BN/Prabhupada 0318 - সূর্যালোকে আসুন
Lecture on BG 4.22 -- Bombay, April 11, 1974
একজন বৈষ্ণব কখনও মৎসর হন না। মৎসর অর্থ .... এটি শ্রীধর স্বামী দ্বারা বর্ণিত হয়েছে। মৎসরতা পরা উৎকর্ষনম অসহনম। ভৌত জগৎ এমন যে, যদি তোমার নিজের ভাই সমৃদ্ধ হয়ে যায়,, আপনার হিংসা হবে, "ওহ, আমার ভাই এত সমৃদ্ধ হয়েছে। আমি হতে পারলাম না।" এটা প্রাকৃতিক এখানে। ঈর্ষা। কারণ কৃষ্ণের সাথে ঈর্ষা শুরু হয়েছে, "কৃষ্ণ কেন একজন ভোক্তা? আমিও উপভোগ করব।" এই জ্বলন শুরু হয়েছে। অতএব, সমগ্র জড় জগৎ ঈর্ষায় পূর্ণ। আমি তোমার প্রতি ঈর্ষান্বিত, তুমি আমার প্রতি জ্বলছ এটাই জড় বিশ্বের কাজ। তাই এখানে এটা বিমৎসর বলা হয়েছে, কোন ঈর্ষা নেই। কৃষ্ণের ভক্ত যদি না হন, তবে কীভাবে কেউ ঈর্ষাবিহীন হবেন? সে ঈর্ষান্বিত হবে। এটাই প্রকৃতি।
এই কারণেই শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে যে ধর্ম প্রজঝিত-কৈতব অত্র পরমম নির্মৎসরানাম, বাস্তবং বস্তু বেদং অত্র (Sশ্রী.ভা. ১.১.২)। ধর্ম ... অনেক ধর্মীয় ব্যবস্থা আছে। দ্বেষ আছে। তথাকথিত ধর্মীয় ব্যবস্থা, পশুদের গলা কাটা কেন? যদি আপনি এমন একটি উন্মুক্ত মনে থাকেন, যদি আপনি নারায়ণকে সর্বত্র দেখেন, কেন আপনি ছাগল বা গরু বা অন্যান্য প্রাণীর গলা কাটছেন? আপনাকে তাদের প্রতি সদয় হতে হবে। কিন্তু সেইরকম সদয় হওয়া, ভক্ত হওয়া ছাড়া প্রদর্শন করা যায় না। বির্মৎসর, নির্মৎসর।
তাই তথাকথিত ধর্মীয় ব্যবস্থা যে ঈর্ষায় পূর্ণ, ঈর্ষা, এটিকে বলা হয় কৈতব ধর্ম, ধর্মের নামে জালিয়াতি। তাই এই ভগবৎ ভাবনামৃত একটি প্রতারণা ধর্ম নয়। এটি একটি খুব বিস্তৃত ধারণা। তিতিক্ষ্ব কারুনিকা সুহৃদা সর্ব-ভুতানাম (শ্রী.ভা. ৩.২৫.২১)। এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন মানে প্রত্যেকে প্রত্যেকের বন্ধু হতে চায়। অন্যথায় যদি একজন কৃষ্ণ ভাবনামৃত ব্যাক্তি এইরকম না মনে করেন, কেন তিনি এই কৃষ্ণ ভাবনামৃতকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে কষ্ট করেন? বিমৎসর। একজনকে বুঝতে হবে যে এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত খুব ভালো, সবার এর টেষ্ট নেওয়া উচিত, সবার এটিতে অংশ নেওয়া উচিত।
কৃষ্ণ ভাবনামৃতের অর্থ হল ভগবৎ ভাবনা। কারণ মানুষ ভগবৎ ভাবনার অভাবের কারণে কষ্ট পাচ্ছে এটাই বিষন্নতার কারণ।
- কৃষ্ণ-বহিমুখ হইয়া ভোগ বাঞ্ছা করে
- নিকটস্থ মায়া তারে জাপটিয়া ধরে
- (প্রেম-বিবর্ত)
এটি সূত্র। যত তাড়াতাড়ি আমরা কৃষ্ণকে ভুলে যাই, তত তাড়াতাড়ি মায়া সেখানে উপস্থিত। যেমন সূর্য এবং ছায়ার মত, তারা উভয় একসঙ্গে উপস্থিত। যদি আপনি সূর্যের মধ্যে না থাকেন, তাহলে আপনি অন্ধকারে ছায়ার মধ্যে আছেন। এবং যদি আপনি অন্ধকারে বাস না করেন, তাহলে আপনি সূর্যতে আসেন। একইভাবে, যদি আমরা কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ না করি, তাহলে আমাদেরকে মায়ার চেতনা গ্রহণ করতে হবে। এবং যদি আমরা মায়ার চেতনাকে গ্রহণ না করি, তাহলে আমাদেরকে কৃষ্ণ চেতনা গ্রহণ করতে হবে। একসাথে।
সুতরাং কৃষ্ণ ভাবনামৃত মানে হচ্ছে অন্ধকারে না থাকা। তমোসা মা জ্যোতির গময়ো। এটি বৈদিক শিক্ষা, "অন্ধকারে থেকো না।" আর অন্ধকার কি? অন্ধকার হচ্ছে, জীবনের দেহগত ধারণা।