BN/Prabhupada 0002 - পাগলের সভ্যতা: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:Bengali Language Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0002 - in all Languages Category:First 11 Page...")
 
No edit summary
 
Line 1: Line 1:
<!-- BEGIN CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN CATEGORY LIST -->
[[Category:Bengali Language]]
[[Category:1080 Bengali Pages with Videos]]
[[Category:1080 Bengali Pages with Videos]]
[[Category:Prabhupada 0002 - in all Languages]]
[[Category:Prabhupada 0002 - in all Languages]]
[[Category:First 11 Pages in all Languages]]
[[Category:BN-Quotes - 1975]]
[[Category:BN-Quotes - 1975]]
[[Category:BN-Quotes - Lectures, Srimad-Bhagavatam]]
[[Category:BN-Quotes - Lectures, Srimad-Bhagavatam]]
[[Category:BN-Quotes - in USA]]
[[Category:BN-Quotes - in USA]]
[[Category:BN-Quotes - in USA, New Orleans]]
[[Category:BN-Quotes - in USA, New Orleans]]
[[Category:First 11 Pages in all Languages]]
[[Category:Bengali Language]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0001 - এক কোটি পর্যন্ত ছড়িয়ে দিন|0001|BN/Prabhupada 0003 - পুরুষেরাও নারী|0003}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<div class="center">
<div class="center">
Line 17: Line 20:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|ufP8nw-SZVw|Madman Civilzation - Prabhupāda 0002}}
{{youtube_right|ArcOm9W9QbM|পাগলের সভ্যতা<br />- Prabhupāda 0002}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


<!-- BEGIN AUDIO LINK -->
<!-- BEGIN AUDIO LINK -->
<mp3player>http://vaniquotes.org/w/images/750801SB.NO_clip1.mp3</mp3player>  
<mp3player>https://s3.amazonaws.com/vanipedia/clip/750801SB.NO_clip1.mp3</mp3player>  
<!-- END AUDIO LINK -->
<!-- END AUDIO LINK -->


