BN/Prabhupada 0409 - শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার আলাদা ব্যাখ্যার কোন প্রশ্নই আসে না



Cornerstone Laying -- Bombay, January 23, 1975

তাই এই আন্দোলন অত্যন্ত প্রামাণিক এবং এটি এটি অনেক বিশাল ধরণের কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট অতএব, আমার অনুরোধ মুম্বাইবাসীদের, বিশেষ করে যারা আমাদের সদস্য, এই প্রতিষ্ঠানটি বোম্বেতে খুব সক্রিয়ভাবে সফল করতে এই প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ করুন। অনেক মহিলা এবং ভদ্রলোক এখানে আছেন। আমরা, আমরা যা করছি, এটি একটি খামখেয়ালীপূর্ণ বা একটি মানসিক জল্পনা নয়। এটি অনুমোদিত এবং ভগবদ গীতার মান অনুযায়ী। আমাদের বর্তমান আন্দোলন ভগবদ্গী‌তার উপর আধারিত - ভগবদ্গী‌তা যথাযথ। আমরা উল্টোপাল্টা ব্যাখ্যা করি না, আমরা মূর্খের মতো ব্যাখ্যা করি না, কারণ ... আমি ইচ্ছাকৃতভাবে এই শব্দটি বলি যে, "মূর্খতা," কেন আমরা কৃষ্ণের কথার ভুল ব্যাখ্যা করব? আমি কি কৃষ্ণের চেয়ে বড় হয়ে গেছি? অথবা কৃষ্ণ কি কোন অংশ বাদ দিয়ে গেছেন আমার ব্যাখ্যার জন্য? তাহলে কৃষ্ণের গুরুত্ব কি? যদি আমি আমার ব্যাখ্যা দিই, নিজেকে কৃষ্ণের চেয়েও বেশি মনে করি, তাহলে তা ভগবান নিন্দা। কৃষ্ণের চেয়ে আমি কীভাবে বেশি হতে পারি? আসলে যদি আমরা প্রকৃতপক্ষে এই ভগবদ্গী‌তার সুবিধা নিতে চাই, তাহলে আমাদের ভগবদ্গী‌তাকে যথাযথভাবে গ্রহণ করতে হবে। যেমন অর্জুন গ্রহণ করেছেন, অর্জুন, ভগবদ গীতা শোনার পর তিনি বলেন, সর্বম্‌ এতদ্‌ ঋতং মন্যেঃ (ভ.গী ১০.১৪) "আমি সব কথা স্বীকার করছি, আমার প্রিয় কেশব, তুমি যা কিছু বলেছ।

আমি কোনও পরিবর্তন ছাড়াই পূর্ণভাবে তাকে গ্রহণ করছি। "এটিই হচ্ছে ভগবদ্গী‌তাকে বোঝা, এটা নয় যে আমি ভগবদ্গী‌তার সুযোগ নিয়ে আমার মুর্খামিবশত ব্যাখ্যা করছি যাতে মানুষ আমার দর্শন গ্রহণ করবে। তাহলে তা ভগবদ্‌গীতা নয়। ভগবদ গীতার ব্যাখ্যার কোন প্রশ্ন নেই। ব্যাখ্যা করা দরকার তখন, যখন আপনি বুঝতে না পারেন। যখন কোন জিনিস পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় ... যদি আমি বলি, "এটি একটি মাইক্রোফোন" সবাই বুঝতে পারে যে এটি একটি মাইক্রোফোন। ব্যাখ্যার প্রয়োজন কোথায়? কোন প্রয়োজন নেই। এটা মূর্খতা, বিভ্রান্তিকর ভগবদ গীতার কোন ব্যাখ্যা হতে পারে না। এইটা ... সমস্ত কথা স্পষ্ট। যেমন ভগবান কৃষ্ণ বলেছেন, কৃষ্ণ বলেন না যে "আপনি সন্ন্যাসী হয়ে যান এবং আপনার ব্যবসা কার্যক্রম পরিত্যাগ করুন।" না। কৃষ্ণ বলেছেন, স্ব-কর্মনা তম অভ্যচ্য সংসিদ্ধি ল্ভ্যতে নরঃ (ভ.গী ১৮.৪৬)। তুমি নিজের কাজে থাকো। তুমি নিজের ব্যবসায় থাকো। পরিবর্তন করার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও আপনি কৃষ্ণ ভাবনামৃত হতে পারেন এবং আপনার জীবনকে সফল করতে পারেন। এটাই ভগবদ গীতার সন্দেশ। ভগবদ্‌ গীতা সামাজিক ব্যবস্থা বা আধ্যাত্মিক শ্রেণীকে ব্যাহত করে না। না। এটি কর্তৃপক্ষ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এবং শ্রেষ্ঠ কর্তৃপক্ষ কৃষ্ণ।

