BN/Prabhupada 0320 - আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিভাবে ভাগ্যবান ও সৌভাগ্যশালী হতে হবে



Lecture on BG 16.6 -- South Africa, October 18, 1975

মেয়েঃ আচ্ছা প্রভুপাদ, যদিও ... সমস্ত জীব কৃষ্ণের অংশ। যদি আমরা এই জীবনে কৃষ্ণর প্রতি আত্মসমর্পণ না করি, অন্তিম সময়ে তার কাছে আত্মসমর্পণ করব, আমাদের মধ্যে প্রত্যেকে,

পুষ্ট কৃষ্ণঃ কি সবাই ... যদি আমরা এই জীবনে কৃষ্ণকে আত্মসমর্পণ না করি, সবাই কি কৃষ্ণকে আত্মসমর্পণ করবে? সবাই কি শেষ পর্যন্ত ভগবদ্ধামে যাবে?

প্রভুপাদঃ হুম? তোমার কি কোন সন্দেহ আছে? আশ্বস্ত হও বাকি সবাই এই কাজ করবে না। সুতরাং আপনার কোন উদ্বেগের কারন নেই। এটা যে সবাই করবে এমন নয়। তাই চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন, এই রূপে ব্রহ্মান্ড ভ্রমিতে কোন ভাগ্যবান জীব (চৈ.চ.মধ্য ১৯.১৫১) একজন ভাগ্যবান না হলে, খুব ভাগ্যবান, তিনি ভগবদ্ধামে ফিরে যাবে না, তিনি এখানে ঘর্ষণ খেতে থাকবে। তাই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানে আমরা মানুষ কে ভাগ্যবান বানাতে চেষ্টা করছি। যদি তিনি চান, তিনি ভগ্যবান হতে পারেন, এটা আমাদের প্রয়াস। আমরা অনেকগুলি সঙ্ঘ তৈরী করেছি। আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিভাবে ভগ্যবান হয়ে বাড়ী ফিরে যেতে পারে, কিভাবে সে সুখী হতে পারে। এখন, যদি একজন ভাগ্যবান হয়, তারা এই শিক্ষাটি গ্রহণ করে এবং তার জীবনকে পরিবর্তন করে। সেজন্য এই সংঘ। কিনতু ভাগ্যবান ছাড়া কেউ যেতে পারবে না। ভগ্যবান। তাই আমরা তাদের একটা সুযোগ দিচ্ছি ভগ্যবান হওয়ার, এই হচ্ছে আমাদের সংঘ। সবচেয়ে দুঃভাগ্যপুর্ন ব্যাক্তিকে ভাগ্যবান হয়ে উঠার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ এই বিবেচনা করতে পারেন, কিভাবে দুর্ভাগ্যজনক জীবন থেকে তারা সৌভাগ্যবান হচ্ছে। এই কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ, দুর্ভাগ্যদের সুযোগ প্রদান করছে। সবাই দুর্ভাগাপুর্ন, সকলেই বদমাশ। আমরা সুযোগ দিচ্ছি কিভাবে বুদ্ধিমান এবং ভাগ্যবান হওয়া যায়। এই হচ্ছে কৃষ্ণ ভাবনামৃত। যদি মানুষ এত দুর্ভাগাপূর্ন এবং বদমাশ না হয়, তাহলে উপদেশের অর্থ কি? উপদেশ মানে হচ্ছে আপনি দুষ্ট এবং দুর্ভাগাপূর্ন ব্যাক্তিদের বুদ্ধিমান এবং ভাগ্যবান বানাও। এটাই উপদেশ। কিনতু আপনি সৌভাগ্যবান এবং বুদ্ধিমান না হওয়া পর্যন্ত, আপনি কৃষ্ণভাবনামৃত নিতে পারবেন না। এটি একটি সত্য।