Line 29: Line 32:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
অনুবাদ…”ঘুমন্ত সময়ে মানুষ স্বপ্নে প্রতিভাসিত শরীর এর মত কার্য করে, নিজেকে সেই শরীর মনে করে, একইভাবে, নিজেকে শরীর ভেবে বসে, যা অতীতে ধর্মীয় বা অধার্মিক জীবনের কারন অর্জিত হয়েছে, এবং হয় তার অতীত বা ভবিষ্যৎ জীবন সম্পর্কে জানতে পারবে না l" প্রভুপাদ: [ভা.৬.১.৪৯] yathājñas tamasā (yukta) upāste vyaktam eva hi na veda pūrvam aparaṁ naṣṭa-janma-smṛtis tathā এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা l এটি আমাদের বিজ্ঞানের পরিব্যাপ্তি, যে আমরা জানিনা "আমি কে ছিলাম এই জীবনের আগে এবং কি আমি এই জীবনের পরে পরিণত হব ?জীবন ধারাবাহিক l এটা আধ্যাত্মিক জ্ঞান l এমনকি তারা জানেনা যে জীবন ধারাবাহিক l তারা মনে করে “সুযোগ করে, আমি এই জীবন পেছি , এবং এটি মৃত্যুর পর সমাপ্ত হবে l অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যতের কোনো প্রশ্ন নেই l চলো ভোগ করা যাক l” এই অজ্ঞতা, tamasā, দায়িত্বহীন জীবন l সুতরাং ajñaḥ l Ajñaḥ যাদের কোন জ্ঞান নেই l এবং কার কোন জ্ঞান নেই? এখন, tamasā l যারা অজ্ঞতার মধ্যে আছে l প্রকৃতির গুন তিন ধরণের আছে: sattva, raja, tamas l Sattva-guṇa মানে সবকিছু পরিষ্কার, prakāśa l এখন শুধু মত আকাশ মেঘ দ্বারা আবৃত; রোদ স্পষ্ট নেই l কিন্তু মেঘের উপরে রোদ, সবকিছু পরিষ্কার l এবং মেঘের মধ্যে স্পষ্ট নেই l একইভাবে, যারা sattva-guṇa মধ্যে আছে, তাদের জন্য সবকিছু পরিষ্কার, এবং যারা tamo-guṇa মধ্যে আছে , সব অজ্ঞতা, এবং যারা মিশ্রিত আছে, না rajo-guṇa, না tamo-guṇa, তারা rajo-guṇa তে আছে l তীন guṇas l Tamasā. তাই তারা কেবল বর্তমান শরীরের আগ্রহী, আগে কী হবে তা ভাবে না, এবং কোন জ্ঞান নেই কি তিনি আগে ছিল l অন্য স্থানে, তা বর্ণনা করা হয়েছে: nūnaṁ pramattaḥ kurute vikarma (ভা. ৫.৫.৪) l ঠিক পাগল এর মত l তিনি কেন যে বিকৃতবুদ্ধি হয়ে গেছে জানে না l তিনি ভুলে গেছে l এবং তার কার্যক্রম দ্বারা, কি আগামী ঘটতে যাচ্ছে, সে জানে না l পাগল. তাই এই সভ্যতা, আধুনিক সভ্যতা, শুধু পাগল সভ্যতা মত হয় l তারা অতীত জীবন সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই, না তারা ভবিষ্যৎ জীবনএর আগ্রহী l nūnaṁ pramattaḥ kurute vikarma (ভা. ৫.৫.