি লাল মৃত ইঁদুর দিয়ে তার ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এটি আসলেই সত্য যে যদি একজন স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায়... কলকাতায় আমার দেখা l এমনকি দরিদ্র শ্রেণীর বৈশ্যরা, সকালে তারা কিছু ডাল নিয়ে, ডালের ব্যাগ নিয়ে ঘরে ঘরে বেচতে যেতেন। ডাল সর্বত্র প্রয়োজন। তাই সকালে তিনি ডালের ব্যবসা করতেন, এবং সন্ধ্যায় তিনি কেরোসিন তেলের ক্যান নিয়ে যেতেন। সন্ধ্যায় এটি সবার প্রয়োজন হয়। এখনও আপনি ভারতে পাবেন, তারা... কেউই চাকুরী খুঁজত না। চীনাবাদাম বিক্রি করে তার কাছে অল্প কিছু যা রয়েছে, তিনি কিছু একটা করছেন। সর্বোপরি, শ্রীকৃষ্ণ প্রত্যেকের প্রতিপালন করছেন। এটি মনে করা ভুল যে "এই লোকটি আমার প্রতিপালন করছে।" না। শাস্ত্র বলছেন, একো যো বহুনাম্ বিদধাতি কামান্। এটা শ্রীকৃষ্ণের উপর দৃঢ়বিশ্বাস যে "শ্রীকৃষ্ণ আমাকে জীবন দিয়েছেন, শ্রীকৃষ্ণ আমাকে এখানে পাঠিয়েছে্ন।" তাই তিনিই আমার প্রতিপালন করবেন l আমার ক্ষমতা অনুযায়ী, আমার কিছু করা উচিত, এবং তার মাধ্যমেই শ্রীকৃষ্ণের ভরণপোষন আসবে।"