BN/Prabhupada 0592 - তোমাকে কেবল শ্রীকৃষ্ণের কথা চিন্তা করতে হবে সেটিই হচ্ছে সিদ্ধি



Lecture on BG 2.20 -- Hyderabad, November 25, 1972

প্রভুপাদঃ সুতরাং এটি হচ্ছে অভ্যাসের ব্যাপার। আপনাকে শুধু কৃষ্ণ চিন্তায় আসতে হবে। এটিই হচ্ছে পূর্ণতা। কিন্তু আপনি যদি বহু বিষয় নিয়ে বিভ্রান্ত থাকেন, তাহলে সেখানে কুকুর, বিড়াল, হরিণ অথবা দেবতা বা যেকোনো কিছু হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

ভারতীয়ঃ মহারাজ,আপনি কেন......?

প্রভুপাদঃ যংযং বাপি স্মরণ্‌ ভাবংত্যজত্যন্তে কলেবরম্‌ (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ৮.৬) । মৃত্যুর সময় আপনি যেরকম বাসনা করবেন, সেই অনুসারে পরবর্তী দেহ লাভ করবেন। এটিই হচ্ছে প্রকৃতির আইন। (বিরতি) ......রাশিয়ায়, মস্কোতে অনেক যুবক ছেলেরা আছে, তারা এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনকে গ্রহণ করার জন্য খুবই উদ্গ্রীব। এবং তাদের কিছু আমার দ্বারা দীক্ষিতও হয়েছে আর তারা চালিয়েও যাচ্ছে। ঠিক যেমন এই ছেলেগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এই...... আমার যতদূর অভিজ্ঞতা রয়েছে, যেখানেই আমি গিয়েছি , মানুষ একই রকম। এটি কৃত্তিমভাবে, আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে, তাদেরকে কৃত্তিমভাবে কম্যুনিস্ট বা অমুক তমুক হিসেবে উপাধি দেয়া হয়েছে। ( বিরতি )। ...... জনগণ, সবাই একইরমকম। যেইমাত্র আমরা কৃষ্ণভাবনামৃত সম্পর্কে বলি ,তারা তৎক্ষণাৎ সারা দেয়। এটি আমার অভিজ্ঞতা। প্রকৃতপক্ষে এটি সত্য। শ্রীচৈতন্য চরিতামৃতে বলা হয়েছে, নিত্যসিদ্ধ কৃষ্ণভক্তি সাধ্য কভু নয়, শ্রবণাদি শুদ্ধচিত্তে করয়ে উদয় (চৈ চ মধ্য ২২.১০৭)। কৃষ্ণভাবনামৃত প্রত্যেকের হৃদয়ে রয়েছে। এটি সুপ্ত। কিন্তু এটি জড়জগতের নোংরা বস্তু দ্বারা কলুষিত আর আচ্ছাদিত রয়েছে। তাই শ্রবণাদি শুদ্ধচিত্তে। এর অর্থ, যখন আপনি শ্রবণ করছেন....... ঠিক যেমন এই ছেলেগুলো, এইসব আমেরিকান আর ইউরোপীয়াণ ছেলেগুলো, এরা প্রথমে আমার কাছে এসেছিল শ্রবণ করতে। শ্রবণ করতে করতে এখন তাদের কৃষ্ণভাবনামৃত জাগরিত হয়েছে এবং তারা কৃষ্ণভক্তিকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করেছে। ( বিরতি )। প্রত্যেকের হৃদয়ে কৃষ্ণচেতনা রয়েছে। আমাদের এই সঙ্কীর্তন আন্দোলন প্রক্রিয়াটি হচ্ছে এই কৃষ্ণচেতনাকে জাগিয়ে তোলার জন্য। এই যা। ঠিক যেমন একটি মানুষ ঘুমাচ্ছে। তাকে জাগিয়ে তোলার জন্যঃ "উঠ উঠ।" উত্তিষ্‌ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান নিবধত। সুতরাং এটিই হচ্ছে আমাদের প্রক্রিয়া। এটি এমন নয় যে আমরা কাউকে কৃত্তিমভাবে কৃষ্ণভাবনাময় করছি। কৃষ্ণভাবনামৃত ইতোমধ্যেই সেখানে রয়েছে। এটি প্রত্যেক জীবের জন্মগত অধিকার। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, মমৈবাংশ জীব-ভূতঃ (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ১৫.৭)। ঠিক যেমন পিতা এবং পুত্র। এখানে কোন বিচ্ছেদ হতে পারে না। কিন্তু অনেক সময় এমন ঘটে যে, পুত্র বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, কোন সুযোগ পেয়ে অথবা ছোট বেলা থেকেই । সে ভুলে যায় তার পিতা কে। সেটি ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু পিতা এবং পুত্রের মধ্যকার সম্পর্ক কখনও ভেঙ্গে যায় না।