BN/Prabhupada 0123 - আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা - এটা বিশেষ অনুগ্রহ: Difference between revisions
(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0123 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1969 Category:BN-Quotes - L...") |
No edit summary |
||
Line 7: | Line 7: | ||
[[Category:BN-Quotes - in USA, Hawaii]] | [[Category:BN-Quotes - in USA, Hawaii]] | ||
<!-- END CATEGORY LIST --> | <!-- END CATEGORY LIST --> | ||
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- | <!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | ||
{{1080 videos navigation - All Languages| | {{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0122 - এই বদমাশরা মনে করে, "আমি এই শরীর।"|0122|BN/Prabhupada 0124 - আমরা আধ্যাত্মিক গুরুর আজ্ঞাকে মনে প্রাণে গ্রহণ করব|0124}} | ||
<!-- END NAVIGATION BAR --> | <!-- END NAVIGATION BAR --> | ||
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | <!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | ||
Line 30: | Line 30: | ||
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | <!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | ||
ভক্তঃ | ভক্তঃ আমরা কি কৃষ্ণকে অনুরোধ করতে পারি যে তিনি আমাদেরকে আত্মসমর্পন করার জন্য জোর করেন, আমাদের নিজেদের বদ্ধ দশার কারণে। | ||
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, তুমি তাঁকে অনুরোধ করতে পার। এবং তিনি কখনও কখনও বাধ্য করতে পারেনও। তিনি তোমাকে এইরকম পরিস্থিতিতে ফেলতে পারেন যে তোমার কাছে কৃষ্ণের নিকট আত্মসমর্পন করা ছাড়া আর কোন রাস্তা থাকবে না। হ্যাঁ। এটা বিশেষ অনুগ্রহ। এটা বিশেষ অনুগ্রহ। হ্যাঁ। আমার গুরুদেব চাইতেন আমি যেন প্রচার করি, কিন্তু আমি তখন এটা চাই নি। কিন্তু তিনি আমাকে জোর করেছেন। হ্যাঁ। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আমার কোন ইচ্ছা ছিল না সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ করার এবং প্রচার করার কিন্তু আমার গুরুদেব এটা চাইছিলেন। আমি খুব আগ্রহী ছিলাম না, কিন্তু তিনি আমাকে বাধ্য করেছেন। তাই করা হয়েছে। এটা বিশেষ অনুগ্রহ। যখন তিনি আমাকে বাধ্য করেছিলেন, সেই সময়ে, আমি ভেবেছিলাম "এটা কি? আমি কি কিছু ভুল করছি নাকি? "আমি বিভ্রান্ত ছিলাম। কিন্তু কিছুসময় পরে, আমি বুঝতে পারি যে এটা আমার প্রতি সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ। দেখ? যখন কৃষ্ণ কাউকে জোর করবে আত্মসমর্পন করতে তখন সেটি বড় অনুগ্রহ হবে। কিন্তু সাধারণত, তিনি সেটা করেন না। কিন্তু তিনি তাদের সাথে করেন যিনি কৃষ্ণসেবায় খুবই ঐকান্তিক। কিন্তু একই সাথে যদি তার সামান্য জড় বাসনাও থাকে তখন তিনি এটা করেন যে " এই মূর্খ জানে না। যে জাগতিক সুযোগ-সুবিধা তাকে সুখী করবে না, এবং সে আন্তরিকভাবে আমার অনুগ্রহ চাইছে। সে একটা মূর্খ। তাই যতটুকুই সামান্য সম্পদ সে জড় উপভোগের জন্য পেয়েছেন, সেটি ভেঙে দিতে হবে। তাহলে আমার কাছে আত্মসমর্পণের ছাড়া তার কাছে আর কোন বিকল্প থাকবে না।" যেটা ভগবদ্গীতা আর শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে। যস্যাহম্ অনুগৃহ্নামি হরিষ্যে তদ ধনম্ শনৈঃ ([[Vanisource:SB 10.88.8|শ্রীমদ্ভাগবত ১০।৮৮।৮]])। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে, যদি আমি কাউকে বিশেষ অনুগ্রহ করি, তাহলে আমি তাকে দারিদ্র্যগ্রস্ত করি। আমি তার থেকে সবরকম ইন্দ্রিয় উপভোগের উপায় কেড়ে নিই।" যেটা শ্রীমদ্ভাগবতমে বর্ণনা রয়েছে। কারণ এখানে এই জড়জগতে প্রত্যেকে চেষ্টা করছে সুখী হতে, টাকা উপার্জনের মাধ্যমে, ব্যবসার মাধ্যমে, চাকরীর মাধ্যমে, এইভাবে অথবা ওইভাবে। কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে কৃষ্ণ তার ব্যবসা ও চাকরী ব্যর্থ করে দেন। তোমাদের কি তা পছন্দ হবে? (হাসি) সেই সময় তাঁর কাছে কৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করার চেয়ে আর কোন বিকল্প থাকে না। বুঝতে পারছ? কিন্তু কখনও কখনও, যখন আমাদের ব্যবসা প্রচেষ্টা বা উপার্জনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, আমরা দুঃখিত হই, "ওহ, কৃষ্ণ আমার উপর এত নিষ্ঠুর যে আমি তা বিশ্বাসও করতে পারছি না"। কিন্তু এটা তার অনুগ্রহ, বিশেষ অনুগ্রহ তোমাকে এটা বুঝতে হবে। | |||
<!-- END TRANSLATED TEXT --> | <!-- END TRANSLATED TEXT --> |
Latest revision as of 03:46, 3 December 2021
Lecture-Day after Sri Gaura-Purnima -- Hawaii, March 5, 1969
ভক্তঃ আমরা কি কৃষ্ণকে অনুরোধ করতে পারি যে তিনি আমাদেরকে আত্মসমর্পন করার জন্য জোর করেন, আমাদের নিজেদের বদ্ধ দশার কারণে।
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, তুমি তাঁকে অনুরোধ করতে পার। এবং তিনি কখনও কখনও বাধ্য করতে পারেনও। তিনি তোমাকে এইরকম পরিস্থিতিতে ফেলতে পারেন যে তোমার কাছে কৃষ্ণের নিকট আত্মসমর্পন করা ছাড়া আর কোন রাস্তা থাকবে না। হ্যাঁ। এটা বিশেষ অনুগ্রহ। এটা বিশেষ অনুগ্রহ। হ্যাঁ। আমার গুরুদেব চাইতেন আমি যেন প্রচার করি, কিন্তু আমি তখন এটা চাই নি। কিন্তু তিনি আমাকে জোর করেছেন। হ্যাঁ। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আমার কোন ইচ্ছা ছিল না সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ করার এবং প্রচার করার কিন্তু আমার গুরুদেব এটা চাইছিলেন। আমি খুব আগ্রহী ছিলাম না, কিন্তু তিনি আমাকে বাধ্য করেছেন। তাই করা হয়েছে। এটা বিশেষ অনুগ্রহ। যখন তিনি আমাকে বাধ্য করেছিলেন, সেই সময়ে, আমি ভেবেছিলাম "এটা কি? আমি কি কিছু ভুল করছি নাকি? "আমি বিভ্রান্ত ছিলাম। কিন্তু কিছুসময় পরে, আমি বুঝতে পারি যে এটা আমার প্রতি সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ। দেখ? যখন কৃষ্ণ কাউকে জোর করবে আত্মসমর্পন করতে তখন সেটি বড় অনুগ্রহ হবে। কিন্তু সাধারণত, তিনি সেটা করেন না। কিন্তু তিনি তাদের সাথে করেন যিনি কৃষ্ণসেবায় খুবই ঐকান্তিক। কিন্তু একই সাথে যদি তার সামান্য জড় বাসনাও থাকে তখন তিনি এটা করেন যে " এই মূর্খ জানে না। যে জাগতিক সুযোগ-সুবিধা তাকে সুখী করবে না, এবং সে আন্তরিকভাবে আমার অনুগ্রহ চাইছে। সে একটা মূর্খ। তাই যতটুকুই সামান্য সম্পদ সে জড় উপভোগের জন্য পেয়েছেন, সেটি ভেঙে দিতে হবে। তাহলে আমার কাছে আত্মসমর্পণের ছাড়া তার কাছে আর কোন বিকল্প থাকবে না।" যেটা ভগবদ্গীতা আর শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে। যস্যাহম্ অনুগৃহ্নামি হরিষ্যে তদ ধনম্ শনৈঃ (শ্রীমদ্ভাগবত ১০।৮৮।৮)। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে, যদি আমি কাউকে বিশেষ অনুগ্রহ করি, তাহলে আমি তাকে দারিদ্র্যগ্রস্ত করি। আমি তার থেকে সবরকম ইন্দ্রিয় উপভোগের উপায় কেড়ে নিই।" যেটা শ্রীমদ্ভাগবতমে বর্ণনা রয়েছে। কারণ এখানে এই জড়জগতে প্রত্যেকে চেষ্টা করছে সুখী হতে, টাকা উপার্জনের মাধ্যমে, ব্যবসার মাধ্যমে, চাকরীর মাধ্যমে, এইভাবে অথবা ওইভাবে। কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে কৃষ্ণ তার ব্যবসা ও চাকরী ব্যর্থ করে দেন। তোমাদের কি তা পছন্দ হবে? (হাসি) সেই সময় তাঁর কাছে কৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করার চেয়ে আর কোন বিকল্প থাকে না। বুঝতে পারছ? কিন্তু কখনও কখনও, যখন আমাদের ব্যবসা প্রচেষ্টা বা উপার্জনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, আমরা দুঃখিত হই, "ওহ, কৃষ্ণ আমার উপর এত নিষ্ঠুর যে আমি তা বিশ্বাসও করতে পারছি না"। কিন্তু এটা তার অনুগ্রহ, বিশেষ অনুগ্রহ তোমাকে এটা বুঝতে হবে।