BN/Prabhupada 0845 - এমনকি একটা কুকুরও জানে কিভাবে মৈথুন করতে হয়। এর জন্য ফ্রয়েডের দর্শন লাগে না: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0845 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0844 - Simply by Pleasing the King, You Please the Almighty Father, God|0844|Prabhupada 0846 - The Material World is Shadow Reflection of the Spiritual World|0846}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0844 - কেবল রাজাকে সন্তুষ্ট করার দ্বারাই তুমি ভগবানকে সন্তুষ্ট করতে পার|0844|BN/Prabhupada 0846 - জড় জগত হচ্ছে চিন্ময় জগতের প্রতিফলন|0846}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 38: Line 38:
:চিকীর্ষু লোকসংগ্রহম্‌  
:চিকীর্ষু লোকসংগ্রহম্‌  


:(ভগবদগীতা ৩/২৫))  
:([[Vanisource:BG 3.25 (1972)|ভগবদগীতা ৩/২৫]])  


দুই ধরণের লোক আছে। বিদ্বান এবং মূর্খ বিদ্বান নয়, মূর্খ নাও হতে পারে অবশ্যই মানুষ পশুদের চেয়ে বুদ্ধিমান কিন্তু তাঁদের মধ্যেও অধিক বুদ্ধিমান এবং কম বুদ্ধিমান আছে সর্বোপরি, তাঁরা পশুদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান যখন বুদ্ধির কথা বিবেচনা করছি, আহার, নিদ্রা, আত্মরক্ষা  
দুই ধরণের লোক আছে। বিদ্বান এবং মূর্খ বিদ্বান নয়, মূর্খ নাও হতে পারে অবশ্যই মানুষ পশুদের চেয়ে বুদ্ধিমান কিন্তু তাঁদের মধ্যেও অধিক বুদ্ধিমান এবং কম বুদ্ধিমান আছে সর্বোপরি, তাঁরা পশুদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান যখন বুদ্ধির কথা বিবেচনা করছি, আহার, নিদ্রা, আত্মরক্ষা  
Line 44: Line 44:
এবং মৈথুনের ক্ষেত্রে সমান সেটি মানুষ বা পশু উভয় ক্ষেত্রেই সমান এসবের জন্য কোন শিক্ষার দরকার পড়ে না এমনকি কুকুরও জানে কিভাবে যৌন জীবন করতে হবে এটা জানার জন্য ফ্রয়েডের দর্শন জানার দরকার পড়ে না কিন্তু মূর্খ মানুষ সমাজ মনে করছে, "ইনি একজন বিরাট দার্শনিক, ইনি যৌন জীবন নিয়ে লিখেছেন"। এটাই চলছে। আহার, শুধু খাওয়া... এই যে জমি রয়েছে, তাতে তুমি তোমার খাদ্যশস্য ফলাও এবং যথেষ্ট পরিমাণে আহার করতে পার বড় বড় গাভীদের হত্যা করতে বৈজ্ঞানিক কসাইখানার কোন দরকার নেই আর নিরীহ পশুদের জীবনের বিনিময়ে শহরে থাকার দরকার নেই তা হচ্ছে বুদ্ধির অপব্যবহার। তা বুদ্ধিমত্তা নয় তাই একজন ভক্ত যিনি আসলেই বুদ্ধিমান তাঁদেরকে এটা সবার কাছে দেখানো উচিৎ যে কিভাবে এই বুদ্ধির উপযোগ করতে হয় তা এখানে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সক্তাঃ কর্মণি অবিদ্বাংসঃ  
এবং মৈথুনের ক্ষেত্রে সমান সেটি মানুষ বা পশু উভয় ক্ষেত্রেই সমান এসবের জন্য কোন শিক্ষার দরকার পড়ে না এমনকি কুকুরও জানে কিভাবে যৌন জীবন করতে হবে এটা জানার জন্য ফ্রয়েডের দর্শন জানার দরকার পড়ে না কিন্তু মূর্খ মানুষ সমাজ মনে করছে, "ইনি একজন বিরাট দার্শনিক, ইনি যৌন জীবন নিয়ে লিখেছেন"। এটাই চলছে। আহার, শুধু খাওয়া... এই যে জমি রয়েছে, তাতে তুমি তোমার খাদ্যশস্য ফলাও এবং যথেষ্ট পরিমাণে আহার করতে পার বড় বড় গাভীদের হত্যা করতে বৈজ্ঞানিক কসাইখানার কোন দরকার নেই আর নিরীহ পশুদের জীবনের বিনিময়ে শহরে থাকার দরকার নেই তা হচ্ছে বুদ্ধির অপব্যবহার। তা বুদ্ধিমত্তা নয় তাই একজন ভক্ত যিনি আসলেই বুদ্ধিমান তাঁদেরকে এটা সবার কাছে দেখানো উচিৎ যে কিভাবে এই বুদ্ধির উপযোগ করতে হয় তা এখানে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সক্তাঃ কর্মণি অবিদ্বাংসঃ  