৪) l এবং সম্পূর্ণরূপে পাপিষ্ঠ কার্যক্রমে জড়িত কারণে তারা অতীত জীবন সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই l শুধু একটি কুকুর এর মত l কেন তিনি কুকুর হয়েছে, সে জানে না এবং তিনি তাঁর আগামী জীবনে কী হবে ? সুতরাং একটি কুকুর তার অতীত জীবন প্রধানমন্ত্রী হতে পারে, কিন্তু যখন তিনি কুকুর এর জীবন পায়, তিনি ভুলে যায়ে l সেটা ও māyā এর প্রভাব l Prakṣepātmikā-śakti, āvaraṇātmikā-śakti l Maya এর দুই শক্তি আছে l যদি তার অতীতের পাপিষ্ঠ কার্যক্রম এর জন্য একটি কুকুর হয়ে গেছে l এবং যদি তিনি মনে করেন যে, "আমি প্রধানমন্ত্রী ছিলাম ; এখন আমি কুকুর হয়ে আছে l " বাস করা তার জন্যে দুস্কর হয়ে যাবে l অতএব Maya তার জ্ঞান আবৃত করে l Mṛtyu. Mṛtyu মানে সবকিছু ভুলে যাওয়া l সেটা কে mṛtyu বলে l তার অভিজ্ঞতা আমাদের দিন রাত হয় l রাতে যখন আমরা একটি পৃথক বায়ুমন্ডলে, পৃথক জীবনের স্বপ্ন দেখি আমরা অএ শরীর কে ভুলে যায়ী, যে " আমি শুয়ে আছি l আমার শরীর সুন্দর অট্টালিকা এ শুয়ে আছে, খুব সুন্দর বিছানাপত্র l” না l ধরুন তিনি রাস্তায় ঘোরা ঘুরি করছে বা তিনি পাহাড়ে আছে l সে আগ্রহ নয়ে …. সবাই, এই শরীর এর প্রতি আগ্রহ নয়ে l আমরা গত শরীর কে ভুলে যায়ী l এই হল অজ্ঞতা l তাই অজ্ঞতা, আমাদের অজ্ঞতা থেকে উত্থিত হয়ে জ্ঞান প্রাপ্ত করতে হবে, তা জীবন এর সফলতা l আর যদি অজ্ঞ হয়ে থাকি তাহলে জীবনে সফলতা নাই l এটা জীবন নাশ হয় l সুতরাং আমাদের Kṛṣṇa সচেতনতার আন্দোলন এক ব্যক্তি কে অজ্ঞতা থেকে জ্ঞান এর দিকে নিয়ে যায়ে l এটা বৈদিক সাহিত্যে পুরো প্রকল্প: একজন ব্যক্তিকে পরিত্রাণ করা l Kṛṣṇa ভক্ত এর সংক্রান্ত ভগবদ-গীতা এ বলেন - [ভগবদ-গীতা১২.৭] teṣāṁ ahaṁ samuddhartā mṛtyu-saṁsāra-sāgarāt আরেকটি [ভগবদ-গীতা ১০.১১]: teṣāṁ evānukampārtham aham ajñāna-jaṁ tamaḥ nāśayāmy ātma-bhāva-stho jñāna-dīpena bhāsvatā তিনি প্রত্যেকের হৃদয়ে অবস্থিত, কিন্তু Krsna তাদের সাহায্য করেন যারা তাঁকে বোঝার চেষ্টা করে l তিনি সাহায্য করেন l অভ্ক্ত এর কোন চিন্তা নেই ….তারা শুধু পশুর মত- খাদন, ঘুমোবার, যৌন জীবন এবং প্রতিরক্ষা এ ব্যস্ত l তারা কিছুর চিন্তা করে না , প্রভু বা প্রভুর সঙ্গে তার সম্পর্ক বুঝতে চেষ্টা করে না l তারা মনে করে কোন প্রভু নেই, এবং Kṛṣṇa বলে, "হ্যাঁ, কোন প্রভু নেই. আপনি শয়ন করুন l " অতএব sat-saṅga এর প্রয়োজন বোধ করা হয় l এই sat-saṅga, satāṁ prasaṅgāt l ভক্ত এর সমিতি দ্বারা আমরা প্রভু সম্পর্কে আমাদের অনুসন্ধিৎসা জাগরিত করব l অতএব কেন্দ্র এর প্রয়োজন বোধ করা হয়ে l আমরা অকারণে অনেক কেন্দ্র আরম্ভ করছি না l না l এটা মানব সমাজের সুবিধার জন্য l
হরিকেশ: (অনুবাদ)…”ঠিক যেমন একজন ঘুমন্ত ব্যক্তি তার স্বপ্নে দেখা দেহ অনুযায়ী কার্য করে, অথবা সেই স্বপ্নের দেহকেই আত্মস্বরূপ বলে মনে করে, ঠিক একইভাবে সে তার বর্তমান দেহটিকে তার স্বরূপ বলে মনে করে, যা কিনা সে তার অতীতের ধার্মিক বা অধার্মিক জীবনের কর্মানুযায়ী লাভ করেছে, এবং সে তার অতীত কিংবা ভবিষ্যতের জীবন সম্পর্কে জানতে পারে না।
 
