"তুমি যদি তোমার একজন বন্ধুর কাছে যায় কঠিন পরিস্থিতিতে এবং তুমি তোমার বন্ধুর কাছে আত্মসমর্পণ করো,' আমার প্রিয় বন্ধু, তুমি এতো মহান,এতো শক্তিশালী,এতো প্রভাবশালী। আমি বিশাল বিপদে রয়েছি। তো আমি তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করছি। তুমি দয়া করা আমাকে আশ্রয় প্রদান করো ....' তো তুমি সেটা শ্রীকৃষ্ণের সাথে করতে পারো। এই জড়জগতে, তুমি যদি কোনো ব্যক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করো, যতই মহৎ সে হোক, সে প্রত্যাখ্যান করতে পারে। সে হয়ত বলতে পারে,' আচ্ছা, আমি তোমাকে আশ্রয় দিতে পারবনা।' এটাই হলো স্বাভাবিক উত্তর। তুমি যদি কোনো বিপদে থাকো এবং তুমি যদি তোমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর কাছে যাও,' দয়া করে আমায় আশ্রয় দাও,' সে হয়ত দ্বিধা বোধ করবে, কারণ তার শক্তি খুব সীমিত। সে প্রথমে এটা ভাববে যে,' যদি আমি এই ব্যক্তিকে আশ্রয় প্রদান করি, তালে কি আমার স্বার্থ বিপদ গ্রস্ত হবে?' সে এটা ভাববে, কারণ তার ক্ষমতা সীমিত। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ এতোই ভালো যে সে এতো শক্তিশালী, সে এতো ঐশ্বর্যশালী ... সে ভগবদ্গীতায় ঘোষণা করেছে যে,প্রত্যেকে, সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণাং ব্রজ (ভগবদ্গীতা ১৮ .৬৬) :' সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরণাগত হও।'"
|