BN/Prabhupada 0944 - একমাত্র যোগ্যতা হচ্ছে আমরা শ্রীকৃষ্ণের ব্যবস্থা গ্রহণ করি
730427 - Lecture SB 01.08.35 - Los Angeles
আমাদের প্রয়োজনীয়তা অর্থাৎ আমাদের শারীরিক প্রয়োজনীয়তা বলতে বোঝায় আহার, নিদ্রা, মৈথুন এবং আত্মরক্ষা এসব কিছুই প্রত্যেকের জীবন অনুযায়ী ব্যবস্থা করাই রয়েছে। সেটি আয়োজন করাই আছে। নিম্নতর শ্রেণীর প্রাণীরা বুঝতে পারে না যে সবকিছুই আয়োজন করা আছে, যদিও ওরা জানে, ঠিক যেমন একটি পাখি... একটি পাখি খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, সে জানে যে কিছু খাবার রয়েছে। এটি সে জানে। কিন্তু তবুও সে খাবার খুঁজতে ব্যস্ত। তার ছোট্ট ব্যবসা, এক গাছ থেকে অন্য গাছে অল্প অল্প করে উড়ে বেড়ানো, সে প্রচুর পরিমাণে ফল দেখে, সব ধরণের ছোট-বড় ফল, সেখানে ওদের খাওয়ার মত প্রচুর ফল থাকে। ঠিক তেমনই, সমস্ত জীবের জন্যই খাবার আর জলের ব্যবস্থা করা আছে। আহার, নিদ্রা, মৈথুন এবং আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করাই রয়েছে। এমন কি আফ্রিকাতেও এমন কিছু গাছ রয়েছে যেগুলো এমন ধরণের ফল দেয়, যেগুলো লৌহ গুলিকার চেয়েও শক্ত। কিন্তু গরিলারা এই ধরণের ফল ব্যবহার করে। ওরা সেই ফলগুলো সংগ্রহ করে ঠিক যেমন করে আমরা বাদাম চিবিয়ে খাই । ওরাও বাদাম চিবিয়ে আনন্দ পায়। কিন্ত সেটি খুবই শক্ত। আমি কোনএকটি বইয়ে পড়েছি, তোমরাও হয়ত জানো যে, জঙ্গলের যে অংশে গরিলারা থাকে ভগবান তাদেরও ফল দেনঃ "হ্যাঁ, এই নাও তোমাদের খাবার।"
তাই সবকিছুর ব্যবস্থা করা আছে। কোনও অভাব নেই। অভাব আমরা তৈরি করেছি, 'অবিদ্যা', অজ্ঞানতার কারণে। অন্যথায়, কোনও অভাব নেই। পূর্ণং ইদং। তাই উপনিষদে (Īśopaniṣad) বলা হয়েছে, পূর্ণম, সবকিছুই পূর্ণ। ঠিক যেমন আমরা জল চাই, জল আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই দেখ ভগবান কিভাবে এই সমুদ্র তৈরি করে দিয়েছেন। তোমরা এটি এভাবে বুঝতে পার...আমরা যেই জলই ব্যবহার করি না কেন, তা সব সমুদ্র থেকেই আসে। (জলের) ভাণ্ডারটি আগে থেকেই রয়েছে। সেই ভাণ্ডার থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রকৃতির ব্যবস্থাপনায়, ভগবানের ব্যবস্থাপনায় সেই জল সূর্যালোকের সাহায্যে বাষ্পে পরিণত হয়। এটি বাষ্প হয়ে যায় এবং গ্যাস ও তারপর মেঘে পরিণত হয়। তাতেও জল রয়েছে। অন্যান্য ব্যবস্থায় এই জল সমস্ত ভূপৃষ্ঠে বিতরণ করা হয়, এবং সেই জল পাহাড়ের চূড়ায় তুলে দেয়া হয় যেন তোমাদের কাছে তা নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করা যায়। সেখান থেকে নদী নীচে বয়ে আসছে। সবসময়, পুরো বছর ধরেই সেই জল সরবরাহ ব্যবস্থা করা রয়েছে। এইভাবে, যদি তুমি ভগবানের সার্বিক সৃষ্টি কার্যটি নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন কর, তাহলে তুমি দেখবে সবকিছুই পূর্ণ, পরিপূর্ণ। এটিই প্রকৃত দর্শন। সবকিছুই পূর্ণ। আর কোন কিছুরই প্রয়োজন নেই। আমাদের একমাত্র প্রয়োজন শুধু শ্রীকৃষ্ণের ব্যবস্থাপনার সুযোগ গ্রহণ করা।