BN/Prabhupada 0159 - শিক্ষিত মানুষের বড় বড় পরিকল্পনা কিভাবে কঠীন কাজ করা যায়



Lecture on SB 5.5.15 -- Vrndavana, November 3, 1976

কলকাতা, বোম্বে, লন্ডন, নিউইয়র্কে বড় বড় শহরে, সবাই খুব কঠোর পরিশ্রম করছে। বড় শহরগুলোতে কেউ সহজেই তাদের খাদ্য পেতে পারে না। না। প্রত্যেকেরই কাজ করতে হবে। এবং সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে। আপনি কি মনে করেন যে সবাই একই অবস্থানে আছে? না। সেটা সম্ভব না। ভাগ্য। নিয়তি। এক ব্যক্তি রাত দিন চব্বিশ ঘন্টাই কাজ করছেন; তিনি কেবল দুটি রুটিই পাচ্ছেন।ব্যাস। আমরা বম্বে দেখেছি। তারা এমন জঘন্য অবস্থায় বাস করছে যে এমনকি দিনের বেলায় তাদের একটি কেরোসিন বাতি জ্বালাতে হচ্ছে। এমন একটি জায়গায় তারা জীবিত, এবং এত নোংরা অবস্থা। এর মানে কি এই যে বম্বে প্রত্যেকেই খুব আরামদায়ক জীবনযাপন করছে? না। একইভাবে, প্রতিটি শহরে, এটা সম্ভব নয়। আপনি শুধু কঠিন কাজ দ্বারা আপনার অর্থনৈতিক অবস্থান উন্নত করতে পারবেন না। সেটা সম্ভব না। আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন বা না করেন, যা কিছু আপনার জন্য পূর্বনিদিষ্ট, আপনি এটি পাবেন। অতএব আমাদের শক্তি ব্যবহার করা উচিত...মল্লোকো কামো মদ অনুগ্রহাৎ। শক্তি ব্যবহার করা উচিত কিভাবে কৃষ্ণকে খুশি করা যায়। এটা করা উচিত। শক্তি ব্যবহার করা উচিত সেই উদ্দেশ্যে, শুধু একটি মিথ্যা আশার জন্য শক্তি অপচয় না করলে "আমি খুশি হইব। আমাকে এটা করতে হবে। আমাকে ওটা করতে হবে। আমি টাকা তৈরী করব। আমি ... "

কুমোরের গল্প, কুমোর পরিকল্পনা করছে। তিনি কয়েকটি পাত্র পেয়েছেন এবং তিনি পরিকল্পনা করছেন, "এখন আমি এই চারটি পাত্র পেয়েছি এবং আমি বিক্রি করব। আমি কিছু লাভ করবো তারপর দশটি পাত্র থাকবে। তারপর আমি দশটি পাত্র বিক্রি করব, আমি কিছু লাভ করবো আমি 20 টি পাত্র এবং তারপর 30 টি পাত্র, 40 টি পাত্র। এইভাবে আমি কোটিপতি হয়ে যাব। এবং সেই সময়ে আমি বিয়ে করব এবং আমি এইভাবে আমার স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করব এবং সেই ভাবে। এবং যদি সে অবাধ্য হয়, তাহলে আমি তাকে এই রকম লাথি মারব। " সুতরাং যখন তিনি লাথি মারল, তিনি পাত্রে লাথি মারল এবং সব পাত্র ভেঙ্গে গেল (হাসি) তাই তার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। দেখলে? একইভাবে, আমরা কেবল স্বপ্ন দেখছি। কয়েকটি পাত্রের সাথে আমরা কেবলমাত্র স্বপ্ন দেখি যে, "এই পাত্রগুলি অনেকগুলি পাত্রে বাড়ানো হবে, অনেক পাত্র, অনেক পাত্র," তারপর সমাপ্ত। কল্পনা করবেন না, পরিকল্পনা করুন এটাই... গুরু, আধ্যাত্মিক গুরুদেব এবং সরকারের সতর্ক হওয়া উচিত "এই হতভাগাগুলি পরিকল্পনা নাও করতে পারে। এই হতভাগারা সুখী হতে পরিকল্পনা নাও করতে পারে।"ন যোজয়েৎ কর্মশু কর্ম মুদ্ধান। এই কর্ম-জগৎ, এই দুনিয়ায়। এই হচ্ছে জড় জগত। তারা ইতিমধ্যে প্রলুব্ধ, তাই এর ব্যবহার কি? লোকে ব্যায়ামি সম্বুদ্ধ সেবা নিত্যসু জন্তু। শুধু যৌন জীবনের মত। যৌন জীবন প্রাকৃতিক। যৌনতা উপভোগ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার প্রয়োজন নেই। তারা এটি ভোগ করবে। কেউই...কাউকে শেখানো হয় না কিভাবে কান্না করতে হয়, কিভাবে হাসতে হয় অথবা কিভাবে যৌন জীবন উপভোগ করতে হয়। একটি বাঙালি বুলি আছে। এটা প্রাকৃতিক। আপনার এই কর্মের জন্য কোন শিক্ষার প্রয়োজন হয় না। এখন তারা বড় পরিকল্পনা করছে মানুষকে শিক্ষা দিতে কিভাবে মানুষ কঠোর পরিশ্রম করতে পারে। এটা সময় অপচয় মাত্র। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচিত মানুষকে শিক্ষা দেওয়া কীভাবে কৃষ্ণভাবনা হতে হবে, এটা বা ওটা হবার শিক্ষা নয়। এটা সময়ের অপচয়, কারণ সেই অনুষ্ঠান সফল হবে না। তাল লভ্যতে দুঃখভ্য অদান্যত সুখম কালেন সর্বত্র গভীরা রংহসা। প্রকৃতির আইন কাজ করছে, প্রকৃতে ক্রিয়মানানি গুনৈ কর্মানি সর্বস (ভ.গী. ৩.২৭) যাই হোক না কেন ...

তাই আমাদের বৈদিক সভ্যতা হল যে মানুষ নিজের অবস্থানে সন্তুষ্ট, একজন ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র। যাইহোক ভগবানের আর্শিবাদে তিনি যা পেয়েছেন, তাতেই তিনি সন্তুষ্ট। সত্যিকারের শক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল, কিভাবে যোগ্য হতে হবে কৃষ্ণের কৃপা পাওয়ার জন্য। সেটা চাই, কীভাবে শিখব, কৃষ্ণের কাছে কিভাবে আত্মসমর্পণ করতে হয়। তারপর অহং ত্বাং সর্ব পাপেভ্য মোক্ষ্যয়ষ্যামি (ভ.গী.১৮.৬৬) সেটাই শেষ। ভারতে আমরা জানি না ... মহান ঋষি, তিনি, অনেক বই লিখেছেন, কিন্তু তারা একটি কুটির মধ্যে বসবাস করতেন। শুধু রাজারা, ক্ষত্রিয়, কারণ তাদের শাসন করতে হতো, তারা বড় বড় প্রাসাদ নির্মানে ব্যবহার করত। আর কেউ না। তারা খুব সহজ জীবন যাপন করতো, খুব সহজ জীবনযাপন করতো। তথাকথিত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সময় নষ্ট না করে, গম্বুজ নির্মাণ, ভূগর্ভস্থ পথ এবং তাই, তাই। এই বৈদিক সভ্যতা ছিল না। এটি আসুরিক সভ্যতা।