BN/Prabhupada 0629 - বিভিন্ন পোষাকে আমরা ভগবানের বিভিন্ন সন্তান
Lecture on BG 2.13 -- Pittsburgh, September 8, 1972
সুতরাং কৃষ্ণ ভাবনাময় হওয়ার জন্য আমাদেরকে মাত্র তিনটি জিনিস বুঝতে হবেঃ
- ভোক্তারং যজ্ঞতপসাং
- সর্বলোক মহেশ্বরম্,
- সুহৃদং সর্বভূতানাম্,
- জ্ঞাত্বা মাম্ শান্তিমৃচ্ছতি
আমরা সকলেই সুখী হতে চাইছি, সন্তুষ্ট হতে চাইছি। সেটিই হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের সংগ্রাম। কিন্তু আমরা যদি এই তিনটি মূলনীতি বুঝতে পারি যে ভগবান হচ্ছেন পরম পিতা, ভগবান হলেন সবকিছুর মালিক, ভগবানই পরম সুহৃদ, এই তিনটি জিনিস, যদি আপনারা এগুলো বুঝতে পারেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ আপনারা শান্তিপূর্ণ হতে পারবেন। তৎক্ষণাৎ। আপনারা কত কত বন্ধুদের সাহায্য পেতে চাইছেন। কিন্তু আমরা যদি শুধুমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে আমাদের বন্ধুরূপে, পরম বন্ধুরূপে গ্রহণ করি, তাহলে আমাদের বন্ধুত্বের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। একইভাবে আমরা যদি ভগবানকে সবকিছুর পরম অধীশ্বর বলে গ্রহণ করে নিই, তাহলে আমাদের বাকি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কারণ আমরা সেইসব জিনিসের ওপর আমাদের মিথ্যা মালিকানা দাবী করছি, যা আসলে ভগবানের। মিথ্যা দাবী করছো যে, 'এই আমেরিকা ভূ-খণ্ডটি আমেরিকাবাসীদের, আফ্রিকা ভূখণ্ডটি আফ্রিকানদের"। না। গোটা পৃথিবীটা ভগবানের। আমরা বিভিন্ন পোষাকে ভগবানের বিভিন্ন সন্তান মাত্র। আমাদের অধিকার রয়েছে, অন্যদের অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে, ভগবান বা আমাদের পরম পিতার সম্পত্তি ভোগ করার। ঠিক যেমন আমরা অনেক ভাইয়েরা যখন একটি পরিবারে বসবাস করছি, আমাদের পিতা-মাতারা আমাদের যা দেন, আমরা তাই-ই খেয়ে থাকি। আমরা আরেকজনের থালার খাবার জোর করে গ্রাস করি না। সেটি কোন সভ্য পরিবার নয়। ঠিক একইভাবে, যদি আমরা ভগবৎচেতনাময় হই, কৃষ্ণভাবনাময় হই, তাহলে সারা বিশ্বের যত সমস্যা - সমাজবিজ্ঞান, ধর্ম, অর্থনৈতিক উন্নতি, রাজনীতি - সবকিছুরই সমাধান হয়ে যাবে। সেটিই হচ্ছে বাস্তব সত্য।
তাই আমরা মানব সমাজের পরিপূর্ণ কল্যাণের জন্য এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছি। তাই আমরা বুদ্ধিমান লোকেদের, বিশেষ করে ছাত্র সম্প্রদায়কে এই আন্দোলনে যোগদান করতে অনুরোধ করছি, যাতে করে তারা এই অন্দোলনটিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বুঝতে চেষ্টা করেন। আমাদের অনেক গ্রন্থ রয়েছে, কমপক্ষে দু-ডজন গ্রন্থ বড় বড় আকারের গ্রন্থ রয়েছে। সুতরাং আপনারা সেগুলো পড়তে পারেন, এই অন্দোলনটিকে বোঝার চেষ্টা করতে পারেন এবং আমাদের সাথে যোগদান করুন। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। হরে কৃষ্ণ।
(শ্রোতারা হাততালি দিচ্ছেন)।