BN/Prabhupada 0945 - ভাগবত ধর্ম মানে ভগবান এবং আমাদের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন: Difference between revisions

 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 9: Line 9:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0944 - Only Necessity is that We Take Advantage of Krsna's Arrangement|0944|Prabhupada 0946 - We Transmigrate for this So-called Illusory Happiness From One Body to Another|0946}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0944 - একমাত্র যোগ্যতা হচ্ছে আমরা শ্রীকৃষ্ণের ব্যবস্থা গ্রহণ করি|0944|BN/Prabhupada 0946 - আমরা এই মায়িক সুখের জন্য এক দেহ থেকে অন্য দেহ দেহান্তরিত হচ্ছি|0946}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 31: Line 31:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT (from DotSub) -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT (from DotSub) -->
ভগবৎ ধর্ম মানে হচ্ছে ভগবান আর ভক্তের মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে যোগদান করার জন্য আমি তোমাদের সকলকে অত্যন্ত ধন্যবাদ জানাই। কীর্তনানন্দ মহারাজ ইতিমধ্যে যেমনটা বললেন, যে, এই ভগবৎ ধর্ম ভগবান স্বয়ং বলেছিলেন, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন ভগবান। এটি একটি সংস্কৃত শব্দ। ভগ মানে ভাগ্য এবং বান মানে যার সেটা রয়েছে। এই দুটো শব্দ যোগ করে হয় ভগবান মানে যিনি পরম সৌভাগ্যবান। যখন কারো অনেক টাকা আর কারো অনেক শক্তি থাকে তখন আমরা সেটিকে আমাদের ভাগ্য বলে মনে করি, অথবা যদি কোনও ব্যক্তি অনেক সুদর্শন হন, যদি কেউ অনেক জ্ঞানবান হন, যদি কেউ জীবনে অত্যন্ত ত্যাগীর মতো হন। এরকম ছয় ধরণের ঐশ্বর্য রয়েছে, আর যখন কারও মাঝে এই ঐশ্বর্যগুলো পূর্ণ মাত্রায় থাকে, কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই, তাঁকেই ভগবান বলা হয়। সবথেকে ধনী, সবথেকে বিজ্ঞ, সবথেকে সুন্দর, সবথেকে বিখ্যাত, - তিনিই ভগবান। আর 'ভগবৎ' এসেছে 'ভগ' শব্দটি থেকে। ভগ থেকে বিশেষায়িত হয়ে 'ভাগ' হয়। সুতরাং ভাগবত। একইভাবে 'বৎ' থেকে এসেছে 'বান'। বৎ শব্দ। ভাগবত। সংস্কৃতে প্রতিটি শব্দ ব্যকরণগতভাবে অত্যন্ত সুগঠিত। প্রতিটি শব্দ। তাই এটিকে সংস্কৃত ভাষা বলা হয়। সংস্কৃত মানে সংশোধিত। আমরা আমাদের খেয়াল খুশি মত বানাতে পারি না। এটিকে অবশ্যই ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে।  
এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে যোগদান করার জন্য আমি তোমাদের সকলকে অত্যন্ত ধন্যবাদ জানাই। কীর্তনানন্দ মহারাজ ইতিমধ্যে যেমনটা বললেন, যে, এই ভগবৎ ধর্ম ভগবান স্বয়ং বলেছিলেন, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন ভগবান। এটি একটি সংস্কৃত শব্দ। ভগ মানে ভাগ্য এবং বান মানে যার সেটা রয়েছে। এই দুটো শব্দ যোগ করে হয় ভগবান মানে যিনি পরম সৌভাগ্যবান। যখন কারো অনেক টাকা আর কারো অনেক শক্তি থাকে তখন আমরা সেটিকে আমাদের ভাগ্য বলে মনে করি, অথবা যদি কোনও ব্যক্তি অনেক সুদর্শন হন, যদি কেউ অনেক জ্ঞানবান হন, যদি কেউ জীবনে অত্যন্ত ত্যাগীর মতো হন। এরকম ছয় ধরণের ঐশ্বর্য রয়েছে, আর যখন কারও মাঝে এই ঐশ্বর্যগুলো পূর্ণ মাত্রায় থাকে, কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই, তাঁকেই ভগবান বলা হয়। সবথেকে ধনী, সবথেকে বিজ্ঞ, সবথেকে সুন্দর, সবথেকে বিখ্যাত, - তিনিই ভগবান। আর 'ভগবৎ' এসেছে 'ভগ' শব্দটি থেকে। ভগ থেকে বিশেষায়িত হয়ে 'ভাগ' হয়। সুতরাং ভাগবত। একইভাবে 'বৎ' থেকে এসেছে 'বান'। বৎ শব্দ। ভাগবত। সংস্কৃতে প্রতিটি শব্দ ব্যকরণগতভাবে অত্যন্ত সুগঠিত। প্রতিটি শব্দ। তাই এটিকে সংস্কৃত ভাষা বলা হয়। সংস্কৃত মানে সংশোধিত। আমরা আমাদের খেয়াল খুশি মত বানাতে পারি না। এটিকে অবশ্যই ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে।  


