BN/Prabhupada 0456 - আমাদের ভেতরে যে জীবসত্ত্বা দেহকে চালিত করছে তিনিই উৎকৃষ্টা শক্তি



Lecture on SB 7.9.6 -- Mayapur, February 26, 1977

শ্রীমদ্ভগবদগীতাতে বলা হয়েছে,

ভূমিঃ অপো অনলো বায়ুঃ
খম্‌ মনো বুদ্ধির এব চ ...
ভিন্ন মে প্রকৃতির অষ্টধা
(শ্রীমদ্ভাগবদগীতা ৭।৪)

এই মায়াবাদী ব্যক্তিরা - বিজ্ঞানী, চিকিত্সক এবং অন্যান্য অনুমানকারীরা - তারা এই ভৌতিক উপাদানগুলির সাথে কাজ করছে - পৃথিবী, জল, আগুন, বায়ু, গন্ধ, মন, মনোবিজ্ঞান, বা, সামান্য উন্নত, বুদ্ধি, তবে তার থেকে বেশি নয়। তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। তারা এই ভৌতিক, উপাদানগুলি সঙ্গে জড়িত। তাদের কোন আধ্যাত্মিক জ্ঞান নেই। শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন ... আমরা শ্রীমদ্ভাগবাদ-গীতা থেকে তথ্য পেয়েছি , অপারেয়াম : "এই আটটি উপাদান, সেগুলি নিম্নমানের।" সুতরাং, কারণ তারা কেবল এই নিকৃষ্ট প্রকৃতির সাথে আচরণ করে, তাদের জ্ঞান নিকৃষ্ট হয়। এটা একটা সত্য। এমন নয় যে আমি দোষ দিচ্ছি। না।এটি হল... তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। বড়, বড় অধ্যাপক, তারা বলে যে এই শরীর শেষ হয়েগেছে ... "দেহ সমাপ্ত" অর্থ পঞ্চতত্ত্ব-প্রাপ্ত। তারা জানে না যে আরও একটি দেহ আছে, সূক্ষ্ম শরীর - মন, বুদ্ধি, অহং। তারা জানে না। তারা ভাবছে এই পৃথিবী, জল, বায়ু, আগুন, গন্ধ, এত টুকু ... "এটি শেষ হয়েগেছে I আমি দেখছি, হয় আপনি দেহটি পুড়িয়ে ফেলুন বা মৃতদেহ সমাহিত করুন, সমাপ্ত, সবকিছু শেষ। আর অন্য বস্তুটি কোথায়? " সুতরাং তাদের কোন জ্ঞান নেই। সুতরাং তাদের সূক্ষ্ম দেহ, পৃথিবী, জল সম্পর্কেও জ্ঞান নেই যা আত্মাকে বহন করে, এবং তারা আত্মার সম্পর্কে কী জানবে?

