BN/Prabhupada 0267 - শ্রীকৃষ্ণ কে তা ব্যাসদেব বর্ননা করেছেন



Lecture on BG 2.10 -- London, August 16, 1973

সুতরাং কৃষ্ণ ভক্তি এইরকমই হয়। ইন্দ্রিয়ের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। ঠিক যেমন কৃষ্ণ তার ইন্দ্রিয়ের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে, একই ভাবে, প্রকৃতপক্ষে যারা কৃষ্ণের ভক্ত, তারা তাদের ইন্দ্রিয়ের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণও রাখে। হৃষীকেশ। যামুনাচার্যের মতো। তিনি প্রার্থনা করছেন, বলছেন, যদবধি মম চেতঃ কৃষ্ণ পদারবৃন্দে, নব নব ধামন্য উদয়তম রন্তুম্‌ আসীৎ। "যখন থেকে আমি কৃষ্ণের চরণ কমলে আশ্রয় নিয়ে এই দিব্য আনন্দ অনুভব করতে শুরু করেছি, " যদবধি মম চেতঃ কৃষ্ণ পদারবৃন্দে, কৃষ্ণের চরন পদ্ম। "আমার চিত্ত যখন থেকে, আমার হৃদয় কৃষ্ণের চরণ পদ্মে আকৃষ্ট হয়েছে, তদবধি বত নারী সঙ্গমে, "তখন থেকে, যখনই আমি যৌন জীবন সম্পর্কে চিন্তা করি" ভবতি-মুখ-বিকার, "আমি ঘৃণা করি, আমি এর উপর থুতু ফেলি।" এই হচ্ছে কৃষ্ণ ভক্তি। কৃষ্ণ ভক্তি এইরকম। ভক্তির-পরেশানুভাব-বিরক্তির অন্যত্র স্যাৎ (শ্রী ভা ১১.২.৪২.)। এটি জড় বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় যৌন জীবন। এটি জড় জীবনের ভিত্তি। এই সমস্ত মানুষ যৌনতার আনন্দের জন্য খুব কঠিন পরিশ্রম করে, দিন ও রাতে কাজ করছেন। যং মৈথুনাদি-গৃহ...তারা এই ধরনের অনেক ঝুঁকি নিচ্ছে। তারা কাজ করছে, কর্মচারী, তারা এত কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করছে। তাদের জীবনের সুখ কি? জীবনের আনন্দ হচ্ছে যৌনতা। যং মৈথুনাদি-গৃহমেধী-সুখং হি তুচ্ছম্‌ (শ্রী ভা ৭ ৯.৪৫.)। খুব ঘৃণ্য কাজ, কিন্তু এটাই তাদের সুখ। এটি জড় জীবন। সুতরাং কৃষ্ণ এই রকম নয়। কিন্তু এই বদমাশেরা তারা ছবি আঁকে এবং এই ছবিগুলির খুব প্রশংসা করে, যে কৃষ্ণ গোপীদেরকে আলিঙ্গন করছে। কেউ আমাকে বলছিল যে ... শেষ ... কে এসেছিল? সেই শ্রী কৃষ্ণের ছবি। তাই যখন কৃষ্ণ পুতনাকে হত্যা করছে, এরকম ছবি ওরা আঁকবে না কংসকে হত্যা অথবা কৃষ্ণের এত ছবি আছে। এই শিল্পীরা, এই রকম ছবি আঁকবে না, । তারা শুধু গোপীদের গুহ্যতম লীলার ছবি আঁকবে। যে কৃষ্ণকে বুঝতেই পারে না যেটা ব্যাসদেব নবম স্কন্ধ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন যে কৃষ্ণ কে, কৃষ্ণকে বোঝার জন্য, এবং তারপর দশম স্কন্দে তিনি শ্রীকৃষ্ণের জন্মের আগমনের কথা শুরু করেন। কিন্তু এই দুষ্টরা, তারা অবিলম্বে রাস-লীলাতে চলে যান। প্রথমে, শ্রী কৃষ্ণকে বুঝুন। যদি আপনি একজন বড় লোকের বন্ধু হন, তাহলে প্রথমে তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। তারপর আপনি তার পরিবার বিষয় বা গোপনীয় জিনিস বুঝতে চেষ্টা করুন। কিন্তু এই লোকেরা রাস লীলাতে জড়িয়ে পড়ে এবং ভুল বোঝে। এবং তাই তারা কখনও কখনও বলে, "কৃষ্ণ অনৈতিক।" কিভাবে কৃষ্ণ অনৈতিক হতে পারে? কৃষ্ণ নাম গ্রহণ করে, নীতিহীন ব্যক্তিও নীতিবান হয়ে উঠছে আর সেখানে কিনা কৃষ্ণ নীতিহীন। মুর্খামিটা দেখ। শুধু কৃষ্ণের নাম জপ করায়, সকল অনৈতিক ব্যক্তি নৈতিক হয়ে উঠছে। এবং কৃষ্ণ নাকি নীতিহীন। আর এই কথা বলেছে একটা মূর্খ অধ্যাপক