BN/Prabhupada 0968 - পাশ্চাত্য সংস্কৃতি হচ্ছে ভোগবাদের দর্শন। খাও, দাও ফুর্তি কর



730400 - Lecture BG 02.13 - New York

দেহিনোহস্মিন্‌ যথা দেহে
কৌমারং যৌবনং জরা
তথা দেহান্তর প্রাপ্তিঃ
ধীরস্তত্র ন মুহ্যতি
(ভগবদ্‌গীতা ২.১৩)।

এটি হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবানের উক্তি, ভগবান উবাচ, যে তুমি এই দেহ নও। পারমার্থিক জ্ঞান বোঝার জন্য প্রথম নির্দেশনা হল এটা বোঝা যে আমি এই শরীরটি নই। এটিই শুরু। যোগীরা, তারা শারীরিক কসরৎ করছে, মানসিক দর্শন বোঝার চেষ্টা করছে বিভিন্ন চার্টের দ্বারা, কিন্তু কতগুলো দাম্ভিক লোক। কিন্তু আমাদের দর্শন হল যে আমরা এই শরীরটি নই। তাহলে ব্যায়াম করার এবং পারমার্থিক উপলব্ধির প্রশ্ন কোথায় আসছে? যদি আমি এই শরীরটি নাই হই, তাহলে আমি কীভাবে নিজেকে উপলব্ধি করতে পারব শুধুমাত্র কিছু কসরত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে? এটাই হচ্ছে কর্মী, জ্ঞানী এবং যোগীদের ভুল। কর্মীরা, সকাম কর্মীরা, জাগতিক লোক, তারা শরীরের আরাম চায়। তাদের একমাত্র ধারণা হচ্ছে কীভাবে শরীরটিকে সবথেকে বেশি আরামপ্রদ করা যায়। এই শরীর মানে ইন্দ্রিয়গুলো। আমরা চোখ, কান, নাক, মুখ পেয়েছি জিহ্বা, হাত, উপস্থ- অনেক ইন্দ্রিয় আমরা পেয়েছি।

যতক্ষণ আমরা শরীরের চিন্তায় থাকব, তখনই ইন্দ্রিয় তৃপ্তির প্রয়োজন হয়। কিন্তু শ্রী কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন যে " তুমি এই শরীরটি নও।" তাই আমার স্বার্থ আমার শারীরিক আরামের ওপর নির্ভর করে না। তারা তা জানে না। প্রত্যেকে, এই সময়ে, এই যুগে, তাদের একমাত্র কাজ হল কীভাবে ইন্দ্রিয়তৃপ্তি সাধন করা যায়। নাস্তিক নীতি। ঠিক যেমন একজন বড় নাস্তিক ছিলেন, চার্বাক মুনি। ভারতে সকল শ্রেণীর দার্শনিকেরাই ছিলেন। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে তথ্য খুব স্বল্প, কিন্তু ভারতে সব ধরণের দর্শনচর্চা ছিল। তাই নাস্তিক দর্শনও সেখানে ছিল। চার্বাক মুনি নাস্তিক দার্শনিকদের মধ্যে মুখ্য ছিলেন। তাই তিনি বলেছিলেন, ভোগবাদ।পাশ্চাত্য দর্শনটি হল ভোগবাদ, খাও-দাও ফুর্তি কর। এই দর্শন। যতদিন তুমি এই শরীরটি পেয়েছ খাও-দাও ফুর্তি কর। চার্বাক মুনি এটাও বলেছেন যে ঋণম্‌ কৃত্বা ঘৃতম্‌ পিবেৎ।