অবিদ্বাংসঃ - মূর্খ। অল্পজ্ঞান সম্পন্ন লোক তারা অনেক অনেক ধরণের কার্যকলাপ বের করেছে, কেবল মূর্খামি এই তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার উন্নয়ন অবিদ্বাংসঃ - এর দ্বারা পরিকল্পিত। অল্প জ্ঞানসম্পন্ন লোকদের দ্বারা। ওরা সভ্যতায় উন্নত নয় তাই ওরা আত্মার দেহান্তর প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না ওরা এটা বিশ্বাস করেনা, এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে এড়িয়ে যায় আর তারা পরিকল্পনা করে যে এই জীবনে ওরা পঞ্চাশ ষাট বছর যাই বাঁচবে বড়, বড় পরিকল্পনা, স্বপ্ন দেখে, সক্তাঃ  জাগতিকভাবে আসক্ত। সক্তাঃ কর্মণি - আর ভোগের নতুন নতুন কার্যক্রম উদ্ভাবন করছে অবিদ্বাংসঃ - ওরা জানে না যে কিভাবে এই মস্তিষ্ককে, মেধাকে কাজে লাগাতে হয় আমরা আগের দিন আলোচনা করেছি যে, প্রবৃত্তিং চ নিবৃত্তিং চ ন বিদুঃ অসুরা জনাঃ (গীতা ১৬/৭) কোথায় আমাদের এই মাথা এবং মেধা কাজে লাগাতে হবে তা ওরা জানে না এই হচ্ছে দেবতা ও অসুরের মধ্যে পার্থক্য। অসুর জানে না। অসুর মনে করে সে সারাজীবন বেঁচে থাকবে এবং জাগতিক আরাম-আয়েশের বড় বড় পরিকল্পনাগুলি বানানো হোক এটি হচ্ছে আসুরিক সভ্যতা। সে এখানে থাকার অনুমতি পাবে না  - দুঃখালয়ম্‌ অশ্বাশতম্‌ (গীতা ৮/১৫)) এটা একটা দুর্দশা ভোগের জায়গা যাতে করে আমরা আমাদের প্রকৃত অবস্থানটি বুঝতে পারি কিন্তু  
অবিদ্বাংসঃ - মূর্খ। অল্পজ্ঞান সম্পন্ন লোক তারা অনেক অনেক ধরণের কার্যকলাপ বের করেছে, কেবল মূর্খামি এই তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার উন্নয়ন অবিদ্বাংসঃ - এর দ্বারা পরিকল্পিত। অল্প জ্ঞানসম্পন্ন লোকদের দ্বারা। ওরা সভ্যতায় উন্নত নয় তাই ওরা আত্মার দেহান্তর প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না ওরা এটা বিশ্বাস করেনা, এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে এড়িয়ে যায় আর তারা পরিকল্পনা করে যে এই জীবনে ওরা পঞ্চাশ ষাট বছর যাই বাঁচবে বড়, বড় পরিকল্পনা, স্বপ্ন দেখে, সক্তাঃ  জাগতিকভাবে আসক্ত। সক্তাঃ কর্মণি - আর ভোগের নতুন নতুন কার্যক্রম উদ্ভাবন করছে অবিদ্বাংসঃ - ওরা জানে না যে কিভাবে এই মস্তিষ্ককে, মেধাকে কাজে লাগাতে হয় আমরা আগের দিন আলোচনা করেছি যে, প্রবৃত্তিং চ নিবৃত্তিং চ ন বিদুঃ অসুরা জনাঃ ([[Vanisource:BG 16.7 (1972)|গীতা ১৬/৭]]) কোথায় আমাদের এই মাথা এবং মেধা কাজে লাগাতে হবে তা ওরা জানে না এই হচ্ছে দেবতা ও অসুরের মধ্যে পার্থক্য। অসুর জানে না। অসুর মনে করে সে সারাজীবন বেঁচে থাকবে এবং জাগতিক আরাম-আয়েশের বড় বড় পরিকল্পনাগুলি বানানো হোক এটি হচ্ছে আসুরিক সভ্যতা। সে এখানে থাকার অনুমতি পাবে না  - দুঃখালয়ম্‌ অশ্বাশতম্‌ ([[Vanisource:BG 3.25 (1972)|গীতা ৮/১৫]]) এটা একটা দুর্দশা ভোগের জায়গা যাতে করে আমরা আমাদের প্রকৃত অবস্থানটি বুঝতে পারি কিন্তু  