তাই ভগবৎ ধর্ম হচ্ছে ভক্ত আর ভগবানের মধ্যকার সম্পর্ক। পরমেশ্বর হচ্ছেন ভগবান এবং তাঁর ভক্তেরা হলেন ভাগবত, অর্থাৎ ভগবানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সবাই পরমেশ্বর ভগবানের সাথে সম্পর্কিত। ঠিক যেমন পিতা এবং পুত্র সবসময় সম্পর্কিত। এই সম্পর্ক কোন পরিস্থিতেই ভাঙ্গা যায় না। কিন্তু কখনও কখনও এমন হয় যে, পুত্র নিজের স্বাধীনতায়, ঘরের বাইরে যায় আর বাবার সাথে যে স্নেহের সম্পর্ক তা ভুলে যায়। তোমাদের দেশে এটি খুব অসাধারণ কিছু নয়। বহু ছেলেরাই পিতার স্নেহের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। এটি খুবই সাধারণ একটি অভিজ্ঞতা। সকলেরই স্বাধীনতা রয়েছে। ঠিক একইভাবে আমরাও সবাই ভগবানের সন্তান কিন্তু একই সাথে আমরা স্বাধীনও। সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন নই, কিন্তু স্বাধীন। আমাদের সবার স্বাধীন হবার প্রবণতা রয়েছে। যেহেতু ভগবান সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং আমাদের জন্ম হয়েছে ভগবানের থেকে, তাই আমরাও স্বাধীন হতে চাওয়ার গুণ পেয়েছি। যদিও আমরা ভগবানের মতো সম্পূর্ণ স্বাধীন হতে পারি না, কিন্তু সেই প্রবণতাটা আছে যে, "আমাকে স্বাধীন হতে হবে"। সুতরাং আমরা, বদ্ধজীবেরা, ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যখন আমরা ভগবানের থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনভাবে থাকতে চাই, সেটিই আমাদের বদ্ধ দশা।  
তাই ভগবৎ ধর্ম হচ্ছে ভক্ত আর ভগবানের মধ্যকার সম্পর্ক। পরমেশ্বর হচ্ছেন ভগবান এবং তাঁর ভক্তেরা হলেন ভাগবত, অর্থাৎ ভগবানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সবাই পরমেশ্বর ভগবানের সাথে সম্পর্কিত। ঠিক যেমন পিতা এবং পুত্র সবসময় সম্পর্কিত। এই সম্পর্ক কোন পরিস্থিতেই ভাঙ্গা যায় না। কিন্তু কখনও কখনও এমন হয় যে, পুত্র নিজের স্বাধীনতায়, ঘরের বাইরে যায় আর বাবার সাথে যে স্নেহের সম্পর্ক তা ভুলে যায়। তোমাদের দেশে এটি খুব অসাধারণ কিছু নয়। বহু ছেলেরাই পিতার স্নেহের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। এটি খুবই সাধারণ একটি অভিজ্ঞতা। সকলেরই স্বাধীনতা রয়েছে। ঠিক একইভাবে আমরাও সবাই ভগবানের সন্তান কিন্তু একই সাথে আমরা স্বাধীনও। সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন নই, কিন্তু স্বাধীন। আমাদের সবার স্বাধীন হবার প্রবণতা রয়েছে। যেহেতু ভগবান সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং আমাদের জন্ম হয়েছে ভগবানের থেকে, তাই আমরাও স্বাধীন হতে চাওয়ার গুণ পেয়েছি। যদিও আমরা ভগবানের মতো সম্পূর্ণ স্বাধীন হতে পারি না, কিন্তু সেই প্রবণতাটা আছে যে, "আমাকে স্বাধীন হতে হবে"। সুতরাং আমরা, বদ্ধজীবেরা, ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যখন আমরা ভগবানের থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনভাবে থাকতে চাই, সেটিই আমাদের বদ্ধ দশা।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:15, 10 June 2021



