BN/Prabhupada 0551 - আমাদের ছাত্রদের অনেক ভাল কাজ আছে - রসগোল্লা



Lecture on BG 2.62-72 -- Los Angeles, December 19, 1968

প্রভুপাদ: পরং দৃষ্টা নিবর্ততে (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২।৫৯)। পরম, যদি তুমি আরও ভাল জিনিস পাও, তাহলে তুমি নিকৃষ্ট মানের জিনিস ত্যাগ করবে। এটাই আমাদের স্বভাব। ঠিক যেমন আমাদের ছাত্ররা, আমেরিকান ছাত্রছাত্রীরা সবাই মাংস খাওয়ায় অভ্যস্ত ছিল। কিন্তু এখন অন্য একজন ছাত্রী, সে রসগোল্লা প্রস্তুত করছে, ইসকন বল, আর তারা মাংস খাওয়া ভুলে যাচ্ছে। তারা আর মাংস খাওয়া পছন্দ করে না। তারা আরও উন্নত স্বাদ পেয়েছে, রসগোল্লা পেয়েছে। (হাসি) একইভাবে, এই হল উপায়। যখন তুমি আরও ভাল কাজে নিযুক্ত হবে... আমরা আনন্দ লাভ করার জন্য লালায়িত। আনন্দময়ো ভ্যাসাৎ (বেদান্ত সূত্র ১।১।১২)। প্রতিটি জীব আনন্দ খুঁজছে। এটিই তার স্বভাব। তুমি এটি থামাতে পারবে না। যদি তুমি থামাও ... ঠিক যেমন কোনও শিশু কিছু উপভোগ করার চেষ্টা করছে, সে কিছু ভেঙ্গে ফেলে এটিকে উপভোগ করছে। কিন্তু সে করে না, তা... সে ভাঙছে, তবে সে কেবল সেই ভাঙ্গাটাকে উপভোগ করছে। একইভাবে, জীবনের এই জাগতিক ধারণায় আমরা জানি না যে আনন্দ কি। আমরা ভাঙ্গছি আর গড়ছি। তোমাদের দেশে আমি বেশ কয়েকটি জায়গায় দেখেছি। সুন্দর অট্টালিকা ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং আবার সেই স্থানেই আরেকটি অট্টালিকা বানানো হয়েছে। দেখেছো? ভাঙা এবং গড়া। ভাঙা এবং ... "ওহ, এই ইমারতটি পুরানো। এটি ভেঙে ফেলো।" সেই একই শিশুবৎ খেলা। দেখেছো? প্রচেষ্টার অপচয় মাত্র, এই মানব জীবনের মূল্যবান সময়ের অপচয়। ভাঙা আর গড়া, ভাঙা আর গড়া। "এই মোটরগাড়িটি অকেজো। আরেকটি '৬৯ সালের মডেল।" এবং হাজার হাজার মানুষ সেই '৬৯ সালের মডেলের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। দেখেছো? এসব কি? সারমর্ম হচ্ছে, ভাঙা আর গড়া, ভাঙা আর গড়া। ঠিক শিশুর মতো। দেখেছো? সুতরাং যদি না কেউ কৃষ্ণভাবনামৃতের উন্নততর সেবায় নিযুক্ত থাকে, তাহলে নিশ্চিতরূপে তারা এই ভাঙ্গা আর গড়ার কাজে নিযুক্ত হয়ে পড়বে। শিশুবৎ কাজ। পরং দৃষ্টা নিবর্ততে (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২।৫৯)। এবং এখনও পর্যন্ত আমাদের কৃষ্ণভাবনাময় ছাত্ররা, তারা চব্বিশ ঘন্টার চেয়ে আরও দুই ঘন্টা বেশি পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা এত বেশি সেবা পেয়েছে।

সুতরাং যদি না কেউ কৃষ্ণভাবনামৃতের কাজে নিযুক্ত থাকে, সে অবশ্যই মায়ার সেবায় নিযুক্ত থাকবে, একই জিনিস। লোকেরা এই ধরনের কাজের প্রশংসা করতে পারে, "ওহ, তিনি কত অর্থবান লোক। তিনি এত সুন্দর একটা দালান ভেঙে দিয়েছেন এবং আবার একটি সুন্দর দালান বানিয়েছেন। " সুতরাং, জড়জাগতিক বিবেচনা অনুযায়ী এটি খুব ভালো, কিন্তু আধ্যাত্মিক বিবেচনায় তারা কেবল সময় নষ্ট করছে। (গান) হরি হরি বিফলে জনম গোয়াইনু, সেই গান। (গান) মনুষ্য জনম পাইয়া, রাধাকৃষ্ণ না ভজিয়া, জানিয়া শুনিয়া বিষ খাইনু। জেনেশুনে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে, আমি বিষ খাচ্ছি। বিষ। বিষ কেন? এই মুল্যবান মনুষ্য জীবনের সময় নষ্ট করা হল বিষ পান করা। ঠিক যেমন এক ব্যক্তি বিষ পান করে। তার পরবর্তী জীবন কি হবে, তা সে জানে না। সে ভূতে পরিণত হতে চলেছে। বহু বছর ধরে, শাস্তি হিসাবে তার কোন জড় দেহ থাকবে না। তোমরা দেখেছ? গৌরসুন্দর আমাদের ভগবৎদর্শন পত্রিকায় ভূতের একটি নিবন্ধ লিখেছে। ইংল্যান্ডে, সেই ভূত যে ক্রোমওয়েলের সাথে লড়াই করেছিল? এখনও যুদ্ধ চলছে। রাতে যুদ্ধ চলার শব্দ হয়। দেখছো? সুতরাং বিষ মানে হচ্ছে, এই মনুষ্য জীবনটি হচ্ছে কৃষ্ণ ভাবনামৃতে ফিরে আসার এবং পরম পুরুষোত্তম ভগবানের কাছে ফিরে যাওয়ার সুযোগ। তবে আমরা যদি এই কৃষ্ণভাবনামৃতে নিযুক্ত না হয়ে, কেবল এই ভাঙা গড়ায় নিযুক্ত থাকি, তাহলে আমরা কেবল বিষ পান করছি। তার মানে পরবর্তী জীবনে আমাকে জন্ম এবং মৃত্যুর চক্রে নিক্ষেপ করা হবে ৮,৪০০,০০০ প্রজাতির জীবনের মধ্যে আমার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। কত লক্ষ লক্ষ বছর আমাদের ভ্রমণ করতে হবে তা আমরা জানি না জন্ম আর মৃত্যুর চক্রে। সুতরাং এটি বিষ।