BN/Prabhupada 0908 - আমি সুখী হতে চেষ্টা করতে পারি, কিন্তু কৃষ্ণ অনুমোদন ছাড়া কখনই সুখী হতে পারব না

Revision as of 07:04, 1 July 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730419 - Lecture SB 01.08.27 - Los Angeles

সম্পর্কে যে কোন কিছু... প্রহ্লাদ মহারাজের মতো প্রহ্লাদ মহারাজ দাঁড়িয়ে আছেন, এবং তাঁর পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। এটা কি নৈতিক? তুমি কি তোমার উপস্থিতিতে তোমার পিতাকে হত্যা হতে দেখতে চাও আর তুমি কি সেখানে দাঁড়িয়ে থাকবে? তুমি কোন প্রতিবাদ করবে না। সেটা কি নৈতিক? কেউই তা অনুমোদন করবে না। তা নৈতিক নয়। না কিন্তু ঘটনাটা এমনই ঘটেছিল যে হিরণ্যকশিপুকে হত্যা করা হল ... সেই ছবিটা এখানে আছে... এবং প্রহ্লাদ মহারাজ তাঁর পিতার হত্যাকারীকে মালা পরাতে চেষ্টা করছেন (হাসি) "হে আমার প্রিয় হত্যাকারী প্রভু, এই মালাটি আপনি গ্রহণ করুন। আপনি আমার পিতাকে হত্যা করেছেন। আপনি খুবই ভাল।" (হাসি) দেখলে, এই হচ্ছে চিন্ময় বোধজ্ঞান। কেউই এটা অনুমোদন করবে না... তুমি যদি তোমার পিতাকে রক্ষা করতে নাও পার, তোমাকে অবশ্যই প্রতিবাদ তো করা উচিৎ তোমার নিশ্চই চিৎকার করে কান্না করা উচিৎ যে, "আমার পিতাকে হত্যা করা হচ্ছে, দয়া করে কেউ আসুন, আসুন, সাহায্য করুন... " না। তিনি হাতে মালা নিয়ে অপেক্ষা করছেন এবং যখন তাঁকে হত্যা করা হল , তিনি ভগবান শ্রীনৃসিংহদেবকে বললেন, "হে আমার প্রিয় প্রভু, এখন আমার পিতা নিহত হয়েছেন সবাই এখন খুশি। এখন আপনি আপনার ক্রোধরূপ সংবরণ করুন" আর কেউই অসুখী নেই। তিনি ঠিক এই কথাগুলিই বললেন। মোদেত সাধুরপি বৃশ্চিকসর্প হত্যা (ভাগবত ৭/৯/১৪) মোদেত সাধুরপি সাধু কখনও কাউকে হত্যা করা অনুমোদন করেন না। কখনও না। একটা পশুকে পর্যন্ত নয়। সাধু তা অনুমোদন করেন না। কেন পশু হত্যা করা হবে? এই হচ্ছে সাধুর ব্যবহার। কিন্তু প্রহ্লাদ মহারাজ বললেন, মোদেত সাধুরপি একজন সাধুও খুশি হন, কখন? যখন কোন সাপ বা বৃশ্চিক হত্যা করা হয়। তারাও তো জীব। একজন সাধু কখনও অন্য কোন জীবকে হত্যা করতে দেখলে প্রীত হন না। কিন্তু এখানে প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন, এমনকি সাধুও খুশি হন যখন একটি সাপ বা বৃশ্চিককে হত্যা করা হয়। আমার পিতা একটি সাপ বা বৃশ্চিকের মতো ছিলেন তিনি এখন নিহত হয়েছেন, তাই সবাই আনন্দিত।" সকলেই. ছিলেন.. এইরকম একটি অসুর যে কেবল ভক্তদের উৎপাত করতো অত্যন্ত ভয়ংকর অসুর তাই এমনকি যখন এইরকম অসুরদের হত্যা হয় তখন এমনকি সাধুরাও খুশি হন। যদিও সাধু চান না কাউকে হত্যা করা হোক যাই হোক, কৃষ্ণ হচ্ছেন অকিঞ্চন বিত্ত। যিনি জাগতিকভাবে সবকিছু হারিয়েছেন, তাঁর কাছে কৃষ্ণই একমাত্র আশ্রয়।

