BN/Prabhupada 0418 - দীক্ষা মানে এই কার্যক্রমের সূচনা মাত্র



Lecture & Initiation -- Seattle, October 20, 1968

সুতরাং এই দীক্ষা ... আমাদের অনেক ছাত্ররা যেমন দীক্ষিত, তেমন আমাদের কিছু ছাত্ররা আজ সন্ধ্যায় দীক্ষিত হতে চলেছে। দীক্ষা অর্থাৎ এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার তৃতীয় স্তর। প্রথম স্তরটি হল শ্রদ্ধা, সামান্য বিশ্বাস। ঠিক যেমন আমাদের ছাত্ররা বাজারে যাচ্ছে, তারা জপ করছে, এবং অনেকেই কিছু অর্থ অবদান দিচ্ছে; কেউ আমাদের ভগবৎ দর্শন কিনছে। এটি শ্রদ্ধার আরম্ভ : "ওহ, এটা একটা বিশেষ আন্দোলন। আমিও সহযোগিতা করব।" আদৌ শ্রদ্ধা। তারপর, তিনি যদি আরও একটু আগ্রহী হন, তবে তিনি এখানে আসবেন, প্রবচন শুনতে। "ঠিক আছে, আসুন আমরা দেখি যে এই সম্প্রদায় কী শিক্ষা দিচ্ছে, এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত " সুতরাং তারা আসে। সুতরাং সেটা হল দ্বিতীয় স্তর। প্রথম স্তরটি হল এই আন্দোলনের প্রতি স্বয়ংক্রিয় সহানুভূতি। দ্বিতীয় স্তরটি হল আমাদের ক্রিয়াকলাপগুলিতে যোগদান দেওয়া অথবা সহযোগ করা। ঠিক যেমন আপনি এখানে এসেছেন। আপনি আমার কথা শুনছেন। একইভাবে, যদি কেউ আরও আগ্রহী হন অথবা তার শ্রদ্ধা আরও উন্নীত হয়, তখন তিনি আসবেন, সেটা দ্বিতীয় স্তর। এবং তৃতীয় স্তরটি হল...আদৌ শ্রদ্ধা ততহ সাধু সঙ্গ অথা ভজন ক্রিয়া (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত মধ্য ২৩।১৪-১৫) এখন, দীক্ষা অর্থাৎ ক্রিয়াকলাপের আরম্ভ। ক্রিয়াকলাপের আরম্ভ। একজন কীভাবে কৃষ্ণ ভাবনামৃতকে পরিপূর্ন অবস্থায় বিকশিত করতে পারে, তাকে দীক্ষা বলা হয়। এই নয় যে দীক্ষার অর্থ সমাপ্তি। এটি তৃতীয় স্তর। তারপর চতুর্থ স্তরটি হল, যিনি দীক্ষা নিয়েছেন যদি তিনি নিয়ম অনুসরণ করেন, এবং যদি তিনি একটি স্থির সংখ্যার হরে কৃষ্ণ জপ করেন, তারপর ধীরে ধীরে তার সমস্ত বিভ্রান্তি লুপ্ত হয়। বিভ্রান্তি কী? আমরা আমাদের ছাত্রদের সেই অবৈধ যৌনজীবন, মাংসাহারী ভোজন থেকে বিরত থাকতে বলি, এবং নেশা, এবং জুয়াতে অংশ গ্রহণ করা বারন। এই চারটি বিষয়। সুতরাং সাধারণত এই চারটি বিষয় সমাজে বিশেষত পশ্চিমি দেশগুলিতে অত্যন্ত লক্ষণীয়... কিন্তু এই ছাত্ররা যারা দীক্ষা নেয় এবং জপ অনুসরণ করে, তারা খুব সহজেই কোনও অসুবিধা ছাড়াই এই চারটি জিনিস ত্যাগ করে। একে অনর্থ নিবৃত্তি বলা হয়। এটি চতুর্থ স্তর। পঞ্চম স্তরে তিনি দৃঢ় নিষ্ঠ হন: "হ্যাঁ" " ঠিক যেমন একজন ছাত্র মিস্টার অ্যান্ডারসন আমি তাকে দেখিনি, তবে কেবল আমাদের অন্যান্য ভক্তদের সঙ্গ করে, তিনি লিখেছেন যে "আমি এই কৃষ্ণ ভাবনামৃতর জন্য আমার সম্পূর্ণ জীবন উত্সর্গ করতে চাই।" একে নিষ্ঠা বলা হয়, দৃঢ়তা। ততো নিষ্ঠা ততো রুচি। রুচি অর্থাৎ তারা স্বাদ পাচ্ছে। এই ছেলেগুলো বাইরে যাচ্ছে কেন ? এই জপে, তারা একটি স্বাদ পেয়েছে। তারা একটি স্বাদ বিকশিত করেছে। অন্যথায় কোনও কিছুর জন্যই তারা সময় নষ্ট করছে না। তারা শিক্ষিত, তারা বয়ঃপ্রাপ্ত। সুতরাং স্বাদ। দৃঢ়তা, তারপর স্বাদ, তথাসক্তিস। স্বাদই, তখন আসক্তি। তিনি তা ছাড়তে পারছেন না। আমি অনেক চিঠি পেয়েছি। কিছু ছাত্ররা, তারা তাদের গুরুভাইদের সাথে আঁটিয়ে উঠতে পারছে না, তারা চলে গিয়েছে, তবে তারা লিখেছে যে "আমি যেতে পারছি না। আমি যেতে পারছি না।" সে বন্দী। দেখছেন ? উমাপতি সেই চিঠি লিখেছেন, তিনি অসুবিধায় পড়েছেন, সে জীবনযাপন করতে পারছে না, সে না বাঁচতে পারছে না ছাড়তে পারছে । সে ডালাসে আছে। দেখছেন? সে সঙ্গ ছাড়তে পারছে না, অথবা কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে সে গুরুভাইদের সাথে থাকতে পারছে না। তবে তা অস্থায়ী। সুতরাং সেটা হল আসক্তি, অনুরতি। তথাসক্তিস ততো ভব। তারপর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি, একটু ভাবাবেশকর স্থিথি, সর্বদা কৃষ্ণের কথা ভাবা । এবং তারপর পূর্ণতার স্তর, যে তিনি কৃষ্ণকে একশো শতাংশ ভালোবাসবেন। সুতরাং এটাই পদ্ধতি।