এই মূর্খগুলি এই ভোগান্তির জায়গাটা বুঝছে না, ওরা আরও ভোগান্তির জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা বানাচ্ছে। এই হচ্ছে মূর্খ সভ্যতা। তথাকথিত বৈজ্ঞানিকেরা উন্নয়নের আড়ম্বরপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করছে যেমনটা আমরা আজ সকালে আলোচনা করছিলাম, "তো আপনি কি আবিষ্কার করতে পেরেছেন? জন্ম মৃত্যু জরা ব্যাধি ইত্যাদি থেকে মুক্তিলাভের জন্য আপনার কাছে কি সমাধান আছে? আপনি কি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছেন? এর উত্তরে ওরা না বলবে না। বলবে, "হ্যাঁ আমরা চেষ্টা করছি, হয়তো কোটি কোটি বছর পর তা সম্ভব হতে পারে"। সেটিও... "হয়তো এমন হবে যে আমরা সারা জীবন বেঁচে থাকব" ওরা এইভাবে বলে। তোমার কথাকে সত্য প্রমাণ করার জন্য,  তুমি কাকে এমন দেখেছ যে কোটি কোটি বছর বেঁচে ছিল। সবাই পঞ্চাশ ষাট বছরের মধ্যে মারা যাবে। তুমিও... তুমি মূর্খ তুমিও শেষ প্রশ্ন। আর তোমার সেই পরিণাম ফল দেখার জন্য কে থাকবে? এটাই চলছে তাই সমস্ত বুদ্ধিমান মানুষের এটি কর্তব্য যে অন্যকে শিক্ষা দেয়া কিভাবে জীবন চালাতে হয়।  
এই মূর্খগুলি এই ভোগান্তির জায়গাটা বুঝছে না, ওরা আরও ভোগান্তির জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা বানাচ্ছে। এই হচ্ছে মূর্খ সভ্যতা। তথাকথিত বৈজ্ঞানিকেরা উন্নয়নের আড়ম্বরপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করছে যেমনটা আমরা আজ সকালে আলোচনা করছিলাম, "তো আপনি কি আবিষ্কার করতে পেরেছেন? জন্ম মৃত্যু জরা ব্যাধি ইত্যাদি থেকে মুক্তিলাভের জন্য আপনার কাছে কি সমাধান আছে? আপনি কি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছেন? এর উত্তরে ওরা না বলবে না। বলবে, "হ্যাঁ আমরা চেষ্টা করছি, হয়তো কোটি কোটি বছর পর তা সম্ভব হতে পারে"। সেটিও... "হয়তো এমন হবে যে আমরা সারা জীবন বেঁচে থাকব" ওরা এইভাবে বলে। তোমার কথাকে সত্য প্রমাণ করার জন্য,  তুমি কাকে এমন দেখেছ যে কোটি কোটি বছর বেঁচে ছিল। সবাই পঞ্চাশ ষাট বছরের মধ্যে মারা যাবে। তুমিও... তুমি মূর্খ তুমিও শেষ প্রশ্ন। আর তোমার সেই পরিণাম ফল দেখার জন্য কে থাকবে? এটাই চলছে তাই সমস্ত বুদ্ধিমান মানুষের এটি কর্তব্য যে অন্যকে শিক্ষা দেয়া কিভাবে জীবন চালাতে হয়।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:04, 13 August 2021



761217 - Lecture BG 03.25 - Hyderabad

সক্তাঃ কর্মণি অবিদ্বাংসঃ
যথা কুর্বন্তি ভারত
কুর্যাদ্‌ বিদ্বাংস্তথাসক্ত
চিকীর্ষু লোকসংগ্রহম্‌
(ভগবদগীতা ৩/২৫)

দুই ধরণের লোক আছে। বিদ্বান এবং মূর্খ বিদ্বান নয়, মূর্খ নাও হতে পারে অবশ্যই মানুষ পশুদের চেয়ে বুদ্ধিমান কিন্তু তাঁদের মধ্যেও অধিক বুদ্ধিমান এবং কম বুদ্ধিমান আছে সর্বোপরি, তাঁরা পশুদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান যখন বুদ্ধির কথা বিবেচনা করছি, আহার, নিদ্রা, আত্মরক্ষা

