BN/Prabhupada 0420 - নিজেকে এই দুনিয়ার দাসী ভেব না
Lecture & Initiation -- Seattle, October 20, 1968
শ্রীল প্রভুপাদ: (যজ্ঞের মন্ত্র উচ্চারণ করছেন, ভক্তরা সারা দিচ্ছে) ধন্যবাদ। এখন আমাকে জপমালাগুলো দাও। জপমালা। কেউ একজন .. (শ্রীল প্রভুপাদ জপমালায় জপ করছেন, ভক্তরাও জপ করছেন) তোমার নাম কি?
বিলঃ বিল।
শ্রীল প্রভুপাদ: সুতরাং তোমার পারমার্থিক নাম হলো বিলাস বিগ্রহ। বিলাস বিগ্রহ। ভি-আই-এল-এ-এস, ভি-আই-জি-আর-এ-এইচ-এ। বিলাস বিগ্রহ। তুমি এখান থেকে শুরু করবে, বড় গুটি: হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে/ হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। এই আঙুল দিয়ে তুমি ছুঁতে পারবে না। একইভাবে পরেরটি। এভাবে তুমি এদিকে চলে আসবে, আবার এদিক থেকে শুরু করবে ঐদিকে যাওয়ার জন্য। তোমার গুরুভাইয়েরা তোমাকে শিখিয়ে দেবে। এছাড়াও দশ ধরনের অপরাধ আছে যেগুলো তোমাকে এড়িয়ে চলতে হবে। যেগুলো আমি ব্যাখ্যা করব। তুমি এই দশ ধরনের অপরাধ আছে এমন কাগজ পেয়েছ?
ভক্ত: হ্যাঁ।
শ্রীল প্রভুপাদ: প্রণাম কর। (প্রতিটি শব্দ বিলাস বিগ্রহ পুনরাবৃত্তি করছে)
- নমো ওঁ বিষ্ণুপাদায় কৃষ্ণ প্রেষ্ঠায় ভূতলে
- শ্রীমতে ভক্তিবেদান্ত স্বামীন্ ইতি নামিনে হরে কৃষ্ণ
মহামন্ত্র জপ কর এবং সুখী হও। ধন্যবাদ। হরে কৃষ্ণ। (ভক্তরা জপ করছে) তোমার নাম?
রব্: রব্।
প্রভুপাদ: রব্। সুতরাং তোমার আধ্যাত্মিক নাম হলো রেবতীনন্দন। আর-ই-ভি-এ-টি-আই, রেবতী, নন্দন, এন-এ-এন-ডি-এ-এন। রেবতীনন্দন মানে রেবতীর পুত্র। রেবতী ছিল বসুদেবের পত্নীদের একজন, কৃষ্ণের বিমাতা। এবং বলরাম ছিলেন তার পুত্র। সুতরাং রেবতীনন্দন মানে বলরাম। রেবতীনন্দন দাস ব্রহ্মচারী, তোমার নাম। এখান থেকে জপ করা শুরু করবে এবং এভাবে চলতে থাকবে। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে/ হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। তারপর পরেরটি। এভাবে, তুমি এদিকে চলে আসবে, আবার এদিক থেকে শুরু করবে। তোমার গুরুভাইয়েরা তোমাকে শিখিয়ে দেবেন। প্রণাম কর। প্রণাম কর। (প্রতিটি শব্দ রেবতীনন্দন পুনরাবৃত্তি করছে)
- নমো ওঁ বিষ্ণুপাদায় কৃষ্ণপ্রেষ্ঠায় ভূতলে
- শ্রীমতে ভক্তিবেদান্ত স্বামীন্ ইতি নামিনে
এখন তোমার জপমালা নাও। শুরু কর। জপ। (ভক্তরা জপ করছে) এটি কি দিয়ে তৈরী? ধাতু? এত ওজন কেন এটার?
যুবক: এটি একটি বীজ, স্বামীজি।
শ্রীল প্রভুপাদ: ওহ, এটি বীজ? এটি কিসের বীজ?
যুবক: আমি জানি না। একটি বড় বীজ।
শ্রীল প্রভুপাদ: এটির অনেক ওজন। ঠিক বুলেটের মত। কৃষ্ণ বুলেট। (হাসি) (ভক্তরা জপ করছে) সুতরাং তোমার আধ্যাত্মিক নাম হলো শ্রীমতি দাসী। শ্রীমতি। এস-আর-আই-এম-এ-টি-আই। শ্রীমতি দাসী। শ্রীমতি মানে রাধারাণী।
শ্রীমতিঃ এর মানে কি?
শ্রীল প্রভুপাদঃ শ্রীমতি মানে রাধারাণী। সুতরাং রাধারাণী দাসী মানে তুমি রাধারাণীর দাসী। কখনও ভেবো না যে তুমি এই পৃথিবীর দাসী। (মৃদুহাসি) রাধারাণীর দাসী হওয়া খুবই সৌভাগ্যের বিষয়। হ্যাঁ। সুতরাং শ্রীমতি দাসী, তোমার নাম। সুতরাং তুমি এদিক থেকে জপ করা শুরু করবে, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে/ হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। এরপর পরেরটি। এভাবে তুমি এদিকে চলে আসবে এবং আবার এদিক থেকে শুরু করবে। কমপক্ষে ষোল মালা। (প্রতিটি শব্দ শ্রীমতি পুনরাবৃত্তি করছে)
- নমো ওঁ বিষ্ণুপাদায় কৃষ্ণপ্রেষ্ঠায় ভূতলে
- শ্রীমতে ভক্তিবেদান্ত স্বামীন্ ইতি নামিনে
আচ্ছা বেশ। এই নাও। সুখী হও।
শ্রীমতি: হরে কৃষ্ণ।
শ্রীল প্রভুপাদ: সুতরাং এই কাগজটি কোথায়, দশ ধরনের অপরাধ? এই কাগজটি কোথায়? জপ করার তিনটি ধাপ রয়েছে। এগুলো কি?
যুবক: এই ছবিটি সে এঁকেছে।
শ্রীল প্রভুপাদ: ওহ, এটি তুমি এঁকেছ? ভালো। খুব সুন্দর। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জাহ্নবা: কৃপা করে, আপনি কি এটি শেরনকে দিবেন? আপনি কি আপনার আশীর্বাদসহ এটি শেরনকে দিবেন?
যুবক: শ্রীমতি দাসী।
শ্রীল প্রভুপাদ: ওহ, এটি একটি উপহার।
শ্রীমতি: ধন্যবাদ।