BN/Prabhupada 0120 - অস্পষ্ট রহস্যময় শক্তি: Difference between revisions
(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0120 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - M...") |
No edit summary |
||
Line 7: | Line 7: | ||
[[Category:BN-Quotes - in USA, Los Angeles]] | [[Category:BN-Quotes - in USA, Los Angeles]] | ||
<!-- END CATEGORY LIST --> | <!-- END CATEGORY LIST --> | ||
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- | <!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | ||
{{1080 videos navigation - All Languages| | {{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0119 - চিন্ময় আত্মা হচ্ছে চিরহরিৎ|0119|BN/Prabhupada 0121 - মূলত কৃষ্ণই কার্য করেন|0121}} | ||
<!-- END NAVIGATION BAR --> | <!-- END NAVIGATION BAR --> | ||
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | <!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | ||
Line 18: | Line 18: | ||
<!-- BEGIN VIDEO LINK --> | <!-- BEGIN VIDEO LINK --> | ||
{{youtube_right|অস্পষ্ট রহস্যময় শক্তি <br/>- Prabhupāda 0120}} | {{youtube_right|lajSPah6wIg|অস্পষ্ট রহস্যময় শক্তি<br/>- Prabhupāda 0120}} | ||
<!-- END VIDEO LINK --> | <!-- END VIDEO LINK --> | ||
Line 30: | Line 30: | ||
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | <!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | ||
প্রভুপাদঃ | প্রভুপাদঃ তুমি অনুবাদ করেছ কি না? | ||
স্বরূপ দামোদরঃ অচিন্ত্য? | |||
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। অচিন্ত্য অথবা যৌগিক। | |||
স্বরূপ দমোদরঃ যৌগিক শক্তি | |||
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। | |||
স্বরূপ দামোদরঃ আমি শুধু সেগুলি রাখছি, আপনি যা ব্যাখ্যা করেছেন প্রভুপাদ, বিভিন্ন অচিন্ত্য শক্তি যা আমরা লক্ষ্য করছি। | |||
প্রভুপাদঃ এখানে আচিন্ত্য শক্তি কাজ করছে, এই কুয়াশা। এটি সরাতে তোমার কোন ক্ষমতা নেই। তোমার ক্ষমতার বাইরে। তুমি প্রতারণা করে কিছু দাঁতভাঙ্গা শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পার ... | |||
পথযাত্রীঃ শুভ সকাল। | |||
প্রভুপাদঃ শুভ সকাল। যে ..."এই রাসায়নিক, এই অণুকণা, যেমন এটা সেটা" অনেক কিছু আছে। কিন্তু (হাসি) এটা সরিয়ে দেবার মতো তোমার কোন ক্ষমতা নেই। | |||
স্বরূপ দামোদরঃ হ্যাঁ। তাদের ব্যাখ্যা আছে কিভাবে কুয়াশা তৈরি হয়। তারা এটাকে বলে ... | |||
প্রভুপাদঃ সেটা তুমি করতে পার। যেটা, আমিও করতে পারি। এটা খুব বড় কৃতিত্বের কিছু নয়। কিন্তু যদি তুমি জান যে এটি কীভাবে গঠিত হয়, তাহলে তা প্রতিহত কর দেখি। | |||
স্বরূপ দামোদরঃ আমরা জানি কিভাবে এটি গঠিত হয়। আমরা জানি কিভাবে এটি গঠিত হয়। | |||
