BN/Prabhupada 0962 - আমরা ভগবানকে বাস্তব সত্য বলে গ্রহণ করি
720000 - Lecture BG Introduction - Los Angeles
আমরা ভগবানকে বাস্তব সত্য বলে গ্রহণ করি আমি শ্রীমদ্ভগবদ গীতা যথাযথ সম্পর্কে কথা বলব। শ্রীমদ্ভগবদ গীতা যথাযথ বলার উদ্দেশ্য, বর্ণনা করছি, ভগবদ গীতার অনেক ভাষ্য রয়েছে। সেগুলো নিজের ইচ্ছামত ব্যাখা করা হয়েছে, ভগবদ গীতার মূল অর্থ ছাড়াই তাই এই নির্দিষ্ট নামটি, ' যথাযথ' এটি গুরুত্বপূর্ণ, হয়ত ভগবদ গীতার আর কোন ভাষ্য নেই যেখানে 'যথাযথ' কথাটি লেখা আছে। এই সম্মন্ধে, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডিমক একটি টিকা লিখেছেন, এবং তিনি এই বিষয়ের অনেক প্রসংশা করেছেন। তিনি বলেছেন, "স্বামী ভক্তিবেদান্ত গীতাকে এই দৃষ্টিকোণ থেকে মন্তব্য করেছেন এবং এটি বৈধ।" তিনি মনে করেন যে শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ হচ্ছে জ্ঞানের একটি মহান গ্রন্থের বৈধ উপস্থাপনা। তিনি আরও বলেছেন যে, "তার থেকেও বেশি, এই ব্যাখ্যায় পাশ্চত্য ব্যাক্তিরা এটি দেখার একটি অনন্য সুযোগ পেয়েছেন যে কীভাবে একজন কৃষ্ণ ভক্ত তার নিজের বিষয় ব্যাখ্যা করেন।" কৃষ্ণ সম্বন্ধে...আসলে ভক্তরাই কৃষ্ণ বই সম্বন্ধে ব্যাখ্যা দিতে পারেন। অন্যরা, যদি তারা ভক্ত না হয়, কীভাবে তারা কৃষ্ণের ব্যাখ্যা করবে? ঠিক যেমন একজন পরিবারের সদস্য সেই পরিবারের প্রধান সদস্য সম্বন্ধে খুব ভালভাবে বলতে পারেন; বাইরের কেও কীভাবে সেই পরিবার সম্বন্ধে বলবে? সেটা সম্ভব নয়। একিরকমভাবে, কৃষ্ণ সম্বন্ধে, একজন কৃষ্ণ ভক্তই ভালভাবে বলতে পারেন। অন্যরা নয়। অন্যদের কোন অধিকার নেই কৃষ্ণ সম্বন্ধে বলার, এবং কৃষ্ণও অর্জুনকে ভগবদ গীতার সঠিক শিষ্য হিসেবে স্বীকার করেছেন। শুরুতে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে, " আমি তোমাকে আমার শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছি কারণ তুমি আমার বন্ধু এবং তুমি আমার ভক্ত।" তাই, অন্য কথায়, আমারা বুঝতে পারি যে ভগবদ গীতা তারাই বুঝবে, যাদের শ্রীকৃষ্ণের সাথে গভীর সম্বন্ধ রয়েছে। ঠিক যেমন শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, " তুমি আমার প্রিয় বন্ধু।" তার সাথে শ্রীকৃষ্ণের গভীর সম্বন্ধ রয়েছে। ভক্ত না হওয়া পর্যন্ত, কেও শ্রীকৃষ্ণের সাথে গভীর সম্বন্ধযুক্ত হতে পারে না।
এই ব্যাপারগুলো বুঝতে হবে। এই ভগবদ গীতা পাঁচ হাজার বছর আগে বলা হয়েছিল, অর্জুনকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে। ভগবানকে জানার বিজ্ঞান এই ভগবদ গীতায় আছে। ভগবদ গীতা হচ্ছে ভগবানকে জানার বিজ্ঞান। সবকিছুর কিছু বিজ্ঞান আছে, বৈজ্ঞানিক বই, সেই নির্দিষ্ট বস্তু কে বোঝার জন্য। তেমনি, ভগবান সম্পর্কে অনেক ধারণা আছে। সাধারণত তারা এটিকে একটি ধারণা হিসেবে নেয়, কিন্তু আমরা এটিকে একটি ধারণা হিসেবে নেই না। আমরা ভগবানকে বাস্তব সত্য বলে গ্রহণ করি। ঠিক যেমন তোমরা আমাকে দেখছ, আমি তোমাদের দেখছি। এটি বাস্তব সত্য। তেমনি, তুমি ভগবানকে দেখতে পার, এবং ভগবান তোমাকে দেখছেন। এই সম্পর্কে কোন সংশয় নেই। কিন্তু তুমিও ভগবানকে দেখতে পার। আমাদের সেই প্রক্রিয়াটি বুঝতে হবে, কীভাবে ভগবানকে দেখতে হয়। সেই প্রক্রিয়াটি সমস্ত বৈদিক সাহিত্যে বলা আছে। তাকেই বলা হয় ভক্তি যোগ, সেই প্রক্রিয়াটি। কৃষ্ণ ভগবদ গীতায় বলেছেন, ভক্ত্যা মামভিজানাতি যাবান্ যশ্চাস্মি তত্ত্বতঃ (গীতা ১৮/৫৫) যদি কেও কৃষ্ণকে জানতে চায়, তিনি কি, তাহলে তাকে ভক্তি যোগের পন্থা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন ধরণের যোগ আছে। যোগ মানে নিজেকে ভগবানের সাথে সংযোগ করা। তাই, অনুমান যোগ আমাদের সাহায্য করবে না। তোমাকে বাস্তব যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাস্তব যোগ হচ্ছে কৃষ্ণভাবনামৃত।