BN/Prabhupada 0846 - জড় জগত হচ্ছে চিন্ময় জগতের প্রতিফলন



741221 - Lecture SB 03.26.09 - Bombay

নিতাইঃ "দেবহুতি বললেন, হে পরমেশ্বর ভগবান দয়া করে পরম পুরুষ ভগবান ও তাঁর শক্তিসমূহের বর্ণনা করুন কারণ এই সমস্ত প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সৃষ্টির এই দুই-ই হচ্ছে কারণ।"

প্রভুপাদঃ

প্রকৃতেঃ পুরুষাস্যপি
লক্ষণম্‌ পুরুষোত্তম
ব্রুহি কারণোয়র্স্য
সদসচ্চ যদাত্মকম্‌
(ভাগবত ৩.২৬.৯)

এখানে কপিলদেবকে ভগবান বলে সম্বোধন করা হয়েছে। পুরুষোত্তম। জীবাত্মা, পরমাত্মা এবং পরমেশ্বর ভগবান জীবাত্মাকে কখনও কখনও পুরুষ বলা হয় কারণ পুরুষ মানে ভোক্তা এই জীবাত্মা জড়া প্রকৃতিকে ভোগ করতে চায়, যদিও সে ভোক্তা নয় আমরা তা বহুবার ব্যাখ্যা করেছি। জীবাত্মা প্রকৃতি, কিন্তু সে ভোগ করতে চায়। এর নামই হচ্ছে মায়া। তাই এই ভোক্তা মনোবৃত্তির কারণে তাকে পুরুষ বলা হয়, মায়িক পুরুষ প্রকৃত পুরুষ হলেন ভগবান। পুরুষ মানে ভোক্তা ভোক্তা, প্রকৃত ভোক্তা হলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভোক্তারম্‌ যজ্ঞতপসাম্‌ সর্বলোকমহেশ্বরম্‌ (গীতা ৫.২৯)

তাই এখানে দেবহুতি পুরুষ ও প্রকৃতির ওপর আরও ব্যাখ্যা শুনতে চাইছেন পুরুষ একজন, কিন্তু প্রকৃতি অনেক , বিবিধ শক্তি ঠিক যেমন আমরা পতি-পত্নীর উদাহরণ দিতে পারি, পত্নী মানে শক্তি স্বামী সারা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে, কিন্তু যখন সে ঘরে ফেরে স্ত্রী তাকে সুখ প্রদান করে, খাওয়া, ঘুম, মৈথুন বিভিন্ন ভাবে। সে তখন সতেজ অনুভব করে বিশেষ করে, কর্মী লোকেরা তাদের স্ত্রীদের আচরণ ও সেবার দ্বারা শক্তি পায় অন্যথায় কর্মীরা কোন কাজই করতে পারবে না। যাই হোক, এভাবে শক্তি নীতি বোঝান হচ্ছে তেমনই, পরমেশ্বর ভগবানের শক্তি রয়েছে বেদান্ত সূত্রে আমরা জানতে পারি যে, পরমেশ্বর ভগবান সমস্ত কিছুর মূল উৎস। ব্রহ্ম... অথাতো ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা ব্রহ্ম... একটি সূত্রে ব্যাসদেব বলছেন জন্মাদস্য যতঃ "ব্রহ্ম, পরম সত্য হচ্ছেন যার থেকে সবকিছু উৎপন্ন হয়েছে (ভাগবত ১.১.১) তাই যদি এই নীতি না থাকে যে ব্রহ্ম, পরম সত্য তাঁর শক্তির মাধ্যমে কাজ করেন অন্যথায় এই ধারণা জড় জগতে এলো কোথা থেকে? জড় জগত হচ্ছে চিন্ময় জগতের প্রতিফলন, যদি চিন্ময় জগতে প্রকৃত জিনিসটি না থাকে, তাহলে এই জগতে তা প্রতিফলিত হতে পারে না