শ্রীল প্রভুপাদ:  
 
:যথাজ্ঞস্তমসা-যুক্ত
:উপাস্তে ব্যক্তমেব হি
:ন বেদ পূর্বমপরং
:নষ্টজন্মস্মৃতিস্তথা। ([[Vanisource:SB 6.1.49|ভা.৬.১.৪৯]])  
 
এই হচ্ছে আমাদের স্থিতি। এই হল আমাদের বিজ্ঞানের অগ্রগতি, যে আমরা জানি না "এই জীবনের পূর্বে আমি কি ছিলাম, আর এই জীবনের পরই বা আমি কি হব?" জীবন হল এক ধারাবাহিকতা। সেটিই হচ্ছে আধ্যাত্মিক জ্ঞান। কিন্তু এমন কি তারা এটিও জানে না যে জীবন হল ধারাবাহিকতা। তারা মনে করে “ঘটনাক্রমে, আমি এই জীবনটি পেয়েছি , এবং মৃত্যুর পর তা শেষ হয়ে যাবে। অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যতের কোন প্রশ্নই আসে না। চলো ভোগ করা যাক।” একে বলা হয় অবিদ্যা, তমসা, দায়িত্বজ্ঞানহীন জীবন।
 
সুতরাং অজ্ঞ।  অজ্ঞ মানে যাদের কোন জ্ঞানই নেই। এবং কার কোন জ্ঞান নেই? তমসা। যে ব্যক্তি তমোগুণে রয়েছে। জড়া প্রকৃতির তিন ধরণের গুণ রয়েছে: সত্ত্ব, রজ এবং তমঃ। সত্ত্বগুণ মানে সবকিছু পরিষ্কার, প্রকাশ। ঠিক যেমন এখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন; সূর্যালোক আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। কিন্তু মেঘের উপরেও সূর্যের আলো রয়েছে, ওখানে সবকিছু পরিষ্কার। এবং মেঘের ভিতরে স্পষ্ট নয়। একইভাবে, যে ব্যাক্তি সত্ত্বগুণে রয়েছেন, তাদের কাছে সবকিছু পরিষ্কার, এবং যে সমস্ত লোকেরা তমোগুণে রয়েছে, তাদের কাছে সব কিছুই অজ্ঞানতাপূর্ণ। এবং যারা মিশ্রিত রয়েছে, না রজো গুণ, না তমো গুণ, মধ্যবর্তী স্থানে, তারা রজোগুণে রয়েছে। তিন গুণ। তমসা, সুতরাং ওরা কেবল এই বর্তমান শরীরটির প্রতিই আগ্রহী, কি হতে চলেছে ওরা তার কোন পরোয়া করে না, এবং সে আগেও বা কি ছিল সে সম্পর্কেও কোন জ্ঞান নেই। অন্য আরেকটি স্থানে এটি বর্ণনা করা হয়েছে: নূনং প্রমত্তঃ কুরুতেঃ বিকর্ম ([[Vanisource:SB 5.5.4|ভা. ৫.৫.৪]]) প্রমত্তঃ, ঠিক যেমন পাগল লোক। সে জানে না সে কেন পাগল হয়ে গেছে। সে ভুলে গিয়েছে। এবং তার কার্যকলাপ দ্বারা, আগামীতে কি ঘটতে যাচ্ছে তাও সে জানে না। পাগল।
 