720831 - Lecture - New Vrindaban, USA

এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে যোগদান করার জন্য আমি তোমাদের সকলকে অত্যন্ত ধন্যবাদ জানাই। কীর্তনানন্দ মহারাজ ইতিমধ্যে যেমনটা বললেন, যে, এই ভগবৎ ধর্ম ভগবান স্বয়ং বলেছিলেন, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন ভগবান। এটি একটি সংস্কৃত শব্দ। ভগ মানে ভাগ্য এবং বান মানে যার সেটা রয়েছে। এই দুটো শব্দ যোগ করে হয় ভগবান মানে যিনি পরম সৌভাগ্যবান। যখন কারো অনেক টাকা আর কারো অনেক শক্তি থাকে তখন আমরা সেটিকে আমাদের ভাগ্য বলে মনে করি, অথবা যদি কোনও ব্যক্তি অনেক সুদর্শন হন, যদি কেউ অনেক জ্ঞানবান হন, যদি কেউ জীবনে অত্যন্ত ত্যাগীর মতো হন। এরকম ছয় ধরণের ঐশ্বর্য রয়েছে, আর যখন কারও মাঝে এই ঐশ্বর্যগুলো পূর্ণ মাত্রায় থাকে, কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই, তাঁকেই ভগবান বলা হয়। সবথেকে ধনী, সবথেকে বিজ্ঞ, সবথেকে সুন্দর, সবথেকে বিখ্যাত, - তিনিই ভগবান। আর 'ভগবৎ' এসেছে 'ভগ' শব্দটি থেকে। ভগ থেকে বিশেষায়িত হয়ে 'ভাগ' হয়। সুতরাং ভাগবত। একইভাবে 'বৎ' থেকে এসেছে 'বান'। বৎ শব্দ। ভাগবত। সংস্কৃতে প্রতিটি শব্দ ব্যকরণগতভাবে অত্যন্ত সুগঠিত। প্রতিটি শব্দ। তাই এটিকে সংস্কৃত ভাষা বলা হয়। সংস্কৃত মানে সংশোধিত। আমরা আমাদের খেয়াল খুশি মত বানাতে পারি না। এটিকে অবশ্যই ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে।

তাই ভগবৎ ধর্ম হচ্ছে ভক্ত আর ভগবানের মধ্যকার সম্পর্ক। পরমেশ্বর হচ্ছেন ভগবান এবং তাঁর ভক্তেরা হলেন ভাগবত, অর্থাৎ ভগবানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সবাই পরমেশ্বর ভগবানের সাথে সম্পর্কিত। ঠিক যেমন পিতা এবং পুত্র সবসময় সম্পর্কিত। এই সম্পর্ক কোন পরিস্থিতেই ভাঙ্গা যায় না। কিন্তু কখনও কখনও এমন হয় যে, পুত্র নিজের স্বাধীনতায়, ঘরের বাইরে যায় আর বাবার সাথে যে স্নেহের সম্পর্ক তা ভুলে যায়। তোমাদের দেশে এটি খুব অসাধারণ কিছু নয়। বহু ছেলেরাই পিতার স্নেহের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। এটি খুবই সাধারণ একটি অভিজ্ঞতা। সকলেরই স্বাধীনতা রয়েছে। ঠিক একইভাবে আমরাও সবাই ভগবানের সন্তান কিন্তু একই সাথে আমরা স্বাধীনও। সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন নই, কিন্তু স্বাধীন। আমাদের সবার স্বাধীন হবার প্রবণতা রয়েছে। যেহেতু ভগবান সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং আমাদের জন্ম হয়েছে ভগবানের থেকে, তাই আমরাও স্বাধীন হতে চাওয়ার গুণ পেয়েছি। যদিও আমরা ভগবানের মতো সম্পূর্ণ স্বাধীন হতে পারি না, কিন্তু সেই প্রবণতাটা আছে যে, "আমাকে স্বাধীন হতে হবে"। সুতরাং আমরা, বদ্ধজীবেরা, ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যখন আমরা ভগবানের থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনভাবে থাকতে চাই, সেটিই আমাদের বদ্ধ দশা।