BN/Prabhupada 0661 - এইসব ছেলেদের চেয়ে উন্নত ধ্যানী আর কেউই হতে পারে না। ওরা কেবল শ্রীকৃষ্ণে মনোনিবেশ করছে



Lecture on BG 6.13-15 -- Los Angeles, February 16, 1969

সকলের উচিৎ আমাতে (শ্রীকৃষ্ণ) ধ্যান করা। এবং চরমে ধ্যান কোথায় হচ্ছে। ধ্যান শুন্যতে নয়। কেবল শ্রীবিষ্ণুতে ধ্যান করা উচিৎ। সেটিই হচ্ছে সাংখ্য যোগ।

সর্বপ্রথম কপিলদেবের দ্বারা এই সাংখ্যযোগ প্রণীত হয়েছে। তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একজন অবতার। এই হচ্ছে যোগের রহস্য। ঋজু আসনে বসা এবং নাসিকার অগ্রভাগ দেখার এই অভ্যাস এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের মনকে শ্রীবিষ্ণু বা শ্রীকৃষ্ণের রূপে নিবদ্ধ করা। আমার (কৃষ্ণের) ধ্যান করা উচিৎ। এই ধ্যান মানে হল শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান। এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে সরাসরি শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করা হয়, আর কিছু নয়... অতএব এই সব ছেলে-মেয়েদের চেয়ে আর কোন উন্নত ধ্যানী হতে পারে না। এঁরা সবাই শ্রীকৃষ্ণে মন নিবদ্ধ করছে। এঁদের সকলের কেবল শ্রীকৃষ্ণকে নিয়েই সব কাজ। এঁরা বাগানে কাজ করছে, মাটি খুঁড়ছে, "ওহ, এই বাগানে খুব সুন্দর গোলাপ ফুল ফুটবে, আমরা সেগুলি শ্রীকৃষ্ণের চরণে অর্পণ করব"। ধ্যান। ব্যবহারিক ধ্যান। আমি গোলাপ উৎপাদন করব আর সেগুলো শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণ করা হবে। এমন কি মাটি খননের মধ্যেও ধ্যান করা হচ্ছে, বুঝতে পারছ? এঁরা খুব সুন্দর উপাদেয় খাদ্য প্রস্তুত করছে আর ভাবছে, "ওহ, এসব শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করা হবে।" সুতরাং রান্না মধ্যেও ধ্যান। তাহলে নৃত্য-কীর্তনের কথা আর কি-ই বা বলার আছে? তারা ২৪ ঘণ্টা শ্রীকৃষ্ণে ধ্যান করছে। আদর্শ যোগী। যে কেউ এসে এই সব ছেলেদের চ্যালেঞ্জ করুক। এঁরাই আদর্শ যোগী।

আমরা সর্বোত্তম যোগপন্থা শিক্ষা দিচ্ছি। খামখেয়ালী ভাবে নয়। ভগবদগীতার শিক্ষানুযায়ী। এসবের কিছুই আমরা মনগড়া বানাই নি। প্রামাণিক উক্তি দ্বারা তা সিদ্ধ। কেবল শ্রীকৃষ্ণে তোমার মনকে নিবদ্ধ কর। অথবা বিষ্ণুতে। আর এভাবে ওঁদের সমস্ত কার্যকলাপ এমনভাবেই বদলে গিয়েছে যে ওঁরা কৃষ্ণচিন্তা না করে থাকতেই পারে না। তাই ওঁরা হচ্ছে সর্বোত্তম ধ্যানী। "তোমার হৃদয়ের অভ্যন্তরে আমার কথা চিন্তা কর আর আমাকেই তোমার জীবনের চরম লক্ষ্য বলে নির্ধারিত কর।" তাই শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন জীবনের চরম লক্ষ্য। এঁরা ওঁদের কৃষ্ণলোকে নিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই এটিই হচ্ছে সর্বোত্তম যোগ পন্থা। এটিই ওঁরা অভ্যাস করছে।