সুতরাং এই সভ্যতা, আধুনিক সভ্যতা, ঠিক যেমন পাগলের সভ্যতার মতো। তাদের অতীত জীবন সম্পর্কেও কোন জ্ঞান নেই, আর ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতিও কোন আগ্রহ নেই। নূনং প্রমত্তঃ কুরুতেঃ বিকর্ম ([[Vanisource:SB 5.5.4|ভা. ৫.৫.৪]])এবং অতীত জীবন সম্পর্কে কোন জ্ঞান না থাকার দরুন তারা সম্পূর্ণরূপে পাপাচারে লিপ্ত হয়। ঠিক যেমন একটা কুকুরের ন্যায়। সে জানে না যে সে কেন কুকুর দেহ পেয়েছে এবং আগামীতে সে কি পেতে চলেছে? একটি কুকুর হয়তো তার পূর্বজীবনে কোন প্রধানমন্ত্রী ছিল, কিন্তু যখন সে কুকুরের জীবন পায়, তখন সে ভুলে যায়। সেটিও মায়ার আরেকটি প্রভাব। প্রক্ষেপাত্মিকা শক্তি, আবরণাত্মিকা শক্তি। দুই ধরণের মায়াশক্তি রয়েছে। যদি কেউ অতীতের পাপময় কার্যকলাপের জন্য একটি কুকুরদেহ প্রাপ্ত হয়, এবং যদি তার এটি স্মরণ থাকে যে, "আমি প্রধানমন্ত্রী ছিলাম; এখন আমি কুকুর হয়েছি," তাহলে তার জন্যে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে। তাই মায়া তার জ্ঞানকে আবৃত করে রাখে। মৃত্যু, মৃত্যু মানে সবকিছু ভুলে যাওয়া। সেটিকে মৃত্যু বলে। প্রত্যেকটি দিন রাতে আমাদের এই অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। রাতের বেলায় আমরা যখন একটি ভিন্ন পরিবেশে স্বপ্ন দেখি, একটি আলাদা জীবনে, আমরা এই শরীরটির কথা ভুলে যাই যে "আমি শুয়ে আছিl আমার শরীরটি একটি সুন্দর অট্টালিকায় শুয়ে আছে, খুব সুন্দর বিছানাপত্র।” না। মনে করুন সে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে বা একটি পাহাড়ের ওপর রয়েছে। সুতরাং সে এটিকে এভাবেই নিচ্ছে, স্বপ্নের মধ্যে সে এভাবেই নিচ্ছে... সকলেই, আমরা সকলেই সেই শরীরের প্রতি আগ্রহী। আমরা পূর্বের শরীরটিকে ভুলে যাই। এটিই হল অজ্ঞানতা। তাই এই অজ্ঞানতা, আমরা যতখানি এই অজ্ঞানতা থেকে জ্ঞানের স্তরে উঠে আসব, এটিই হল জীবনের সফলতা। এবং যদি আমরা নিজেদেরকে এই অজ্ঞানতার মধ্যেই রাখি, তবে সেটি সফলতা নয়। তা হল জীবনকে নষ্ট করা। সুতরাং আমাদের কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন হচ্ছে একজন ব্যক্তিকে অজ্ঞানতা থেকে জ্ঞানে উত্তোলন করা। এটিই বৈদিক সাহিত্যের পরিকল্পনা: একজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় ভক্তদের সম্বন্ধে বলেছেন, সবার জন্য বলেন নি- তেষামহং সমুদ্ধর্তা মৃত্যুসংসারসাগরাৎ ([[Vanisource:BG 12.6-7 (1972)|ভ.গী. ১২.৭]]) আরেকটি স্থানে, তেষামেবানুকম্পার্থমহমজ্ঞানজং তমঃ নাশয়াম্যাত্মভাবস্থো জ্ঞানদীপেন ভাস্বতা ([[Vanisource:BG 10.11 (1972)|ভ.গী.১০.১১]]) বিশেষ করে ভক্তদের জন্য... তিনি প্রত্যেকের হৃদয়ে বিরাজমান। কিন্তু যে ভক্ত তাঁকে বোঝার চেষ্টা করেন, শ্রীকৃষ্ণ তাকে সাহায্য করেন। তিনিই সাহায্য করেন। অভক্তরা, তারা এসব ব্যপারে মাথা ঘামায় না ….তারা শুধু একটি পশুর মত- খায়, ঘুমোয়, যৌন জীবনে লিপ্ত হয় এবং আত্মরক্ষা করে। তারা অন্য কোন কিছুর পরোয়া করে না, ভগবান বা ভগবানের সঙ্গে তার সম্পর্ক বুঝতে চেষ্টা করে না। তারা মনে করে ভগবান বলে কেউ নেই, এবং শ্রীকৃষ্ণও তাদের বলেন, "হ্যাঁ, কোন ভগবান নেই., তুমি ঘুমিয়ে থাকো।" সেইজন্য সৎসঙ্গ-এর প্রয়োজন। এই হল সৎসঙ্গ, সতাং প্রসঙ্গাৎ। ভক্তসঙ্গের দ্বারা আমরা ভগবান সম্পর্কে আমাদের অনুসন্ধিৎসা জাগরিত করতে পারি। অতএব এইসব কেন্দ্রগুলির প্রয়োজন রয়েছে। আমরা অকারণে এত সব কেন্দ্র স্থাপন করছি না। না l এটা মানব সমাজের কল্যানের জন্য।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 02:49, 2 June 2021



Lecture on SB 6.1.49 -- New Orleans Farm, August 1, 1975

হরিকেশ: (অনুবাদ)…”ঠিক যেমন একজন ঘুমন্ত ব্যক্তি তার স্বপ্নে দেখা দেহ অনুযায়ী কার্য করে, অথবা সেই স্বপ্নের দেহকেই আত্মস্বরূপ বলে মনে করে, ঠিক একইভাবে সে তার বর্তমান দেহটিকে তার স্বরূপ বলে মনে করে, যা কিনা সে তার অতীতের ধার্মিক বা অধার্মিক জীবনের কর্মানুযায়ী লাভ করেছে, এবং সে তার অতীত কিংবা ভবিষ্যতের জীবন সম্পর্কে জানতে পারে না।

শ্রীল প্রভুপাদ:

যথাজ্ঞস্তমসা-যুক্ত
উপাস্তে ব্যক্তমেব হি
ন বেদ পূর্বমপরং
নষ্টজন্মস্মৃতিস্তথা। (ভা.৬.১.৪৯)

