BN/Prabhupada 0910 - আমাদের সর্বদা কৃষ্ণের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিৎ। সেটিই হচ্ছে জীবনের সার্থকতা: Difference between revisions

 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 9: Line 9:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0909 - I Was Forced to Come To This Position to Carry Out My order of My Guru Maharaja|0909|Prabhupada 0911 - If you Trust in God, You Must be Equally Kind and Merciful to all Living Entities|0911}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0909 - আমাকে জোর করেই আমার গুরুদেবের নির্দেশ পালন করার মতো অবস্থায় আসতে হয়েছে|0909|BN/Prabhupada 0911 - যদি তুমি ভগবানে বিশ্বাস কর, তবে অবশ্যই সব জীবের প্রতি সমান দয়ালু ও কৃপাশীল হতে হবে|0911}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->

Latest revision as of 07:05, 1 July 2021



730419 - Lecture SB 01.08.27 - Los Angeles

প্রভুপাদঃ যেহেতু শ্রীকৃষ্ণের দেহ ও আত্মার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই তিনি নিজেই স্বয়ং বিরাজমান, পরমাত্মা আমরা এই দেহ এবং আত্মা পেয়েছি আমি আত্মা, কিন্তু আমার এই দেহ রয়েছে যখন আমরা পূর্ণরূপে শ্রীকৃষ্ণের ওপর নির্ভর করি, ঠিক যেমন কৃষ্ণ আত্মারাম, আমরাও তাঁর সঙ্গে আত্মারাম হতে পারি কৈবল্য, কৈবল্যপতয়ে নমঃ (ভাগবত ১.৮.২৭) মায়াবাদী দার্শনিকেরা, অদ্বৈতবাদীরা পরমেশ্বরের সঙ্গে এক হয়ে যেতে চায় যেহেতু পরমেশ্বর ভগবান আত্মারাম, তাই তারাও ভগবানের সাথে মিশে গিয়ে আত্মারাম হতে চায়। আমাদের দর্শনও একই। কৈবল্য, কিন্তু আমরা শ্রীকৃষ্ণের ওপর নির্ভর করি আমরা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে এক হয়ে যাই না সেটাও এক হওয়া। যদি আমরা কেবল কৃষ্ণের নির্দেশ অনুসারে চলতে চাই, কোন দ্বিমত না থাকে, সেটিই একাত্মতা।

মায়াবাদী দার্শনিকেরা ভাবে যে "আমি কেন আমার স্বতন্ত্রতা, আলাদা অস্তিত্ব বজায় রাখব? আমি লীন হয়ে যাব..." তা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে... সৃষ্টি করা হয় নি... আমরা একদম শুরু থেকেই ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন অংশ। তাই ভগবান কৃষ্ণ ভগবদগীতায় বলেছেন "হে প্রিয় অর্জুন, এই যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত তুমি, আমি, এবং অন্যেরা সকলেই আগেও স্বতন্ত্ররূপে ছিলাম। বর্তমানেও স্বতন্ত্র রূপে আছি এবং ভবিষ্যতেও এই স্বতন্ত্ররূপে থাকব। আমরা সকলেই আলাদা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যযুক্ত। নিত্যো নিত্যানাম্‌ চেতনশচেতনানাম্‌ (কঠোপনিষদ ২/২/১৩) তিনি হচ্ছে পরম নিত্য, অসংখ্য চেতন আত্মার মাঝে পরম চেতন। আমরা জীব, অসংখ্য, অনন্ত। কোন গণনা নেই যে আমরা কতো জীব আছি। স অনন্তয়া কল্পতে। তাই এইসব অনন্ত, অসংখ্য চেতন সত্তা এবং কৃষ্ণও চেতন সত্তা। কিন্তু তিনি হলেন পরম চেতন। এই হচ্ছে পার্থক্য। নিত্যো নিত্যানাম্‌...

ঠিক যেমন একজন নেতা আছে নেতা একজন, এবং অসংখ্য অনুগামী তেমনই কৃষ্ণ হলেন পরম চেতন সত্ত্বা এবং আমরা তাঁর অধীন, তাঁর ওপর নির্ভরশীল জীবসত্ত্বা। সেটিই হচ্ছে পার্থক্য। নির্ভরশীল। আমরা এটি বুঝতে পারি, যদি কৃষ্ণ আমাদের খাদ্য সরবরাহ না করেন, আমরা না খেয়ে উপোস করব। সেটিই বাস্তব। আমরা কোনকিছুই উৎপাদন করতে পারব না একো যো বহুনাম্‌ বিদধাতি কামান্‌ তাই শ্রীকৃষ্ণ আমাদের পালন করছেন, আর আমরা পালিত হচ্ছি। তাই শ্রীকৃষ্ণ হবেন নিয়ন্ত্রক এবং আমরা হব নিয়ন্ত্রিত। সেটিই আমাদের নিত্য স্বরূপগত অবস্থান। তাই আমরা যদি এই জগতে কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রক হতে চাই তাহলে সেটি আমাদের মোহ আমাদের তা অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। অবশ্যই ছাড়তে হবে। আমাদের সবসময় কৃষ্ণের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে চেষ্টা করতে হবে। সেটিই হচ্ছে সার্থক জীবন। অনেক ধন্যবাদ। ভক্তগণঃ হরিবোল। জয় শ্রীল প্রভুপাদ!