BN/Prabhupada 0754 - আস্তিক ও নাস্তিকদের মাঝে শিক্ষামূলক সংঘর্ষ



Nrsimha-caturdasi Lord Nrsimhadeva's Appearance Day -- Bombay, May 5, 1974

আজকে ভগবান নৃসিংহদেবের আবির্ভাব দিবস। একে বলে নৃসিংহ চতুর্দশী। তাই আমি খুব খুশী যে এতো কম সময়েই ছেলেরা শিখে নিয়েছে যে কীভাবে নাটকটি উপস্থাপনা করবে। আর আমাকে বিশেষ করে হিরণ্যকশিপু যে হয়েছে তাকে ধন্যবাদ দিতে হবে। (করতালি) হিরণ্যকশিপু তার ভূমিকাটা ভালোই করেছে।

তাই এটি বেশ উপদেশমূলক - আস্তিক ও নাস্তিকদের মধ্যে যুদ্ধ প্রহ্লাদ মহারাজের এই লীলাটি চিরন্তন সত্য। নাস্তিক আর আস্তিকদের মধ্যে সবসময়ই যুদ্ধ চলছে যদি কেউ কৃষ্ণভাবনাময় হয়, ভগবদ্ভাবনাময় হয়, তার অনেক শত্রু হয়ে যায় কারণ পৃথিবীটি অসুরে পূর্ণ। ভক্তদের আর কি কথা, এমন কি শ্রীকৃষ্ণ , যখন তিনি ব্যক্তিগত ভাবে আসেন, তখন তাকেও অনেক অসুর হত্যা করতে হয় সেখানে তাঁর মামা, তাঁর মায়ের ভাই ছিলেন খুব গভীরভাবে সম্পর্কিত। তবুও সে শ্রীকৃষ্ণকে হত্যা করতে চেয়েছিল। দেবকীর যখনই কোন পুত্র জন্ম হোত, সাথে সাথেই সে তাদের হত্যা করত , কারণ সে জানত না কোন সন্তানটি কৃষ্ণ হবেন ভবিষ্যদ্বাণী ছিল যে তার বোনের অষ্টম সন্তান কংসকে হত্যা করবে। তাই সে সমস্ত বাচ্চাকে হত্যা করতে শুরু করল। অবশেষে, শ্রীকৃষ্ণ এসেছিলেন। কিন্তু সে কৃষ্ণকে হত্যা করতে পারে নি। বরং শ্রীকৃষ্ণ তাকে হত্যা করেছিল।

সুতরাং কেউ ভগবানকে হত্যা করতে পারে না। অসুরেরা, ধর্মহীন সমাজ, তারা কেবল ভগবানকে হত্যা করতে চায়। কিন্তু আসলে, ভগবানকে কখনই হত্যা করা হয় না, কিন্তু অসুরেরা ভগবানের দ্বারা নিহত হয়। সেটিই প্রকৃতির আইন। সেটিই প্রহ্লাদ মহারাজের শিক্ষা থেকে আমরা পাই আমরা সেটি বুঝতে পারি, যেমনটা ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে মৃত্যু সর্বহরশ্চাহম্‌ (গীতা ১০/৩৪) ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে, "আমি মৃত্যু, সর্বস্য হরণকারীরূপে," আমরা জাগতিক কিছু পাবার বড়ই অহঙ্কারী, জাগতিক অর্জন , কিন্তু যখন কৃষ্ণ আসেন প্রহ্লাদ মহারাজ দেখেছেন, হিরণ্যকশিপু সেই নৃসিংহদেবকে দেখেছে হিরণ্যকশিপু খুব চতুর ছিল, ঠিক যেমন জাগতিক লোকেরা, বিজ্ঞানীরা খুব চালাক চতুরতার সাথে ওরা অনেক কিছু বানায় । কারণ কি? কারণ হচ্ছে, "আমরা চিরকাল বাঁচবো, আর ভোগ করব, বেশি বেশি করে একে বলা হয় সভ্যতার নাস্তিক প্রগতি হিরণ্যকশিপু ছিল এক উদাহরণ দেয়ার মতো বিষয়ী হিরণ্য মানে স্বর্ণ, কশিপু মানে নরম বিছানা বিষয়ী লোকেরা স্বর্ণ আর যৌন উপভোগ করতে অত্যন্ত ভালবাসে। সেটিই হচ্ছে ওদের কাজ। হিরণ্যকশিপু ছিল বিষয়ীর এক জ্বলন্ত উদাহরণ এবং প্রহ্লাদ মহারাজ , প্রকৃষ্ট রূপেন আহ্লাদ আহ্লাদ মানে চিন্ময় আনন্দ । আনন্দ চিন্ময় রস প্রতিভাবিস্তাভির্য জীবের আসল স্বরূপ হচ্ছে তাঁরা প্রহ্লাদ, আনন্দময় কিন্তু জড় মায়ার সংস্পর্শে , আমরা জীবনের দুর্দশাপূর্ণ অবস্থায় পতিত হয়েছি।