BN/Prabhupada 0835 - আধুনিক রাজনীতিকরা কর্মের ওপর জোর দেয়, কারণ ওরা কুকুর শুকরের মতো খাটতে চায়: Difference between revisions
(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0835 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - L...") |
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items) |
||
Line 8: | Line 8: | ||
<!-- END CATEGORY LIST --> | <!-- END CATEGORY LIST --> | ||
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | <!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | ||
{{1080 videos navigation - All Languages| | {{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0834 - ভক্তি শুধু ভগবানের জন্য প্রযোজ্য|0834|BN/Prabhupada 0836 - মনুষ্যজীবনের সার্থকতার জন্য যে কোন কিছু উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকো|0836}} | ||
<!-- END NAVIGATION BAR --> | <!-- END NAVIGATION BAR --> | ||
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | <!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | ||
Line 18: | Line 18: | ||
<!-- BEGIN VIDEO LINK --> | <!-- BEGIN VIDEO LINK --> | ||
{{youtube_right| | {{youtube_right|84P6KJHYkEQ|আধুনিক রাজনীতিকরা কর্মের ওপর জোর দেয়, কারণ ওরা কুকুর শুকরের মতো খাটতে চায়<br/>- Prabhupāda 0835}} | ||
<!-- END VIDEO LINK --> | <!-- END VIDEO LINK --> | ||
Latest revision as of 07:05, 19 September 2021
Lecture on SB 5.5.33 -- Vrndavana, November 20, 1976
শ্রীল প্রভুপাদঃ ত্যক্তা দেহম্ পুনর্জন্ম নৈতি (ভগবদ্গীতা ৪/৯)। যে ব্যক্তি শ্রীকৃষ্ণকে তত্ত্বগতভাবে জানতে পেরেছেন, তিনি তৎক্ষণাৎ মুক্তি লাভ করেন। তিনি ভগবদ্ধামে ফিরে যাবার যোগ্য হন। ত্যক্তা দেহম্ পুনর্জন্ম নৈতি। পুনর্জন্ম। যে ব্যক্তি শ্রীকৃষ্ণকে জানে না, তাকে বারংবার এই জগতের জন্মমৃত্যুর চক্রে পড়ে থাকতে হবে নিবর্তন্তে মৃত্যু সংসার বর্ত্মনি (ভগবদ্গীতা ৯/৩) যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণকে জানতে না পেরেছ - হরিং বিনা মৃতিং ন তরন্তি তুমি জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যধি এড়াতে পারবে না। সম্ভব নয়।
তাই তুমি যদি সত্যিই তোমার জীবন সার্থক করতে চাও, তোমাকে অবশ্যই শ্রীকৃষ্ণকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। সেটিই হচ্ছে কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন। তাহলেই তোমার জীবন সার্থক। আর শ্রীকৃষ্ণকে জানতে চাইলে অন্য আর কোন পন্থাই কাজে লাগবে না। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ভক্ত্যা মাম্ অভিজানাতি (গীতা ১৮/৫৫) এমনটা কোথাও বলা হয় নি যে, "আমাকে যোগ, কর্ম বা জ্ঞানের মাধ্যমে জানা যাবে।" আধুনিক রাজনীতিবিদেরা কর্মের ওপর জোর দেয় কারণ তারা শুয়োর কুকুরের মতো খাটতে চায়। তারা কর্মযোগের কথা ভাবে... কর্মযোগ ভাল, কিন্তু কর্মীরা মূঢ়। যারা দিনরাত ইন্দ্রিয়তৃপ্তির জন্য কেবল কাজই করতে থাকে, তারা কুকুর শুয়োরের চেয়ে উন্নত নয়। তারা কোন ভাল কাজের নয়। কিন্তু কর্মযোগ আলাদা জিনিস। কর্মযোগ মানে যদি কারোর কিছু কাজ করে কিছু উৎপাদনের প্রতি আসক্তি থাকে, সেই ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, 'হ্যাঁ, তুমি তা করতে পার, কিন্তু - যৎ করোষি যজ্জুহোসি যদশ্নাসি যত্তপস্যসি কুরুষ্ব তদ্ (গীতা ৯/২৭)।" কর্মের ফলটি অবশ্যই আমাকে দিতে হবে।" অনাশ্রিত কর্মফলম্ কার্যং কর্ম করোতি যঃ স সন্ন্যাসী (গীতা ৬/১)
যে ব্যক্তি তাঁর কর্মফলের প্রত্যাশা করেন না, তিনিই সন্ন্যাসী। ধর তুমি কিছু উপার্জন করছ ... তুমি কোন ব্যবসায়ী, তুমি দু লাখ রূপী উপার্জন করলে - কিন্তু তা শ্রীকৃষ্ণকে দিয়ে দিলে। অনাশ্রিত কর্মফলম্। তা না হলে, এই দু'লাখ টাকা দিয়ে তুমি কি করবে? যদি তুমি না নাও, তাহলে তুমি তা ফেলে দেবে? "না, আমি কেন ফেলে দেব? এটি শ্রীকৃষ্ণের সেবায় যুক্ত করা উচিত।" তাই ওনারা ব্যবহার করুক ... লোকেরা এই জগতে টাকা পয়সা উপার্জন করতে খুবই উৎসাহী। আমরা বাস্তবেই দেখি, বিশেষ করে পাশ্চাত্য জগতে। কিন্তু তারা যদি তাদের কর্ম কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের প্রসারের জন্য ব্যবহার করে, তাহলে তাদের টাকা থেকে কখনও কোথাও পারমাণবিক বোমা ফেলার কাজে ব্যবহৃত হবে না। অন্যথায় তাদের টাকা কোনও কোনভাবে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে কাজে লেগে যাবে। তুমি আমার মাথা ভাঙ্গবে আর আমি তোমার মাথা ভাঙ্গব। দুজনেই। আমরা দুজনেই শেষ হয়ে যাব।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভক্তবৃন্দঃ জয় প্রভুপাদ।