এবং মৈথুনের ক্ষেত্রে সমান সেটি মানুষ বা পশু উভয় ক্ষেত্রেই সমান এসবের জন্য কোন শিক্ষার দরকার পড়ে না এমনকি কুকুরও জানে কিভাবে যৌন জীবন করতে হবে এটা জানার জন্য ফ্রয়েডের দর্শন জানার দরকার পড়ে না কিন্তু মূর্খ মানুষ সমাজ মনে করছে, "ইনি একজন বিরাট দার্শনিক, ইনি যৌন জীবন নিয়ে লিখেছেন"। এটাই চলছে। আহার, শুধু খাওয়া... এই যে জমি রয়েছে, তাতে তুমি তোমার খাদ্যশস্য ফলাও এবং যথেষ্ট পরিমাণে আহার করতে পার বড় বড় গাভীদের হত্যা করতে বৈজ্ঞানিক কসাইখানার কোন দরকার নেই আর নিরীহ পশুদের জীবনের বিনিময়ে শহরে থাকার দরকার নেই তা হচ্ছে বুদ্ধির অপব্যবহার। তা বুদ্ধিমত্তা নয় তাই একজন ভক্ত যিনি আসলেই বুদ্ধিমান তাঁদেরকে এটা সবার কাছে দেখানো উচিৎ যে কিভাবে এই বুদ্ধির উপযোগ করতে হয় তা এখানে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সক্তাঃ কর্মণি অবিদ্বাংসঃ

অবিদ্বাংসঃ - মূর্খ। অল্পজ্ঞান সম্পন্ন লোক তারা অনেক অনেক ধরণের কার্যকলাপ বের করেছে, কেবল মূর্খামি এই তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার উন্নয়ন অবিদ্বাংসঃ - এর দ্বারা পরিকল্পিত। অল্প জ্ঞানসম্পন্ন লোকদের দ্বারা। ওরা সভ্যতায় উন্নত নয় তাই ওরা আত্মার দেহান্তর প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না ওরা এটা বিশ্বাস করেনা, এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে এড়িয়ে যায় আর তারা পরিকল্পনা করে যে এই জীবনে ওরা পঞ্চাশ ষাট বছর যাই বাঁচবে বড়, বড় পরিকল্পনা, স্বপ্ন দেখে, সক্তাঃ জাগতিকভাবে আসক্ত। সক্তাঃ কর্মণি - আর ভোগের নতুন নতুন কার্যক্রম উদ্ভাবন করছে অবিদ্বাংসঃ - ওরা জানে না যে কিভাবে এই মস্তিষ্ককে, মেধাকে কাজে লাগাতে হয় আমরা আগের দিন আলোচনা করেছি যে, প্রবৃত্তিং চ নিবৃত্তিং চ ন বিদুঃ অসুরা জনাঃ (গীতা ১৬/৭) কোথায় আমাদের এই মাথা এবং মেধা কাজে লাগাতে হবে তা ওরা জানে না এই হচ্ছে দেবতা ও অসুরের মধ্যে পার্থক্য। অসুর জানে না। অসুর মনে করে সে সারাজীবন বেঁচে থাকবে এবং জাগতিক আরাম-আয়েশের বড় বড় পরিকল্পনাগুলি বানানো হোক এটি হচ্ছে আসুরিক সভ্যতা। সে এখানে থাকার অনুমতি পাবে না - দুঃখালয়ম্‌ অশ্বাশতম্‌ (গীতা ৮/১৫) এটা একটা দুর্দশা ভোগের জায়গা যাতে করে আমরা আমাদের প্রকৃত অবস্থানটি বুঝতে পারি কিন্তু

এই মূর্খগুলি এই ভোগান্তির জায়গাটা বুঝছে না, ওরা আরও ভোগান্তির জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা বানাচ্ছে। এই হচ্ছে মূর্খ সভ্যতা। তথাকথিত বৈজ্ঞানিকেরা উন্নয়নের আড়ম্বরপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করছে যেমনটা আমরা আজ সকালে আলোচনা করছিলাম, "তো আপনি কি আবিষ্কার করতে পেরেছেন? জন্ম মৃত্যু জরা ব্যাধি ইত্যাদি থেকে মুক্তিলাভের জন্য আপনার কাছে কি সমাধান আছে? আপনি কি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছেন? এর উত্তরে ওরা না বলবে না। বলবে, "হ্যাঁ আমরা চেষ্টা করছি, হয়তো কোটি কোটি বছর পর তা সম্ভব হতে পারে"। সেটিও... "হয়তো এমন হবে যে আমরা সারা জীবন বেঁচে থাকব" ওরা এইভাবে বলে। তোমার কথাকে সত্য প্রমাণ করার জন্য, তুমি কাকে এমন দেখেছ যে কোটি কোটি বছর বেঁচে ছিল। সবাই পঞ্চাশ ষাট বছরের মধ্যে মারা যাবে। তুমিও... তুমি মূর্খ তুমিও শেষ প্রশ্ন। আর তোমার সেই পরিণাম ফল দেখার জন্য কে থাকবে? এটাই চলছে তাই সমস্ত বুদ্ধিমান মানুষের এটি কর্তব্য যে অন্যকে শিক্ষা দেয়া কিভাবে জীবন চালাতে হয়।