BN/Prabhupada 0182 - নিজেকে ঝকঝকে অবস্থার মধ্যে রাখুন

Revision as of 15:21, 17 January 2018 by Iswaraj (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0182 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1972 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 2.3.15 -- Los Angeles, June 1, 1972

ভগবানের কথা শোনার একটা লাভ হচ্ছে , সে ধীরে ধীরে পাপ মুক্ত হবেন, শুধুমাত্র শোনার ফলে। আমরা পাপিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত, আমরা জড় জগতে আসি না। তাই ভগবানের কাছে ফিরে যেতে, বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আগে আমাদের পাপ মুক্ত হতে হবে। কারণ ভগবানের রাজ্যে ... ভগবান বিশুদ্ধ, রাজ্য বিশুদ্ধ। কোন অশুদ্ধ জীব সত্তা সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। সুতরাং একজনকে বিশুদ্ধ হতে হবে। এটি ভগবদ-গীতাতেও উল্লেখ করা হয়েছে। যেসাম অন্ত গতং পাপং। "যে সম্পূর্ণভাবে তার জীবনের সমস্ত পাপিষ্ঠ প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত হয়েছে," যেসাম তে অন্ত গতম পাপং জনানাম পুন্য কর্মনাম, "এবং সর্বদা ধার্মিক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত, আর কোন পাপিষ্ঠ কার্যকলাপ নয়..." সুতরাং এই কৃষ্ণভাবনা আন্দোলন হল যে একবার তিনি সমস্ত পাপী কার্যকলাপ মুছে ফেলার সুযোগ দিয়েছেন। এবং নিজেকে অক্ষত রাখা: কোন অবৈধ যৌনতা নয়, কোন নেশা নয়, কোন মাংস খাওয়া নয়, কোন জুয়াখেলা নয়। যদি আমরা এই বিধি অনুসরণ করি, তাহলে দীক্ষার পরে, আমার সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে ফেলা হয়। এবং যদি আমি নিজেকে ধৌত করা অবস্থায় রাখি, তাহলে আবার পাপী হয়ে যাওয়ার প্রশ্ন কোথায়? কিন্তু একবার ধুয়ে ফেললে, আপনি স্নান করেন এবং আবার ধুলো নিন এবং আপনার দেহে ছুঁড়ে দেন - এই প্রক্রিয়াটি সাহায্য করবে না। যদি আপনি বলে থাকেন, "আমি আবার ধুয়ে ফেলি এবং আবার নিক্ষেপ করি," তাহলে ধোওয়ার অর্থ কি? ধুয়ে ফেলুন। একবার ধুয়ে ফেললে, এখন নিজেকে রাখুন ধৌত অবস্থায়। এটা প্রয়োজন। তাই এটা সম্ভব যদি আপনি নিজেকে সবসময় ভগবানের সংস্পর্শে রাখেন, তার কথা শ্রবন করেন, এটাই শেষ। আপনাকে বিশুদ্ধ থাকতে হবে। এবং এটা পুন্য শ্রবনং কির্তন। যদি আপনি কৃষ্ণের কথা শুনেন, তাহলে পুন্য, আপনি সর্বদা ধার্মিক অবস্থানে থাকবেন। পুর্ন-শ্রবন-কীর্তন। আপনি জপ করুন বা ... অতএব আমাদের সুপারিশ সর্বদা কীর্তন করুন হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। তাই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত যেন আমরা পাপী কার্যকলাপে আবার নিচে নেমে না পড়ি। প্রত্যেকেরই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং কীর্তন করার প্রক্রিয়াতে নিজেকে রাখা উচিত। তারপর তিনি ঠিক থাকবেন। তাই শৃন্বতাং স্বকথাঃ কৃষ্ণ পুন্যশ্রবনকীর্তন (শ্রী.ভা.১.২.১৭) আর ধীরে ধীরে, আপনি কৃষ্ণের কথা শুনে যান, হৃদয়ে সমস্ত নোংরা জিনিস শুদ্ধ হবে। নোংরা জিনিস যে "আমি একটি জড় শরীর; আমি আমেরিকান; আমি ভারতীয়; আমি হিন্দু; আমি মুসলমান; আমি এই; আমি যেই। " এই আত্মার আচ্ছাদন সব বিভিন্ন ধরনের হয়। উন্মুক্ত আত্মা সম্পূর্ণ সচেতন যে, "আমি ভগবানের শাশ্বত দাস।" এখানেই শেষ। অন্য কোন সনাক্তকরণ নেই। এটাকে মুক্তি বলা হয়। যখন একজন বুঝতে পারেন যে, "আমি কৃষ্ণের,ভগবানের নিত্য দাস, এবং আমার একমাত্র কাজ হল তাঁর সেবা করা, "যেটিকে বলা হয় মুক্তি। মুক্তি মানে এই নয় যে আপনার অন্য দুটি হাত থাকবে, অন্য দুটি পা থাকবে। না। একই জিনিস, কেবল এটি শুদ্ধ হবে। ঠিক যেমন একজন মানুষ জ্বরে ভুগছেন। উপসর্গ অনেক আছে, কিন্তু যত তাড়াতাড়ি জ্বর থাকবে না, তারপর সব উপসর্গ চলে যাবে। তাই আমাদের, এই জড় জগতের এই জ্বরটি ইন্দ্রিয়তৃপ্তি। ইন্দ্রিয়তৃপ্তি। এটাই জ্বর। সুতরাং যখন আমরা কৃষ্ণের ভাবনার সাথে জড়িত হচ্ছি, এই ইন্দ্রিয়তৃপ্তির কাজ শেষ হয়ে যায়। এটাই পার্থক্য। এটাই পরীক্ষা যে কীভাবে আপনি কৃষ্ণের চেতনায় উন্নত হয়েছেন।