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। তাহলে একে সরানোরও উপায় বের কর দেখি। ঠিক যেমন, আগের দিনে যুদ্ধে পরমাণু ব্রহ্মাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। অন্যদিকে ... ব্রহ্মাস্ত্র মানে অত্যধিক তাপ। তাই তারা কিছু ঘটিয়েছে, তারা জলে রূপান্তরিত করেছে। কারণ তাপের পরে, জল থাকতে হবে। সুতরাং সেই বিজ্ঞান কোথায়? | |||
স্বরূপ দামোদরঃ এটা শুধু দুধের মত। দুধ সাদা দেখায়, কিন্তু এটি শুধু জল। তারা এটা বলে, এটি প্রোটিন একটি আঠাল তরল, এই আঠাল উপাদান, জলের মধ্যে। তাই অনুরূপভাবে, এই কুয়াশা হচ্ছে বাতাসে একটি আঠাল তরল জল মাত্র। | |||
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ সুতরাং তুমি কিছু আগুন তৈরি কর। এটি অবিলম্বে দূরে চলে যাবে। জলকে আগুন দিয়ে দূর করা যায়। তাহলে তোমরা তা কর। যা তোমরা করতে পারবে না। তোমরা একটা বোমা ফেল কিছু তাপ উৎপন্ন হবে আর সব কুয়াশা চলে যাবে । কর দেখি। | |||
করন্ধরঃ তাতে এই গ্রহ উড়ে যাবে। এই পৃথিবী গ্রহটি উড়ে যাবে। (হাসি) | |||
প্রভুপাদঃ হরে কৃষ্ণ। জলকে আগুন বা বায়ু দ্বারা ঠেকানো যায় সবাই এটা জানে। সুতরাং তুমি এটা করে দেখাও এই হচ্ছে তোমার অলৌকিক শক্তি সব অর্থহীন আজেবাজে কথা বলতে পার, কিন্তু এটির বিরুদ্ধে কাজ করতে পার না। অতএব এটা যৌগিক শক্তি। তাই একইভাবে, অনেক কিছু আছে। এটা অচিন্ত্য -শক্তি। এমনকি তুমি চিন্তাও করতে পারবে না। প্রকৃতিতে, তাৎক্ষণিকভাবে সূর্য উঠে - আর কোন কুয়াশা থাকে না। সব শেষ হয়ে যায়। সূর্যের একটু তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়, সব শেষ। নীহারম্ ইব ভাস্করঃ। এই উদাহরণটি ভাগবতে দেওয়া হয়েছে, নীহার, এটাকে বলে নীহার। ঠিক যেমন নীহার বা কুয়াশা অবিলম্বে ভাস্করের দ্বারা সরে যায় পড়ে, সূর্য দ্বারা একইভাবে, যদি কেউ তার সুপ্ত ভক্তি জাগাতে পারে, তাহলে সব শেষ, পাপ কার্যক্রম তার সব প্রতিক্রিয়া, সমাপ্ত। নীহারম্ ইব ভাস্কর তুমি শুধু তৈরি করতে পার ... তুমি ভাবছ সূর্য একটি রাসায়নিক গঠন, সেই রাসায়নিক। তাহলে শুধু একটা সূর্য তৈরি কর আর তা আকাশে নিক্ষেপ কর। কেবল অলীক ভবিষ্যৎ, প্রতারণা, ধাপ্পাবাজি আর শব্দের জারিজুরি, সেসব ভাল না | |||
স্বরূপ দামোদরঃ এই হচ্ছে গবেষণা। গবেষণা মানে বোঝা, যেটা আগে জানা যায় না। | |||
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, তোমাদের গবেষণার মানে তোমরা স্বীকার করছ যে তোমরা সব বোকা এবং বদমাশ। গবেষণা কার জন্য? যে জানে না। অন্যথায় গবেষণার প্রশ্ন কোথায়? তুমি তা জানও না। সেটা স্বীকার কর তাই অনেক অলৌকিক ক্ষমতা আছে। তুমি জান না যে এটি কিভাবে করা হচ্ছে। তাই তোমাকে অচিন্ত্য শক্তিকে স্বীকার করতেই হবে। এবং অচিন্ত্য শক্তির এই নীতি গ্রহণ ছাড়া, ভগবানের কোন অর্থ নেই। সেই বালা যোগী যেভাবে ভগবান হয়েছে সেভাবে নয়। সুতরাং এই হচ্ছে বদমাশ আর বোকার দল। কিন্তু যারা বুদ্ধিমান, তারা অচিন্ত্য শক্তি পরীক্ষা করবে। ঠিক যেমন আমরা কৃষ্ণকে ভগবান হিসাবে গ্রহণ করি - অচিন্ত্য শক্তি। আমরা রামকে গ্রহণ করি - অচিন্ত্য শক্তি তাই সস্তাভাবে না। একটা মূর্খ এসে বলল, "আমি ভগবানের অবতার।" আরেকটি মূর্খ তাকে গ্রহণ করল। এমনটা