BN/Prabhupada 0404 - এই কৃৃষ্ণভাবনামৃতের তরবারি গ্রহণ করুন - শুধুমাত্র বিশ্বাসের সাথে শুনতে চেষ্টা করুন

Revision as of 21:54, 30 July 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0404 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1972 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.2.16 -- Los Angeles, August 19, 1972

তাই শ্রুশ্রুসু, শ্রুশ্রুসু শ্রদ্ধাধানস্য (শ্রী.ভা.১.২.১৬)। যে লোক বিশ্বাস সহকারে শোনে, শ্রদ্ধাধান... আদৌ শ্রদ্ধা। বিশ্বাস ছাড়া, আপনি কোন উন্নতি করতে পারবেন না। এটাই আধ্যাত্মিক জীবনের শুরু। আদৌ শ্রদ্ধা। "ওহ, এখানে ..., কৃষ্ণ ভাবনামৃত চলছে। এটা খুব ভালো। তারা খুব সুন্দর প্রচার করছে।" মানুষ এখনও, তারা আমাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করে। যদি আমরা আমাদের মান বজায় রাখি, তাহলে তারা এটির প্রশংসা করবে। তাই এটাকে বলে হয় শ্রদ্ধা। এই প্রসংশাকে শ্রদ্ধা বলে হয়, শ্রদ্ধাধানস্য। এমনকি যদি তিনি যোগ দিতে না চান, যদি একজন বলেন, "ওহ, এটা দুর্দান্ত, এটা খুব ... এই লোকগুলো ভাল।" মাঝে মাঝে তারা সংবাদপত্রে বলে যে "এই হরে কৃষ্ণ মানুষ ভাল, তাদের মত আরো হওয়া উচিত। তারা বলে। তাই এই প্রশংসাও এমন ব্যক্তির জন্য এক প্রগতি। যদি সে শুনতে না পায়, না আসে, কেবল তারা বলে, "এটা খুব ভাল।" হ্যাঁ। যেমন একটি ছোট শিশু, একটি শিশু, তাকে প্রশংসা করা হয়, তার করতালের সঙ্গে সে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। প্রশংসা। জীবনের খুব শুরু থেকে, প্রশংসা, "এটা ভাল।" সে জানুক বা না জানুক, কোন ব্যাপার না। শুধুমাত্র প্রশংসা তাকে আধ্যাত্মিক জীবনের একটি স্পর্শ প্রদান করে। এটা খুব সুন্দর। শ্রদ্ধা। যদি তারা বিরুদ্ধে যায় না, কেবল প্রশংসা করে, "ওহ, তারা ভাল করছে ..." তাই আধ্যাত্মিক জীবনে উন্নয়নের অর্থ এই অনুগ্রহের উন্নয়ন, কেবল,ব্যাস। কিন্তু প্রশংসা বিভিন্ন পরিমাণের হয়। তাই শ্রুশ্রুসু শ্রদ্ধাধানস্য বাসুদেবে-কথা-রুচী। পূর্ববর্তী স্তরে, এটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যদ অনুধ্যাসিনা যুক্তা। আমাদের সর্বদা নিযুক্ত থাকতে হবে, সর্বদা চিন্তন করতে। এই তলোয়ার। আপনাকে এই কৃষ্ণ ভাবনামৃতের এই তরোয়ালটি নিতে হবে। তাহলে তুমি মুক্ত হবে। গ্রন্থি এই তরোয়াল দিয়ে কাটা হয়। তাই...এখন কিভাবে আমরা এই তরোয়ালটি পাবো? এই প্রক্রিয়া এখানে বর্ণনা করা হয়েছে, সেটা আপনি কেবল আস্থার সঙ্গে শুনতে চেষ্টা করুন। তুমি তরোয়ালটি পাবে। ব্যাস। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলনটি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা একের পর তলোয়ার পাচ্ছি, কেবল শ্রবণ দ্বারা। আমি নিউইয়র্কের এই আন্দোলন শুরু করেছি। আপনারা সব জানেন, যে আমার কাছে সত্যিই কোন তলোয়ার ছিল না। যেমন কিছু ধর্মীয় নীতির মতো, তারা এক হাতে ধর্মীয় গ্রন্থ নেয়, এবং অন্য হাতে, তলোয়ার: "আপনি এই ধর্মগ্রন্থ গ্রহণ করুন, অন্যথায়, আমি আপনার মাথা কাটাব।" এটি অন্য একটি প্রচার। কিন্তু আমার কাছেও তলোয়ার ছিল, কিন্তু সেই তলোয়ারের মতো নয়। এই তলোয়ার - মানুষকে শুনতে সুযোগ দিতে। ব্যাস। বাসুদেবে-কথা-রুচী। তাই যখনই যে রুচী পাবে... রুচী। রুচী মানে স্বাদ। "অহ, কৃষ্ণ এখানে বলছেন, খুব সুন্দর। শোনা যাক।" এইভাবে আপনি তলোয়ার পাবেন, অবিলম্বে। তলোয়ার তোমার হাতে। বাসুদেবে-কথা-রুচী। কিন্তু রুচী কার কাছ থেকে আসবে? এই স্বাদ? কারন, আমি অনেক বার ব্যাখ্যা করেছি, স্বাদ, যেমন আঁখের মতন। প্রত্যেকে জানে এটা খুব মিষ্টি, কিন্তু যদি তুমি একজন মানুষকে দেও যে জন্ডিসে ভুগছে, সে এর স্বাদ তেঁতো পাবে। প্রত্যেকে জানে আঁখ খুব মিষ্টি, কিন্তু বিশেষ লোকটি যে জন্ডিস রোগে ভুগছে, সে আঁখের স্বাদ তেতো পাবে। প্রত্যেকে এটা জানে। এটাই সত্য। তাই রুচী, বাসুদেব-কথা, কৃষ্ণ -কথা, শোনার স্বাদ, এই জড় অসুস্থ ব্যক্তি স্বাদ গ্রহণ করতে পারে না। এই রুচী, স্বাদ। প্রাথমিক কার্যক্রম আছে এই স্বাদ পাবার জন্য। কি সেটা? প্রথম জিনিস প্রশংসা: "ওহ, এটা খুব ভালো।" আদৌ শ্রদ্ধা শ্রদ্ধাধান। তাই শ্রদ্ধা, প্রশংসা, এটা শুরু। তারপর সাধু-সঙ্গ (চৈ.চ.মধ্য ২২.৮৩)। তারপর মিলতাল। ঠিক আছে, এই লোকেরা জপ করছে এবং কৃষ্ণ কথা বলছে। আমাকে যেতে দিন এবং বসতে দিন এবং আমাকে আরও শুনতে দিন।" এটি বলা হয় সাধু-সঙ্গ। যারা শ্রদ্ধালু, তাদের সাথে যুক্ত রাখতে। এটি দ্বিতীয় ধাপ। তৃতীয় ধাপটি হল ভজন-ক্রিয়া। আমরা যখন ভালভাবে সংযুক্ত হব, তখন আমরা অনুভব করব, "কেন আমি শিষ্য হব না?" তারপর আমরা আবেদনটি পাই, "প্রভুপাদ" যদি আপনি আমাকে আপনার শিষ্য হিসাবে গ্রহণ করেন। এটা ভজন ক্রিয়ার শুরু। ভজন-ক্রিয়া মানে ভগবানের সেবায় নিযুক্ত হওয়া। এটি তৃতীয় পর্যায়।