BN/Prabhupada 0439 - আমার গুরুদেব বুঝতে পেরেছিলেন যে আমি একটা মূর্খ
Lecture on BG 2.8-12 -- Los Angeles, November 27, 1968
তদ্বিজ্ঞানার্থং স গুরুং ইভাবিগচ্ছেৎ (মুন্ডক উপনিষদ ১।২।১২) তদ্ বিজ্ঞানার্থং, এই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য একজনকে গুরুদেব গ্রহণ করতে হবে। গুরুম্ ইভ, অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় এটি শেখার কোন সম্ভাবনা নেই অতএব এখানে শ্রীকৃষ্ণকে অর্জুনের আধ্যাত্মিক গুরুদেব হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, এবং একজন আধ্যাত্মিক গুরুদেব হিসেবে অথবা বাবা হিসেবে অথবা শিক্ষক হিসেবে, তাঁর পুত্রকে বা শিষ্যকে তাচ্ছিল্য করার অধিকার আছে... একজন পুত্র কখনোই অসন্তুষ্ট হয় না যখন তার বাবা তাকে তাচ্ছিল্য করে। এই শিষ্টাচার সব জায়গায় আছে। এমনকি বাবা যদি কখনো হিংস্রও হয়, শিশুটি বা পুত্রটি তা সহ্য করে। প্রহ্লাদ মহারাজ হলো তার প্রকৃত উদাহরণ। যে ছিল নিষ্পাপ, কৃষ্ণভাবনাময় শিশু, কিন্তু তার বাবা তাকে নির্যাতন করেছিলেন। সে কখনো কিছু বলে নি। "সব ঠিক আছে।" একইভাবে শ্রীকৃষ্ণ, আধ্যাত্মিক গুরুদেবের স্থান গ্রহণ করার পর পরই, অর্জুনকে একজন সেরা নির্বোধ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ঠিক যেমন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুও বলেছিলেন যে, "আমার আধ্যাত্মিক গুরুদেব আমাকে একজন সেরা বোকা হিসেবে আবিষ্কার করেছেন (চৈ.চ. আদি ৭।৭১) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কি বোকা ছিলেন? এবং এটি কি সম্ভব যে কেউ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আধ্যাত্মিক গুরুদেব হতে পারেন? এই উভয়ই অসম্ভব। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, এমনকি নিজেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার হিসেবেও মানতে চান নি, যেন তুমি তাকে সহজে একজন সাধারণ বুদ্ধিমান বা মানুষ হিসেবে গ্রহণ কর, তাঁর বুদ্ধিমত্তার কোন তুলনা হয় না। কিন্তু তিনি বলেছেন যে, "আমার আধ্যাত্মিক গুরুদেব আমাকে একজন সেরা বোকা হিসেবে আবিষ্কার করেছেন।" এর অর্থ কি? এর অর্থ হলো "একজন ব্যক্তি, এমনকি আমার অবস্থানে থেকেও, সবসময় তার আধ্যাত্মিক গুরুদেবের সামনে বোকা হবে। এটি তার জন্যই ভালো।" কেউ আরোপ করতে পারবে না যে, "তুমি কি জানো? আমি তোমার থেকে ভালো জানি।" এই অবস্থানটি অস্বীকৃত নয়। এবং অন্য দিকটি হল, শিষ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে, কেন সে একজন ব্যক্তির সামনে সবসময় বোকা থাকবেন? যদি না সে অনুমোদিত হয়, প্রকৃতপক্ষে সে এত মহান যে আমাকে বোকা হিসাবে শেখাতে পারে। একজনকে এইভাবে আধ্যাত্মিক গুরুদেব নির্বাচন করতে হবে এবং আধ্যাত্মিক গুরুদেব নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথে, তাকে সবসময় বোকা হতে হবে, যদিও সে বোকা নাও হতে পারে। কিন্তু ভাল অবস্থানটি এর মতো। তাই অর্জুন, বন্ধু হিসাবে একই স্তরে থাকার পরিবর্তে, স্বেচ্ছায় শ্রীকৃষ্ণের সামনে বোকা হতে মেনে নিচ্ছেন। এবং শ্রীকৃষ্ণ তা গ্রহণ করছেন "তুমি একজন বোকা ব্যক্তি। তুমি বুদ্ধিমানের মত কথা বলছ, কিন্তু তুমি একজন বোকা ব্যক্তি, কারণ তুমি এমন বিষয় নিয়ে শোক করছ যা নিয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তি শোক করেন না।" তার মানে "একজন বোকা শোক করে," তাই তুমি একজন বোকা ব্যক্তি।" এটি হলো এভাবে ঘূর্ণন... ঠিক যেমন, যুক্তিকে কী বলা হয়? প্রথম বন্ধনী? বা এরকম কিছু বলা হয়। হ্যাঁ, আমি যদি বলি যে "আপনি ঐ ব্যক্তিটির মত দেখতে যে আমার ঘড়ি চুরি করেছে," তার মানে, "তুমি দেখতে চোরের মত।" অনুরূপভাবে, শ্রীকৃষ্ণ প্রায় একইভাবে বলেছেন যে "আমার প্রিয় অর্জুন, তুমি ঠিক একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির মতো কথা বলছ, কিন্তু তুমি এমন বিষয় নিয়ে শোক করছ যা নিয়ে কোন বুদ্ধিমান মানুষই শোক করে না। "