না যে "রামকৃষ্ণ ভগবান।" আমরা তা গ্রহণ করি না। আমাদের অচিন্ত্য যৌগিক শক্তি দেখতে হবে । ঠিক যেমন কৃষ্ণ ,একটি শিশু হিসাবে, একটি পাহাড় উত্তোলন করেছেন। এই অচিন্ত্য রহস্যময় শক্তি। রামচন্দ্র, তিনি স্তম্ভ ছাড়াই পাথরের একটি সেতু নির্মাণ করেন। পাথরটি ভাসতে লাগলো: "চলো।" সুতরাং একটি অচিন্ত্য শক্তি। এবং তুমি এই অচিন্ত্য শক্তিকে বুঝতে পারবে না বলে যখন তারা বর্ণনা করে, তখন তুমি বলবে, "ওহ, এই সব গল্প।" কি বলা হয়? পৌরাণিক কথা। কিন্তু এই মহান, মহান ঋষিরা, বাল্মীকি এবং ব্যাসদেব এবং অন্য আচার্যরা। ওনারা কি কেবল পৌরাণিক কল্পকাহিনী লিখে তাঁদের সময় নষ্ট করতেন? এতো বড় বিদ্বান পণ্ডিতেরা? তাঁরা একে কল্প কাহিনী বলেন নি তারা প্রকৃত সত্য হিসাবে এটি গ্রহণ করেছেন। দাবানল লেগেছিল সমস্ত বন্ধু এবং গোপ বালকরা, তারা ভীত হয়েছিল। তাঁরা কৃষ্ণের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ "কৃষ্ণ, কি করব?" তিনি "ঠিক আছে." বলে পুরো দাবানল গ্রাস করে নিলেন। এই হচ্ছে অকল্পনীয় অচিন্ত্য শক্তি। এই হল ভগবান। ঐশ্বর্য্যস্যঃ সমগ্রস্যঃ বীর্য্যস্যঃ যশসঃ শ্রীয়ঃ (বিষ্ণু পুরাণ. ৬.৫.৪৭)। তাঁর মধ্যে এই ছয়টি ঐশ্বর্য পূর্ণরূপে বিদ্যমান। তবেই তিনি ভগবান। অচিন্ত্য শক্তি বা যৌগিক শক্তি, আমরাও পেয়েছি। অত্যন্ত স্বল্প পরিমাণে। আমাদের শরীরের ভিতরে অনেক কিছু ঘটছে। আমরা সেগুলি ব্যাখ্যা করতে পারি না। একই উদাহরণ। আমার নখ ঠিক একই রূপে বেরোচ্ছে। যদিও রোগের দ্বারা তা নষ্ট হয়ে গেছে, কিন্তু আবার তা হচ্ছে। আমি জানি না যে কি যান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে এবং তার ফলে নখ জন্মাচ্ছে। আঙ্গুলের ঠিক জায়গামতো ও মাপমতো। এটা আমার শরীর থেকে আসছে। এই হচ্ছে রহস্যময় শক্তি। এমনকি এটি আমার জন্যও এবং ডাক্তারদের জন্যও রহস্যময় শক্তি, সকলের জন্য। তারা তা ব্যাখ্যা করতে পারে না। | |||
<!-- END TRANSLATED TEXT --> | <!-- END TRANSLATED TEXT --> |
Latest revision as of 03:05, 3 December 2021
Morning Walk At Cheviot Hills Golf Course -- May 17, 1973, Los Angeles
প্রভুপাদঃ তুমি অনুবাদ করেছ কি না?
স্বরূপ দামোদরঃ অচিন্ত্য?
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। অচিন্ত্য অথবা যৌগিক।
স্বরূপ দমোদরঃ যৌগিক শক্তি
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ।
স্বরূপ দামোদরঃ আমি শুধু সেগুলি রাখছি, আপনি যা ব্যাখ্যা করেছেন প্রভুপাদ, বিভিন্ন অচিন্ত্য শক্তি যা আমরা লক্ষ্য করছি।
প্রভুপাদঃ এখানে আচিন্ত্য শক্তি কাজ করছে, এই কুয়াশা। এটি সরাতে তোমার কোন ক্ষমতা নেই। তোমার ক্ষমতার বাইরে। তুমি প্রতারণা করে কিছু দাঁতভাঙ্গা শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পার ...
পথযাত্রীঃ শুভ সকাল।
প্রভুপাদঃ শুভ সকাল। যে ..."এই রাসায়নিক, এই অণুকণা, যেমন এটা সেটা" অনেক কিছু আছে। কিন্তু (হাসি) এটা সরিয়ে দেবার মতো তোমার কোন ক্ষমতা নেই।
স্বরূপ দামোদরঃ হ্যাঁ। তাদের ব্যাখ্যা আছে কিভাবে কুয়াশা তৈরি হয়। তারা এটাকে বলে ...
