BN/Prabhupada 0539 - এই কৃষ্ণভাবনামৃতকে বোঝার চেষ্টা করুন



Janmastami Lord Sri Krsna's Appearance Day Lecture -- London, August 21, 1973

সুতরাং আসলে যদি আমরা সমাজে শান্তি ও প্রশান্তির কথা ভাবি তাহলে আমাদের অবশ্যই শ্রীকৃষ্ণকে বোঝার জন্য খুব ঐকান্তিক হতে হবে। সেটাই আমাদের অনুরোধ। এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলনকে অবহেলা করবেন না এই আন্দোলন জীবনের সমস্ত সমস্যা, বিশ্বের সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে পারে। সামাজিক, রাজনৈতিক, দার্শনিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক - কৃষ্ণ ভাবনামৃত দ্বারা সবকিছু সমাধান করা যায়। সুতরাং, আমরা যারা নেতা তাদের অনুরোধ করছি, যেমন এখানে সম্মানিত অতিথি মহোদয় উপস্থিত আছেন, এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলনটি বোঝার চেষ্টা করা উচিত। এটি অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক, অনুমোদিত। এটি কোনও মানসিক জল্পনাকল্পনা বা সংবেদনশীল আন্দোলন নয়। এটি সবচেয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক আন্দোলন সুতরাং আমরা সমস্ত দেশ থেকে সমস্ত নেতাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি: বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি যদি ধীর হন, যদি আপনি আসলে যৌক্তিক হন, আপনি বুঝতে পারবেন যে এই কৃষ্ণ ভাবনামৃতে আন্দোলন সমগ্র মানব সমাজের কল্যাণে মহত্তম আন্দোলন। এটি সত্য। যে কেউ আসতে পারে। আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। কৃষ্ণ ভুলিয়া জীব ভোগ বাঞ্ছা করে। আমাদের...

আমাদের মানবজীবন, মানব জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল অমরত্ব অর্জন। ত্যক্ত্বা দেহম্‌ পুনর্জন্ম নৈতি (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৪।৯)। এটি আমাদের ... আমরা এটিকে ভুলে গেছি। আমরা কেবল বিড়াল এবং কুকুরের জীবনযাপন করছি, কোন জ্ঞান ছাড়াই যে আমরা জীবনের সেই পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারি যখন আর কোন জন্ম হবে না, আর মৃত্যু হবে না। এমনকি আমরা বুঝতে পারি না যে অমৃতত্ব পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সবকিছুই সম্ভব। অমৃতত্বাম। কেউ মরতে চায় না। এটি সত্য। কেউ বুড়ো হতে চায় না, কেউ অসুস্থ হতে চায় না। এটি আমাদের স্বাভাবিক প্রবণতা। কেন? কারণ মূলত, আমাদের চিন্ময় রূপে কোনও জন্ম নেই, মৃত্যু নেই, বার্ধক্য নেই, কোনও রোগ নেই। সুতরাং জলজ, পাখি, জন্তু, গাছপালা থেকে বিবর্তন প্রক্রিয়ার পর, আপনি যখন এই রূপে আসেন মানুষের দেহে আসার পর... অশীতিম চতুরশ্চৈব লক্ষাম্‌ তদ্ জীব জাতিসু। এটি বিবর্তন প্রক্রিয়া। আমরা দেহের মানব রূপে আসি। তখন আমাদের জানা উচিত জীবনের লক্ষ্য কী। জীবনের লক্ষ্য অমৃতত্বাম, অমর হয়ে ওঠা। যে ... আপনি শুধু কৃষ্ণ ভাবনাভাবিত হয়ে অমর হয়ে উঠতে পারেন। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন। এটি সত্য। আমাদের বুঝতে হবে। জন্ম কর্ম চ মে দিব্যম্‌ যো বেত্ত্বি তত্ত্বতঃ। আপনি যদি সত্যি, তত্ত্বতঃ শ্রীকৃষ্ণকে বোঝার চেষ্টা করেন তবে, তবে, ত্যাক্তা দেহম পুনর্জন্ম নৈতি (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৪।৯)। এই দেহটি ছেড়ে দেওয়ার পরে, আপনি আর কোনও ভৌতিক দেহ গ্রহণ করবেন না। এবং যখনই আপনি কোনও ভৌতিক শরীর গ্রহণ করবেন না এর অর্থ আপনি অমর হয়ে গেছেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই আমরা অমর।

তাই শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হন, শ্রীকৃষ্ণ আমাদের এই শিক্ষা দেয়ার জন্য, যে "তুমি স্বরূপত অমর। আত্মা হিসাবে তুমি আমার অংশ। আমি অমর। সুতরাং তুমিও অমর। অযথা, তুমি এই জড় জগতে সুখী হওয়ার চেষ্টা করছ। "

মমৈবাংশো জীবভূতো

জীবলোকে সনাতনঃ
মনঃ ষষ্ঠানিন্দ্রিয়ানি
প্রকৃতিস্থানি কর্ষতি
(শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৫।৭)।

কেবল সংগ্রাম করে যাচ্ছে.. অকারণে। সর্বোত্তম বিষয়টি হল তুমি বিভিন্ন দেহে কেবল ইন্দ্রিয় সুখ ভোগ করে যাচ্ছ বিড়াল, কুকুর, দেবতা, গাছের মতো, পোকামাকড়ের মতো। এখন, এই জীবনের মানব রূপে, ইন্দ্রিয়ময় জীবনে মোহিত হবেন না। শুধু শ্রীকৃষ্ণকে বোঝার চেষ্টা করুন। এটাই শাস্ত্রের রায়। নায়ম্‌ দেহো দেহ-ভাজাম নৃলোকে কষ্টান্‌ কামান্‌ অর্হতে বিড্‌ভুজাম্‌ যে (শ্রীমদ্ভাগবতম ৫।৫।১)। ইন্দ্রিয় তৃপ্তির জন্য কুকুর এবং শূকরের মতো খুব পরিশ্রম করা, মানব জীবনের লক্ষ্য নয়। মানব জীবন সামান্য কঠোর নীতিনিষ্ঠার জন্য। তপো দিব্যম্‌ পুত্রকা যেন শুদ্ধেদ্‌ সত্ত্বম্‌। আমাদের আমাদের অস্তিত্বকে পবিত্র করতে হবে। এটাই মানব জীবনের লক্ষ্য। কেন আমি আমার সাত্ত্ব অস্তিত্বকে পবিত্র করব? ব্রহ্ম-সৌখ্যম ত্ব অনন্তম। তারপরে আপনি সীমাহীন আনন্দ, সীমাহীন সুখ পাবেন। এটাই আসল আনন্দ। রমন্তে যোগিনো অনন্তে সত্যানন্দ-চিদ-আত্মনী ইতি রাম পদেনাসৌ পরম ব্রহ্মাভিদিয়তে (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত মধ্য ৯।২৯)।