এই হচ্ছে আমাদের স্থিতি। এই হল আমাদের বিজ্ঞানের অগ্রগতি, যে আমরা জানি না "এই জীবনের পূর্বে আমি কি ছিলাম, আর এই জীবনের পরই বা আমি কি হব?" জীবন হল এক ধারাবাহিকতা। সেটিই হচ্ছে আধ্যাত্মিক জ্ঞান। কিন্তু এমন কি তারা এটিও জানে না যে জীবন হল ধারাবাহিকতা। তারা মনে করে “ঘটনাক্রমে, আমি এই জীবনটি পেয়েছি , এবং মৃত্যুর পর তা শেষ হয়ে যাবে। অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যতের কোন প্রশ্নই আসে না। চলো ভোগ করা যাক।” একে বলা হয় অবিদ্যা, তমসা, দায়িত্বজ্ঞানহীন জীবন।

সুতরাং অজ্ঞ। অজ্ঞ মানে যাদের কোন জ্ঞানই নেই। এবং কার কোন জ্ঞান নেই? তমসা। যে ব্যক্তি তমোগুণে রয়েছে। জড়া প্রকৃতির তিন ধরণের গুণ রয়েছে: সত্ত্ব, রজ এবং তমঃ। সত্ত্বগুণ মানে সবকিছু পরিষ্কার, প্রকাশ। ঠিক যেমন এখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন; সূর্যালোক আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। কিন্তু মেঘের উপরেও সূর্যের আলো রয়েছে, ওখানে সবকিছু পরিষ্কার। এবং মেঘের ভিতরে স্পষ্ট নয়। একইভাবে, যে ব্যাক্তি সত্ত্বগুণে রয়েছেন, তাদের কাছে সবকিছু পরিষ্কার, এবং যে সমস্ত লোকেরা তমোগুণে রয়েছে, তাদের কাছে সব কিছুই অজ্ঞানতাপূর্ণ। এবং যারা মিশ্রিত রয়েছে, না রজো গুণ, না তমো গুণ, মধ্যবর্তী স্থানে, তারা রজোগুণে রয়েছে। তিন গুণ। তমসা, সুতরাং ওরা কেবল এই বর্তমান শরীরটির প্রতিই আগ্রহী, কি হতে চলেছে ওরা তার কোন পরোয়া করে না, এবং সে আগেও বা কি ছিল সে সম্পর্কেও কোন জ্ঞান নেই। অন্য আরেকটি স্থানে এটি বর্ণনা করা হয়েছে: নূনং প্রমত্তঃ কুরুতেঃ বিকর্ম (ভা. ৫.৫.৪) প্রমত্তঃ, ঠিক যেমন পাগল লোক। সে জানে না সে কেন পাগল হয়ে গেছে। সে ভুলে গিয়েছে। এবং তার কার্যকলাপ দ্বারা, আগামীতে কি ঘটতে যাচ্ছে তাও সে জানে না। পাগল।

