BN/Prabhupada 0099 - কিভাবে কৃষ্ণ দ্বারা মান্যতা প্রাপ্ত হবে: Difference between revisions
(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0099 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...") |
No edit summary |
||
Line 7: | Line 7: | ||
[[Category:BN-Quotes - in India]] | [[Category:BN-Quotes - in India]] | ||
<!-- END CATEGORY LIST --> | <!-- END CATEGORY LIST --> | ||
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- | <!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | ||
{{1080 videos navigation - All Languages| | {{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0098 - কৃষ্ণের সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষিত হও|0098|BN/Prabhupada 0100 - আমরা সর্বদা কৃষ্ণের সাথে সম্পর্কিত|0100}} | ||
<!-- END NAVIGATION BAR --> | <!-- END NAVIGATION BAR --> | ||
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | <!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | ||
Line 18: | Line 18: | ||
<!-- BEGIN VIDEO LINK --> | <!-- BEGIN VIDEO LINK --> | ||
{{youtube_right|412rhyeSSuM|কিভাবে কৃষ্ণ দ্বারা | {{youtube_right|412rhyeSSuM|কিভাবে কৃষ্ণ দ্বারা মান্যতা প্রাপ্ত হবে<br/>- Prabhupāda 0099}} | ||
<!-- END VIDEO LINK --> | <!-- END VIDEO LINK --> | ||
Line 30: | Line 30: | ||
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | <!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | ||
আমরা বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ দেখতে পাই, যদিও তাদের সকলে বোম্বে কিংবা অন্য কোন শহরে রয়েছে, অনুরূপভাবে, সব জীব এক রকমের হয় না। তাদের মধ্যে কিছু সত্ত্বগুণ দ্বারা প্রভাবিত, তাদের মধ্যে কেউ রজগুণে রয়েছে, আর কিছু তমোগুণের মধ্যে। তো যারা তমোগুণে রয়েছে, তারা ঠিক যেন জলে পড়ে যাওয়ার মতো। যেমন আগুন যদি জলের মধ্যে পড়ে, তবে এটি পুরোপুরি নিভে যায়। আবার শুকনো ঘাসের উপর যদি আগুনের স্পু্লিঙ্গ পড়ে, শুকনো ঘাসের সুযোগ নিয়ে, আগুন জ্বলে উঠে, এটি পুনরায় আগুনের রূপ ধারন করে। | |||
একইভাবে যারা সত্ত্বগুণে রয়েছে, তারা খুব সহজেই তাদের কৃষ্ণভাবনামৃতকে জাগিয়ে তুলতে পারে। কারণ ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে , যস্যাং ত্ব অন্তগতং পাপং। মানুষ কেন এই মন্দির আসছে না? কারণ সমস্যাটি হচ্ছে তাদের কিছু তমোগুণে নিমজ্জিত রয়েছে। ন মাং দুষ্কৃতিনো মূঢ়া প্রপদ্যন্তে নরাধমাঃ ([[Vanisource:BG 7.15 (1972)|ভগবদ্গীতা৭.১৫]]) তারা আসতে পারে না। যারা কেবল পাপকর্মে লিপ্ত, তারা এই কৃষ্ণভাবনামৃতের মর্ম উপলব্ধি করতে পারে না। সেটা সম্ভব না। তবুও প্রত্যেককে একটি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমরা আবেদন করি যে, "দয়া করে এখানে আসুন ..." এটা শ্রীকৃষ্ণের পক্ষ থেকে আমাদের দায়িত্ব। যেমন শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং আসেন ভগবদ্গীতার শিক্ষা দিতে এবং প্রত্যেককে বলতে, সর্ব ধর্মান পরিত্যজ্য মাম একং স্মরণং ব্রজ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|ভগবদ্গীতা ১৮.৬৬]]) আমাদেরও কাজ এটাই। | |||
অতএব শ্রীকৃষ্ণ খুব প্রশংসা করেন, "ওহ, এই মানুষগুলো আমার পক্ষ হয়ে কাজ করছে। আমাকে সেখানে যেতে হবে না। তারা আমার কার্যভার গ্রহণ করেছে।" আমরা কি কাজের দায়িত্ব নিয়েছি, আমরা কেবল মানুষকে বলছি, "দয়া করে শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হন।" তাই আমরা তাঁর খুব প্রিয়। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন ন চ তস্মান্ মনুষ্যেষু কশ্চিন মে প্রিয় কৃত্তমঃ ([[Vanisource:BG 18.69 (1972)|ভ.গী.১৮.৬৯]]) আমাদের কার্য হল কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা স্বীকৃত হওয়া যায়। | |||
একজন কৃষ্ণভাবনামৃতে আসছে কিনা তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে না। আমাদের কর্তব্য কেবল আবেদন করা, "হে মহাশয়, কৃপা করে এখানে আসুন, শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ দর্শন করুন, নমস্কার করুন, প্রসাদ গ্রহন করুন এবং বাড়ী যান। কিন্তু মানুষ সম্মত হয় না। কারণ কি? দুরাচারী ব্যাক্তি কৃষ্ণভাবনামৃতকে গ্রহণ করতে পারে না। | |||
তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যেষাংতু অন্তগতং পাপং ([[Vanisource:BG 7.28 (1972)|ভ.গী. 7.28]])। যারা সম্পূর্ণরূপে পাপ থেকে মুক্ত হয়েছেন। যেষাংতু অন্তগতং পাপং জনানাং পুণ্যকর্মণাং ([[Vanisource:BG 7.28 (1972)|ভ.গী. 7.28]])। কে পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে? যিনি সবসময় পুণ্যকর্মে নিযুক্ত থাকেন। তুমি যদি সর্বদা পুণ্যকর্মে নিযুক্ত থাকো, তাহলে পাপ কর্মের সুযোগ কোথায়? অতএব সর্বোচ্চ পুণ্যকর্ম হচ্ছে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা। যদি তুমি সবসময় হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ জপ কর, তবে তোমার মন সর্বদা কৃষ্ণভাবনামৃতে নিযুক্ত থাকবে, তাহলে তোমার মনের মধ্যে অন্য কোন জিনিস ঢোকার আর জায়গা হবে না। এটাই কৃষ্ণভাবনামৃতের প্রক্রিয়া। যখনই আমরা শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে যাই, তৎক্ষণাৎ মায়া আমাদেরকে আবদ্ধ করে ফেলে। | |||
<!-- END TRANSLATED TEXT --> | <!-- END TRANSLATED TEXT --> |
Latest revision as of 14:38, 2 December 2021
Lecture on BG 13.4 -- Bombay, September 27, 1973
আমরা বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ দেখতে পাই, যদিও তাদের সকলে বোম্বে কিংবা অন্য কোন শহরে রয়েছে, অনুরূপভাবে, সব জীব এক রকমের হয় না। তাদের মধ্যে কিছু সত্ত্বগুণ দ্বারা প্রভাবিত, তাদের মধ্যে কেউ রজগুণে রয়েছে, আর কিছু তমোগুণের মধ্যে। তো যারা তমোগুণে রয়েছে, তারা ঠিক যেন জলে পড়ে যাওয়ার মতো। যেমন আগুন যদি জলের মধ্যে পড়ে, তবে এটি পুরোপুরি নিভে যায়। আবার শুকনো ঘাসের উপর যদি আগুনের স্পু্লিঙ্গ পড়ে, শুকনো ঘাসের সুযোগ নিয়ে, আগুন জ্বলে উঠে, এটি পুনরায় আগুনের রূপ ধারন করে।
একইভাবে যারা সত্ত্বগুণে রয়েছে, তারা খুব সহজেই তাদের কৃষ্ণভাবনামৃতকে জাগিয়ে তুলতে পারে। কারণ ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে , যস্যাং ত্ব অন্তগতং পাপং। মানুষ কেন এই মন্দির আসছে না? কারণ সমস্যাটি হচ্ছে তাদের কিছু তমোগুণে নিমজ্জিত রয়েছে। ন মাং দুষ্কৃতিনো মূঢ়া প্রপদ্যন্তে নরাধমাঃ (ভগবদ্গীতা৭.১৫) তারা আসতে পারে না। যারা কেবল পাপকর্মে লিপ্ত, তারা এই কৃষ্ণভাবনামৃতের মর্ম উপলব্ধি করতে পারে না। সেটা সম্ভব না। তবুও প্রত্যেককে একটি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমরা আবেদন করি যে, "দয়া করে এখানে আসুন ..." এটা শ্রীকৃষ্ণের পক্ষ থেকে আমাদের দায়িত্ব। যেমন শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং আসেন ভগবদ্গীতার শিক্ষা দিতে এবং প্রত্যেককে বলতে, সর্ব ধর্মান পরিত্যজ্য মাম একং স্মরণং ব্রজ (ভগবদ্গীতা ১৮.৬৬) আমাদেরও কাজ এটাই।
অতএব শ্রীকৃষ্ণ খুব প্রশংসা করেন, "ওহ, এই মানুষগুলো আমার পক্ষ হয়ে কাজ করছে। আমাকে সেখানে যেতে হবে না। তারা আমার কার্যভার গ্রহণ করেছে।" আমরা কি কাজের দায়িত্ব নিয়েছি, আমরা কেবল মানুষকে বলছি, "দয়া করে শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হন।" তাই আমরা তাঁর খুব প্রিয়। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন ন চ তস্মান্ মনুষ্যেষু কশ্চিন মে প্রিয় কৃত্তমঃ (ভ.গী.১৮.৬৯) আমাদের কার্য হল কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা স্বীকৃত হওয়া যায়।
একজন কৃষ্ণভাবনামৃতে আসছে কিনা তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে না। আমাদের কর্তব্য কেবল আবেদন করা, "হে মহাশয়, কৃপা করে এখানে আসুন, শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ দর্শন করুন, নমস্কার করুন, প্রসাদ গ্রহন করুন এবং বাড়ী যান। কিন্তু মানুষ সম্মত হয় না। কারণ কি? দুরাচারী ব্যাক্তি কৃষ্ণভাবনামৃতকে গ্রহণ করতে পারে না।
তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যেষাংতু অন্তগতং পাপং (ভ.গী. 7.28)। যারা সম্পূর্ণরূপে পাপ থেকে মুক্ত হয়েছেন। যেষাংতু অন্তগতং পাপং জনানাং পুণ্যকর্মণাং (ভ.গী. 7.28)। কে পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে? যিনি সবসময় পুণ্যকর্মে নিযুক্ত থাকেন। তুমি যদি সর্বদা পুণ্যকর্মে নিযুক্ত থাকো, তাহলে পাপ কর্মের সুযোগ কোথায়? অতএব সর্বোচ্চ পুণ্যকর্ম হচ্ছে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা। যদি তুমি সবসময় হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ জপ কর, তবে তোমার মন সর্বদা কৃষ্ণভাবনামৃতে নিযুক্ত থাকবে, তাহলে তোমার মনের মধ্যে অন্য কোন জিনিস ঢোকার আর জায়গা হবে না। এটাই কৃষ্ণভাবনামৃতের প্রক্রিয়া। যখনই আমরা শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে যাই, তৎক্ষণাৎ মায়া আমাদেরকে আবদ্ধ করে ফেলে।