BN/Prabhupada 0344 - শ্রীমদ্ভাগবতম কেবল ভক্তির সাথে সন্মন্ধিত
Lecture on SB 3.26.11-14 -- Bombay, December 23, 1974
ব্যাসদেব, সমস্ত বৈদিক সাহিত্য লেখার পরও তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি চারটি বেদ লিখেছিলেন, তারপর পুরাণ - পুরাণ মানে বেদের সম্পূরক। এবং তারপর বেদান্ত-সূত্র, বৈদিক জ্ঞানের শেষ শব্দ, বেদান্ত-সূত্র। কিন্তু তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। সুতরাং তার আধ্যাত্মিক গুরু, নারদ মুনিকে, তিনি জিজ্ঞাসা করেন যে: "তুমি কেন অসন্তোষ অনুভব করছো, এত বই লেখার পর মানব সমাজকে জ্ঞান দেবার পর?" তাই তিনি বলেন, "হে প্রভু, হ্যাঁ, আমি জানি যে আমি লিখেছি ... কিন্তু আমি সন্তুষ্টি পাচ্ছি না। আমি জানি না কি কারণ।" তারপর নারদমুনি বলেন, "অসন্তুষ্টতার কারন হচ্ছে আপনি ভগবানের কার্যকলাপ বর্ণনা করেন নি। এই জন্য আপনি সন্তুষ্ট না। আপনি কেবল বাহ্যিক তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু আভ্যন্তরীণ তত্ত্ব, আপনি আলোচনা করেন নি। সেইজন্য আপনি অসন্তুষ্ট এখন আপনি এটা করুন।" অতএব ব্যাসদেবের নির্দেশের অধীনে ..., নারদ মুনি, তার আধ্যাত্মিক গুরু, ব্যাসদেব, তার অন্তিম পরিপক্ক অবদান শ্রীমদ্ভাগবতম্। শ্রীমদ্ভাগবতম্ অমলম্ পুরাণম্ যৎ বৈষ্ণবানাম প্রিয়ম (শ্রী.ভা. ১২.১৩.১৮)। অতএব, বৈষ্ণবরা শ্রীমদ্ভাগবতমকে অমল পুরান হিসাবে বিবেচনা করে। অমলম পুরান মানে..অমলম মানে কোন দূষণ ছাড়া। এই সমস্ত অন্যান্য পুরান, তারা কর্ম, জ্ঞান, যোগ সম্বন্ধে আছে, অতএব, তারা সমলাম, জড় দূষণের সাথে। এবং শ্রীমদ্ভাগবতম, শুধুমাত্র ভক্তির সঙ্গে সন্মন্ধিত, তাই এটা অমলম। ভক্তি মানে সরাসরি ভগবানের সাথে সন্মন্ধ, ভক্তি এবং ভগবান, এবং লেনদেন হচ্ছে ভক্তি। ভগবান আছে, ভক্তি আছে, যেমন প্রভু এবং সেবকের মতো। এবং প্রভু এবং চাকরের মধ্যে সন্মন্ধ, লেনদেনই, সেবা।
এইজন্য সেবা তো আমরা করছি, এটা আমাদের প্রকৃতিক স্বাভাবিক বৃত্তি, আমরা সেবা প্রদান করছি। কিন্তু দূষিত হবার কারন, ওই চেতনা, চিত্ত, এই জড় তত্ত্ব দ্বারা দূষিত হচ্ছে, আমরা বিভিন্ন ভাবে সেবা দিতে চেষ্টা করছি। কেউ দেশের জন্য, সমাজের জন্য, সমুদয়ের জন্য, পরিবারের জন্য সেবা দিতে রুচি রাখে, মানবতার জন্য, অধিক এবং অধিক, কিন্তু এই সব পরিষেবা, সেগুলি দূষিত। কিন্তু যখন আপনি কৃষ্ণ ভাবনায় আপনার সেবা শুরু করবেন, সেটি উত্তম সেবা। এটা একদম সঠিক জীবন। তাই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানব সমাজকে উন্নীত করার চেষ্টা করছে সর্বোত্তম সেবা সম্পাদনের উপর।
অনেক ধন্যবাদ।