সুতরাং এই সভ্যতা, আধুনিক সভ্যতা, ঠিক যেমন পাগলের সভ্যতার মতো। তাদের অতীত জীবন সম্পর্কেও কোন জ্ঞান নেই, আর ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতিও কোন আগ্রহ নেই। নূনং প্রমত্তঃ কুরুতেঃ বিকর্ম (ভা. ৫.৫.৪)। এবং অতীত জীবন সম্পর্কে কোন জ্ঞান না থাকার দরুন তারা সম্পূর্ণরূপে পাপাচারে লিপ্ত হয়। ঠিক যেমন একটা কুকুরের ন্যায়। সে জানে না যে সে কেন কুকুর দেহ পেয়েছে এবং আগামীতে সে কি পেতে চলেছে? একটি কুকুর হয়তো তার পূর্বজীবনে কোন প্রধানমন্ত্রী ছিল, কিন্তু যখন সে কুকুরের জীবন পায়, তখন সে ভুলে যায়। সেটিও মায়ার আরেকটি প্রভাব। প্রক্ষেপাত্মিকা শক্তি, আবরণাত্মিকা শক্তি। দুই ধরণের মায়াশক্তি রয়েছে। যদি কেউ অতীতের পাপময় কার্যকলাপের জন্য একটি কুকুরদেহ প্রাপ্ত হয়, এবং যদি তার এটি স্মরণ থাকে যে, "আমি প্রধানমন্ত্রী ছিলাম; এখন আমি কুকুর হয়েছি," তাহলে তার জন্যে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে। তাই মায়া তার জ্ঞানকে আবৃত করে রাখে। মৃত্যু, মৃত্যু মানে সবকিছু ভুলে যাওয়া। সেটিকে মৃত্যু বলে। প্রত্যেকটি দিন ও রাতে আমাদের এই অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। রাতের বেলায় আমরা যখন একটি ভিন্ন পরিবেশে স্বপ্ন দেখি, একটি আলাদা জীবনে, আমরা এই শরীরটির কথা ভুলে যাই যে "আমি শুয়ে আছিl আমার শরীরটি একটি সুন্দর অট্টালিকায় শুয়ে আছে, খুব সুন্দর বিছানাপত্র।” না। মনে করুন সে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে বা একটি পাহাড়ের ওপর রয়েছে। সুতরাং সে এটিকে এভাবেই নিচ্ছে, স্বপ্নের মধ্যে সে এভাবেই নিচ্ছে... সকলেই, আমরা সকলেই সেই শরীরের প্রতি আগ্রহী। আমরা পূর্বের শরীরটিকে ভুলে যাই। এটিই হল অজ্ঞানতা। তাই এই অজ্ঞানতা, আমরা যতখানি এই অজ্ঞানতা থেকে জ্ঞানের স্তরে উঠে আসব, এটিই হল জীবনের সফলতা। এবং যদি আমরা নিজেদেরকে এই অজ্ঞানতার মধ্যেই রাখি, তবে সেটি সফলতা নয়। তা হল জীবনকে নষ্ট করা। সুতরাং আমাদের কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন হচ্ছে একজন ব্যক্তিকে অজ্ঞানতা থেকে জ্ঞানে উত্তোলন করা। এটিই বৈদিক সাহিত্যের পরিকল্পনা: একজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় ভক্তদের সম্বন্ধে বলেছেন, সবার জন্য বলেন নি- তেষামহং সমুদ্ধর্তা মৃত্যুসংসারসাগরাৎ (ভ.গী. ১২.৭) আরেকটি স্থানে, তেষামেবানুকম্পার্থমহমজ্ঞানজং তমঃ নাশয়াম্যাত্মভাবস্থো জ্ঞানদীপেন ভাস্বতা (ভ.গী.১০.১১) বিশেষ করে ভক্তদের জন্য... তিনি প্রত্যেকের হৃদয়ে বিরাজমান। কিন্তু যে ভক্ত তাঁকে বোঝার চেষ্টা করেন, শ্রীকৃষ্ণ তাকে সাহায্য করেন। তিনিই সাহায্য করেন। অভক্তরা, তারা এসব ব্যপারে মাথা ঘামায় না ….তারা শুধু একটি পশুর মত- খায়, ঘুমোয়, যৌন জীবনে লিপ্ত হয় এবং আত্মরক্ষা করে। তারা অন্য কোন কিছুর পরোয়া করে না, ভগবান বা ভগবানের সঙ্গে তার সম্পর্ক বুঝতে চেষ্টা করে না। তারা মনে করে ভগবান বলে কেউ নেই, এবং শ্রীকৃষ্ণও তাদের বলেন, "হ্যাঁ, কোন ভগবান নেই., তুমি ঘুমিয়ে থাকো।" সেইজন্য সৎসঙ্গ-এর প্রয়োজন। এই হল সৎসঙ্গ, সতাং প্রসঙ্গাৎ। ভক্তসঙ্গের দ্বারা আমরা ভগবান সম্পর্কে আমাদের অনুসন্ধিৎসা জাগরিত করতে পারি। অতএব এইসব কেন্দ্রগুলির প্রয়োজন রয়েছে। আমরা অকারণে এত সব কেন্দ্র স্থাপন করছি না। না l এটা মানব সমাজের কল্যানের জন্য।