শ্রীকৃষ্ণ এতোই করুণাময় যে যদি কেউ জাগতিক সমৃদ্ধি চায় এবং একই সঙ্গে তাঁর ভক্ত হতে চায়, সেই কথা শ্রীচৈতন্য চরিতামৃতে বলা হয়েছে যে, "যে ব্যক্তি আমাকে চায় আবার একই সাথে জাগতিক বিষয় লাভ করতে চায় সে একটা মূর্খ, সে মূর্খ।" তাই মানুষ কৃষ্ণভাবনামৃতে আসতে খুবই ভয় পায় "ওহ্‌ আমার সব জাগতিক বিষয় ধ্বংস হয়ে যাবে" কারণ তাঁরা এটা চায় না, তাঁরা চায় না এটা হোক। তাঁরা এসবের সাথেই থাকতে চায়... সাধারণত তাঁরা চার্চে, বা মন্দিরে যায় বিষয় চাইতে "ভগবান আমাদের রোজদিনের আহার দিন।" এটা হচ্ছে জাগতিক মনোবৃত্তি অথবা "এটা দিন, ওটা দিন" কিন্তু তাঁদেরকেও ধার্মিক ধরা হয়, কারণ তারাও ভগবানের কাছে এসেছে

নাস্তিকেরা আসে না। তারা বলে, "আমি কেন ভগবানের কাছে যাব। আমি আমার নিজের সম্পদ বিজ্ঞানের প্রগতির মাধ্যমে নিজেই বানাব। আমি সুখী হব।" তারা হল দুষ্কৃতিনঃ, সবচাইতে পাপী, যারা এইরকম কথা বলে যে "আমার সমৃদ্ধির জন্য আমি আমার নিজের সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করব, আমার নিজের জ্ঞানের ওপর নির্ভর করব"। তারা হচ্ছে দুষ্কৃতিনঃ। কিন্তু যে ভাবে "আমার উন্নতি ভগবানের ওপর নির্ভর করছে" তাঁরা ধার্মিক কারণ চরমে ভগবানের অনুমোদন ছাড়া কিছুই অর্জন করা যাবে না সেটাই বাস্তব সত্য। তাবৎ তনুরিদম্‌ তনুপেক্ষিতানাম্‌ (?) সেই কথাও বলা হচ্ছে যে ... আমরা আমাদের দুর্দশাকে কাটানোর জন্য অনেক পন্থা আবিষ্কার করছি কিন্তু সেটি যদি ভগবানের দ্বারা অনুমোদিত না হয়, তাহলে এইসব প্রতিকার ব্যবস্থা ব্যর্থ হবে

উদাহরণ হচ্ছে... ঠিক যেমন তোমরা একটি ভাল ওষুধ আবিষ্কার করলে, বেশ যোগ্য একজন ডাক্তার সে না হয় ঠিক আছে। কিন্তু যখন একটি লোক অসুস্থ হচ্ছে, ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা কর "আপনি এই রোগীর জীবন নিশ্চিত করতে পারেন?" তিনি কখনই বলবেন না, "না, আমি তা করতে পারব আমি পারব না, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ব্যাস্‌" তার অর্থ হচ্ছে চরম অনুমোদনটা ভগবানের হাতে। "আমি কেবল যন্ত্র মাত্র। যদি ভগবান না চান যে তুমি আর বাঁচবে, তাহলে আমার সমস্ত ওষুধ, সমস্ত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, ডাক্তারি জ্ঞান সবকিছু ব্যর্থ হবে।" চরম অনুমোদনটা শ্রীকৃষ্ণের। এই কথাটা মূর্খেরা জানে না। তারা, তারা... তাই তাঁদের বলা হয় মূঢ়, মূর্খ। তুমি যাই করছ না কেন ভাল কিন্তু চরমে যদি তা ভগবানের অনুমোদন না থাকে, তাহলে তা ব্যর্থ হবে। এই কথা তারা জানে না, তাই তারা হচ্ছে মূঢ়। এবং একজন ভক্ত জানেন, "আমার যাই বুদ্ধি আছে না কেন, আমি সুখী হতে চেষ্টা করতে পারি, কিন্তু কৃষ্ণ যদি তা অনুমোদন না করেন, আমি কখনও সুখী হতে পারব না।' এই হচ্ছে ভক্ত এবং অভক্তের মধ্যে পার্থক্য।