BN/Prabhupada 1023 - ভগবান যদি সর্বশক্তিমান হয়ে থাকেন, তবে কেন তাঁর শক্তিকে খর্ব করছ যে, তিনি আসতে পারেন না

Revision as of 07:04, 28 September 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730408 - Lecture SB 01.14.44 - New York

ভগবান যদি সর্বশক্তিমান হয়ে থাকেন, তাহলে কেন তুমি তাঁর শক্তিকে এভাবে খর্ব করছ যে, তিনি আসতে পারেন না? ভগবান দুটো উদ্দেশ্যে আসেনঃ ভক্তদের রক্ষা করার জন্য আর অসুরদের হত্যা করার জন্য। তো অসুরদের হত্যা করার জন্য তাঁকে আসতে হয়না। তাঁর অসীম শক্তি রয়েছে। শুধুমাত্র তাঁর ইঙ্গিতেই , যেকোনো মানুষ মরে যেতে পারে। এখানে দুর্গাদেবীই এর জন্য যথেষ্ট। কিন্তু তিনি তাঁর ভক্তের জন্য আসেন, কারণ তাঁর ভক্ত খুব উদ্বিগ্ন। তিনি সর্বদাই পরম পুরুষোত্তম ভগবানের সুরক্ষা প্রত্যাশা করেন। তাই যেহেতু তাঁর ভক্ত তাঁকে দেখে খুশি হবেন, সেজন্য তিনি আসেন। কারণ তাঁর ভক্তরা সবসময় বিরহ অনুভব করেন, শুধুমাত্র তাঁদেরকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য ভগবানের অবতারগণ আসেন। প্রলয়পয়োধিজলে ধৃতবানসি বেদং (শ্রীদশাবতার স্তোত্র ১)। শুধুমাত্র ভক্তদের পরিত্রাণ করার জন্য বিভিন্ন অবতারগন আসেন। অন্যথায় তাঁর আসার আর অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই। ভারতবর্ষে এক ধরণের হিন্দু আছে, তারা নামেই হিন্দু, কিন্তু আসলে তারা আর্য সমাজ নামে পরিচিত। আর্যসমাজ। আর্য সমাজের মত হচ্ছে, "ভগবান কেন আসবেন? তিনি এতো মহান; তিনি এখানে কেন আসবেন?" তারা অবতারে বিশ্বাস করে না। মুসলমানরা, তারাও অবতার বিশ্বাস করে না। তারাও একই অজুহাত দেখায় যে, "ভগবান কেন আসবেন? তিনি কেন মানুষের মতো আবির্ভূত হবেন?" তারা এটা জানেনা, আবার তারা এটার উত্তরও দিতে পারে না যে, "কেন ভগবান আসবেন না?" তারা বলে ভগবান আসতে পারেন না। কিন্তু আমি যদি প্রশ্ন করিঃ "ভগবান কেন আসতে পারেন না?",; এর উত্তর কি? ভগবান যদি সর্বশক্তিমান হয়ে থকেন, তাহলে কেন তুমি তাঁর শক্তিকে এভাবে খর্ব করছ, যে তিনি আসতে পারেন না? তাহলে তিনি কেমন ভগবান? ভগবান তোমার আইনের অধীন, নাকি তুমি ভগবানের আইনের অধীন?

তো এটিই হচ্ছে ভক্ত আর অসুরের মধ্যে পার্থক্য। অসুরেরা ভাবতে পারে না। তারা মনে করে যে, "হয়তো ভগবান বলে কিছু আছে, কিন্তু তা অনেক দূরে, নিরাকার।" যেহেতু তার নিজের সীমিত রূপ সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই মায়াবাদী দার্শনিকেরা বলে যে, ভগবান যখন আসেন- তখন নিরাকার ভগবান মায়াময় রূপ ধারণ করেন। এটিকে বলে মায়াবাদী। প্রকৃতপক্ষে তারা ভগবানকে বিশ্বাস করে না। নির্বিশেষবাদ, শূন্যবাদ। নির্বিশেষ-শূন্যবাদী। তাদের কিছু নির্বিশেষঃ "হ্যাঁ, ভগবান আছেন, কিন্তু তাঁর কোন রূপ বা আকার নেই।" আর মায়াবাদী... এরা উভয়েই মায়াবাদী, শূন্যবাদী। বুদ্ধরা আর শঙ্করাচার্যের অনুগামীরা, তো তারা বিশ্বাস করে না। কিন্তু আমরা বৈষ্ণব, আমরা জানি নাস্তিকেরা কিভাবে প্রতারিত হচ্ছে। সম্মোহায় সুরদ্বিষাম্‌ (শ্রীমদ্ভাগবত ১.৩.২৪)। ভগবান বুদ্ধ নাস্তিকদের সম্মোহিত করার জন্য এসেছিলেন। নাস্তিকরা ভগবান বিশ্বাস করে না, তাই ভগবান বুদ্ধ বলেছেন, "হ্যাঁ, তুমি ঠিক বলেছ। কোন ভগবান নেই। কিন্তু তুমি শুধু আমার কথা শোনার চেষ্টা কর।" কিন্তু তিনিই ভগবান। তাই এটি প্রতারণা। "তুমি ভগবানকে বিশ্বাস করোনা, কিন্তু আমাকে বিশ্বাস কর।" "হ্যাঁ প্রভু, আমি তোমাকে বিশ্বাস করি।" কিন্তু আমরা জানি যে তিনি হচ্ছেন ভগবান। (হাসি) কেশবধৃতবুদ্ধশরীর জয় জগদীশ হরে (গীতগোবিন্দ, শ্রীদশাবতার স্তোত্র ৯)। দেখ (অস্পষ্ট)।