প্রভুপাদঃ সেটা তুমি করতে পার। যেটা, আমিও করতে পারি। এটা খুব বড় কৃতিত্বের কিছু নয়। কিন্তু যদি তুমি জান যে এটি কীভাবে গঠিত হয়, তাহলে তা প্রতিহত কর দেখি।
স্বরূপ দামোদরঃ আমরা জানি কিভাবে এটি গঠিত হয়। আমরা জানি কিভাবে এটি গঠিত হয়।
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। তাহলে একে সরানোরও উপায় বের কর দেখি। ঠিক যেমন, আগের দিনে যুদ্ধে পরমাণু ব্রহ্মাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। অন্যদিকে ... ব্রহ্মাস্ত্র মানে অত্যধিক তাপ। তাই তারা কিছু ঘটিয়েছে, তারা জলে রূপান্তরিত করেছে। কারণ তাপের পরে, জল থাকতে হবে। সুতরাং সেই বিজ্ঞান কোথায়?
স্বরূপ দামোদরঃ এটা শুধু দুধের মত। দুধ সাদা দেখায়, কিন্তু এটি শুধু জল। তারা এটা বলে, এটি প্রোটিন একটি আঠাল তরল, এই আঠাল উপাদান, জলের মধ্যে। তাই অনুরূপভাবে, এই কুয়াশা হচ্ছে বাতাসে একটি আঠাল তরল জল মাত্র।
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ সুতরাং তুমি কিছু আগুন তৈরি কর। এটি অবিলম্বে দূরে চলে যাবে। জলকে আগুন দিয়ে দূর করা যায়। তাহলে তোমরা তা কর। যা তোমরা করতে পারবে না। তোমরা একটা বোমা ফেল কিছু তাপ উৎপন্ন হবে আর সব কুয়াশা চলে যাবে । কর দেখি।
করন্ধরঃ তাতে এই গ্রহ উড়ে যাবে। এই পৃথিবী গ্রহটি উড়ে যাবে। (হাসি)
প্রভুপাদঃ হরে কৃষ্ণ। জলকে আগুন বা বায়ু দ্বারা ঠেকানো যায় সবাই এটা জানে। সুতরাং তুমি এটা করে দেখাও এই হচ্ছে তোমার অলৌকিক শক্তি সব অর্থহীন আজেবাজে কথা বলতে পার, কিন্তু এটির বিরুদ্ধে কাজ করতে পার না। অতএব এটা যৌগিক শক্তি। তাই একইভাবে, অনেক কিছু আছে। এটা অচিন্ত্য -শক্তি। এমনকি তুমি চিন্তাও করতে পারবে না। প্রকৃতিতে, তাৎক্ষণিকভাবে সূর্য উঠে - আর কোন কুয়াশা থাকে না। সব শেষ হয়ে যায়। সূর্যের একটু তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়, সব শেষ। নীহারম্ ইব ভাস্করঃ। এই উদাহরণটি ভাগবতে দেওয়া হয়েছে, নীহার, এটাকে বলে নীহার। ঠিক যেমন নীহার বা কুয়াশা অবিলম্বে ভাস্করের দ্বারা সরে যায় পড়ে, সূর্য দ্বারা একইভাবে, যদি কেউ তার সুপ্ত ভক্তি জাগাতে পারে, তাহলে সব শেষ, পাপ কার্যক্রম তার সব প্রতিক্রিয়া, সমাপ্ত। নীহারম্ ইব ভাস্কর তুমি শুধু তৈরি করতে পার ... তুমি ভাবছ সূর্য একটি রাসায়নিক গঠন, সেই রাসায়নিক। তাহলে শুধু একটা সূর্য তৈরি কর আর তা আকাশে নিক্ষেপ কর। কেবল অলীক ভবিষ্যৎ, প্রতারণা, ধাপ্পাবাজি আর শব্দের জারিজুরি, সেসব ভাল না
স্বরূপ দামোদরঃ এই হচ্ছে গবেষণা। গবেষণা মানে বোঝা, যেটা আগে জানা যায় না।