সুতরাং এই কেন্দ্রটি সফল করুন, আপনারা বম্বের ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলা। আমরা একটি খুব ভাল জায়গা পেয়েছি, আমরা এটি বানাচ্ছি যাতে, আপনারা এখানে আসতে পারেন, অন্তত সপ্তাহান্তে। যদি আপনারা থাকেন, যারা অবসরপ্রাপ্ত বা বয়স্ক ভদ্রলোক, নারী, তারা এখানে আসতে পারে এবং থাকতে পারে। আমাদের যথেষ্ট জায়গা আছে। কিন্তু সমগ্র বিশ্বজুড়ে ভগবদ গীতা্র এই নীতিগুলি সংগঠিত করার চেষ্টা করুন। তা হবে ভারতের উপহার। চৈতন্য মহাপ্রভুর ইচ্ছা ছিল যে, যিনিই ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন মানুষ হিসাবে, বিড়াল এবং কুকুর নয় ... অন্যদের জন্য ভাল করার জন্য কোনো প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে বিড়াল এবং কুকুর অংশগ্রহণ করতে পারে না। তিনি বলেন,

ভারত-ভূমিতে মানুষ্য-জন্ম হৈল যার
জন্ম সার্থক করি কর পর-উপকার
(চৈ.চ.আদি ৯.৪১)

"যে ভারতে জন্ম নিয়েছে, ভারতে, একজন মানুষের আকারে, প্রথমে আপনার জীবনকে সফল করে তুলুন"। কারণ আপনার জীবন সফল করতে স্তর আছে, এখানে ভগবদ গীতা আছে। এটি বুঝতে চেষ্টা করুন, আপনার জীবন সফল করুন, এবং তার পরে, সারা বিশ্বের এই বার্তা সম্প্রচার করুন। এটা পরোপকার। তাই প্রকৃতপক্ষে, ভারত ও ভারতের মানুষ, তারা পরোপকারের জন্য। আমরা অন্যদের শোষণ করার জন্য নয়। এটা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আসলে এই ঘটছে। সবাই ভারত থেকে বাইরে চলে যায়। তারা কিছু পেতে যায় কিন্তু এই প্রথমবার যে, ভারত বাইরের মানুষদের কিছু প্রদান করছে, এটি আধ্যাত্মিক জ্ঞান। এবং আপনি প্রমাণ দেখতে পারেন। আমরা তা দিচ্ছি, তা গ্রহণ করছি না। আমরা ভিক্ষার জন্য যাচ্ছি না, "গম দাও, আমাকে টাকা দাও, আমাকে এটা দাও, আমাকে ওটা দাও।" না। আমরা বাস্তব কিছু দিচ্ছি, এবং তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। অন্যথায়, কেন এই যুবক যুবতীরা কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন করছে? তারা কিছু অনুভব করছে, তারা কিছু বাস্তবতা পাচ্ছে। সুতরাং এতে শক্তি আছে, অত্যন্ত ভাল ভবিষ্যৎ আছে তারা আমেরিকান বা কানাডিয়ান বা অস্ট্রেলীয়ার মত মনে করছে না। আমরাও ভারতীয়দের মত মনে করি না, আমরা আধ্যাত্মিক পর্যায়ে সবাই এক।

বিদ্যা-বিনয়-সম্পন্নে
ব্রাহ্মনে গোবি হস্তিনী
শুনি চৈব শ্বপাকে চ
পণ্ডিতা সম-দর্শিন
(ভ.গী.৫.১৮)

এটা প্রকৃত শিক্ষা। আত্মবৎ-সর্ব ভূতেষু। এমন কি মহান রাজনিতীবিদ, চাণক্য পণ্ডিত, তিনি বলেছেন, মাতৃবৎ পরদারেষু পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ আত্মবৎ সর্বভূতেষু যৎ পশ্যন্তি স পণ্ডিতাঃ তাই এই একটি মহান সংস্কৃতি, ভগবদ গীতা যথাযথ। তাই এখানে উপস্থিত যারা দায়িত্ববান মহিলা এবং ভদ্রলোক আছেন, এই কেন্দ্রটি খুব সফল করুন এবং এখানে আসুন, ভগবত গীতা অধ্যয়ন করুন, কোন অর্থহীন ব্যাখ্যা ছাড়াই। আমি বার বার বলছি কারণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। সবকিছু শুরু থেকে পরিষ্কার।

ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে

সমবেতা যুযুৎসব
মামকা পান্ডবা চৈব
কিম অকুর্বত সঞ্জয়
(ভ.গী ১.১)

খুব পরিষ্কার।