তাই শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভগবদগীতায়, তথ্য দিয়েছেন অপেরায়মে : "এই উপাদানগুলি এমনকি মন, বুদ্ধি, অহংকার পর্যন্ত," ভিন্ন, "এগুলি আমার বিচ্ছিন্ন শক্তি, পৃথক শক্তি। এবং, " অপরেয়াম," এটি নিকৃষ্টমানের। এবং আরও একটি, উচ্চতর প্রকৃতি আছে। " অপারেয়াম ইতস ত্ব বিধি মে প্রকৃতিম পরা (ভ.গী ৭.৫)। পরা অর্থাৎ "উচ্চতর"। এখন, তারা জিজ্ঞাসা করতে পারে, "সেটি কি?" আমরা কেবল এই উপাদানগুলি জানি। সেই অন্য, উচ্চতর শক্তি কী? " জীব ভুতাহ মাহা-বাহো (ভ.গী ৭.৫), স্পষ্ট করে বলাহয়েছে: " সেটি জীবন্ত..." এবং তারা ভাবছেন যে এই আটটি উপাদান বা পাঁচটি উপাদান ছাড়া অন্য কোনও উচ্চতর শক্তি নেই। সুতরাং তারা অজ্ঞতায় রয়েছে। তারা প্রথমবারের মতো কিছু জ্ঞান পাচ্ছে, শ্রীমদ্ভাগবদ-গীতা যথাযথয়, এবং সেখান থেকে তারা জানতে পারে যে আর একটি, উচ্চতর শক্তি, আছে জাহল জিব-ভূতাহ । জীবন্ত সত্তা যা দেহকে সচল করে, সেটাই উচ্চতর শক্তি। সুতরাং তাদের কোনও তথ্য নেই, তেমনি সেই উচ্চতর শক্তিটি বোঝারও চেষ্টাও নেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে। অতএব তারা মূঢ়, মূঢ়। তারা তাদের তথাকথিত জ্ঞান দ্বারা খুব গর্বস্ফীত হতে পারে, কিন্তু বৈদিক জ্ঞান অনুসারে তারা মূঢ়। এবং যদি কেউ উচ্চতর শক্তি, প্রকৃতি, বুঝতে না পারে, তাহলে ঈশ্বরকে কীভাবে বুঝবে? সেটা সম্ভব নয়। তারপরে, ঈশ্বর এবং সর্বোত্তম শক্তির মধ্যে পরস্পর আদান-প্রদান হয়, সেটি ভক্তি। সেটা খুবই কঠিন। মনুষ্যনাম সহশ্রেষু কশ্চিদ য়ততি সিদ্ধয়ে (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ৭।৩)। সেই সিদ্ধয়ে মানে সেই উচ্চতর শক্তি বোঝা। সেটা সিদ্ধি। এবং তার পরে, একজন শ্রীকৃষ্ণকে বুঝতে পারেন।

তাই এটি খুব কঠিন, বিশেষত এই যুগে। মন্দহ সুমন্দ-মতয়ো (শ্রীমদ্ভাগবতম ১.১.১০)। তারা হল ...মন্দঃ মানে তারা আগ্রহী নয়, বা এমনকি যদি তারা অল্প আগ্রহী হয়, তারা খুব ধীর। তারা বুঝতে পারে না এটিই মূল জ্ঞান। এবং সর্বপ্রথম আপনার এটি অবশ্যই জানা উচিত, অথতো ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা, সেই উচ্চতর জ্ঞান। এটা প্রয়োজন। তবে সবাই অবহেলা করছে। কোনও অনুসন্ধিৎসা নেই এমনকি কি সেই বস্তু যা এই দেহটিকে সচল করছে। কোনও জিজ্ঞাসা নেই। তারা ভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, জড় উপাদানের সংমিশ্রণ দ্বারা ... তারা তবুও এই বিষয়টিতে অবিচল থাকে এবং আপনি যখন আপত্তি করেন, "আপনি এই রাসায়নিক-টি নিন এবং জীবন্ত শক্তি প্রস্তুত করুন," তারা বলবে, " তা আমি করতে পারি না।" আর এ কী? যদি আপনি না করতে পারেন তবে আপনি কেন বাজে কথা বলছেন, যে " পদার্থ বা রাসায়নিকের সংমিশ্রণটি জীবন দেয় "? আপনি রাসায়নিক নিন... ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের ডাঃ স্বরূপ দামোদর, একজন বড় অধ্যাপক রাসায়নিক বিবর্তনে বক্তৃতা দিতে এসেছিলেন এবং তিনি তত্ক্ষণাত আপত্তি জানালেন, যে "আমি যদি আপনাকে রাসায়নিকগুলি দিয়ে থাকি তবে আপনি কি জীবন উত্পন্ন করতে পারবেন?" তিনি বললেন, "যা আমি পারব না।" ( হাসি ) সুতরাং এটি তাদের অবস্থান। তারা তা প্রমাণ করতে পারে না। তারা তা করতে পারে না।