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, তোমাদের গবেষণার মানে তোমরা স্বীকার করছ যে তোমরা সব বোকা এবং বদমাশ। গবেষণা কার জন্য? যে জানে না। অন্যথায় গবেষণার প্রশ্ন কোথায়? তুমি তা জানও না। সেটা স্বীকার কর তাই অনেক অলৌকিক ক্ষমতা আছে। তুমি জান না যে এটি কিভাবে করা হচ্ছে। তাই তোমাকে অচিন্ত্য শক্তিকে স্বীকার করতেই হবে। এবং অচিন্ত্য শক্তির এই নীতি গ্রহণ ছাড়া, ভগবানের কোন অর্থ নেই। সেই বালা যোগী যেভাবে ভগবান হয়েছে সেভাবে নয়। সুতরাং এই হচ্ছে বদমাশ আর বোকার দল। কিন্তু যারা বুদ্ধিমান, তারা অচিন্ত্য শক্তি পরীক্ষা করবে। ঠিক যেমন আমরা কৃষ্ণকে ভগবান হিসাবে গ্রহণ করি - অচিন্ত্য শক্তি। আমরা রামকে গ্রহণ করি - অচিন্ত্য শক্তি তাই সস্তাভাবে না। একটা মূর্খ এসে বলল, "আমি ভগবানের অবতার।" আরেকটি মূর্খ তাকে গ্রহণ করল। এমনটা না যে "রামকৃষ্ণ ভগবান।" আমরা তা গ্রহণ করি না। আমাদের অচিন্ত্য যৌগিক শক্তি দেখতে হবে । ঠিক যেমন কৃষ্ণ ,একটি শিশু হিসাবে, একটি পাহাড় উত্তোলন করেছেন। এই অচিন্ত্য রহস্যময় শক্তি। রামচন্দ্র, তিনি স্তম্ভ ছাড়াই পাথরের একটি সেতু নির্মাণ করেন। পাথরটি ভাসতে লাগলো: "চলো।" সুতরাং একটি অচিন্ত্য শক্তি। এবং তুমি এই অচিন্ত্য শক্তিকে বুঝতে পারবে না বলে যখন তারা বর্ণনা করে, তখন তুমি বলবে, "ওহ, এই সব গল্প।" কি বলা হয়? পৌরাণিক কথা। কিন্তু এই মহান, মহান ঋষিরা, বাল্মীকি এবং ব্যাসদেব এবং অন্য আচার্যরা। ওনারা কি কেবল পৌরাণিক কল্পকাহিনী লিখে তাঁদের সময় নষ্ট করতেন? এতো বড় বিদ্বান পণ্ডিতেরা? তাঁরা একে কল্প কাহিনী বলেন নি তারা প্রকৃত সত্য হিসাবে এটি গ্রহণ করেছেন। দাবানল লেগেছিল সমস্ত বন্ধু এবং গোপ বালকরা, তারা ভীত হয়েছিল। তাঁরা কৃষ্ণের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ "কৃষ্ণ, কি করব?" তিনি "ঠিক আছে." বলে পুরো দাবানল গ্রাস করে নিলেন। এই হচ্ছে অকল্পনীয় অচিন্ত্য শক্তি। এই হল ভগবান। ঐশ্বর্য্যস্যঃ সমগ্রস্যঃ বীর্য্যস্যঃ যশসঃ শ্রীয়ঃ (বিষ্ণু পুরাণ. ৬.৫.৪৭)। তাঁর মধ্যে এই ছয়টি ঐশ্বর্য পূর্ণরূপে বিদ্যমান। তবেই তিনি ভগবান। অচিন্ত্য শক্তি বা যৌগিক শক্তি, আমরাও পেয়েছি। অত্যন্ত স্বল্প পরিমাণে। আমাদের শরীরের ভিতরে অনেক কিছু ঘটছে। আমরা সেগুলি ব্যাখ্যা করতে পারি না। একই উদাহরণ। আমার নখ ঠিক একই রূপে বেরোচ্ছে। যদিও রোগের দ্বারা তা নষ্ট হয়ে গেছে, কিন্তু আবার তা হচ্ছে। আমি জানি না যে কি যান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে এবং তার ফলে নখ জন্মাচ্ছে। আঙ্গুলের ঠিক জায়গামতো ও মাপমতো। এটা আমার শরীর থেকে আসছে। এই হচ্ছে রহস্যময় শক্তি। এমনকি এটি আমার জন্যও এবং ডাক্তারদের জন্যও রহস্যময় শক্তি, সকলের জন্য। তারা তা ব্যাখ্যা করতে পারে না।