BN/710806 প্রবচন - শ্রীল প্রভুপাদ কথামৃতবিন্দু লন্ডন: Difference between revisions

 
(Vanibot #0025: NectarDropsConnector - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 2: Line 2:
[[Category:BN/অমৃতবিন্দু - ১৯৭১]]
[[Category:BN/অমৃতবিন্দু - ১৯৭১]]
[[Category:BN/অমৃতবিন্দু - লন্ডন]]
[[Category:BN/অমৃতবিন্দু - লন্ডন]]
{{Audiobox_NDrops|BN/Bengali - শ্রীল প্রভুপাদ কথামৃতবিন্দু|<mp3player>https://s3.amazonaws.com/vanipedia/Nectar+Drops/710806SB-LONDON_ND_01.mp3</mp3player>|এই  জগতের লোকেরা অগ্নি, জল, মৃত্তিকার অস্থায়ী উদ্ভাসকে অভিবাদন জানাই। গ্রন্থরাজ শ্রীমদ্ভাগবতএ  প্রথম স্কন্দে অধ্যায় শ্লোকে এ বলা হয়েছে
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
তেজভারিম্রিদা যথা ভিনিমায়ও এখানে তেজ হয়েছে আগ্নি, ভারি হয়েছে জল এবং ম্রিদ হয়েছে মৃত্তিকা।
{{Nectar Drops navigation - All Languages|Bengali|BN/710803 প্রবচন - শ্রীল প্রভুপাদ কথামৃতবিন্দু লন্ডন|710803|BN/710807 প্রবচন - শ্রীল প্রভুপাদ কথামৃতবিন্দু লন্ডন|710807}}
যদি কোনো ব্যাক্তি প্রথমে মৃত্তিকা ও জল মিশিয়ে, এবং পরে সেটিকে অগ্নিগর্বে দেয়, তারপর চূর্ণনের পদ্ধতিতে আমরা সেটির থেকে হামানদিস্তা বা ইট বানাতে পারি। সেই ইট দিয়া আমরা গগনচুম্বি অট্টালিকা  তৈরি হয়। ওই  অট্টালিকা কে ঘিরে গর্ব করি।
<!-- END NAVIGATION BAR -->
শ্রীমদ্ভাগবতএ একে ত্রিস্বর্গআম্রিষ বলা হয়েছ। প্রকৃতির তিনটে গুন আসলে আবাস্তব।
{{Audiobox_NDrops|BN/Bengali - শ্রীল প্রভুপাদ কথামৃতবিন্দু|<mp3player>https://s3.amazonaws.com/vanipedia/Nectar+Drops/710806SB-LONDON_ND_01.mp3</mp3player>| আমরা 'তেজোবারিমৃদাম্‌ বিনিময়ঃ'- এর অনিত্য প্রকাশকে প্রণাম করছি (ভাগবত ১..)। তেজ মানে অগ্নি, বারি মানে জল এবং মৃৎ মানে মাটি। তুমি মাটি নিয়ে তাতে জল মিশিয়ে এবং পরে সেটিকে আগুনে দাও। এরপর সেটিকে চূর্ণ কর। দেখবে সেটি থেকে মশলাগোলা বা ইট হয়ে যাবে। আর তা দিয়ে গগনচুম্বি কিছু নির্মাণ করে সেটিকে প্রণাম করছো। 'ওহ্‌ কি বিশাল অট্টালিকা। ত্রিসর্গো'মৃশা।' কিন্তু আরেক জায়গায় বলা হচ্ছে, 'ধাম্না স্বেন নিরস্ত কুহকম্‌' আমরা এখানে ইট, পাথর বা লোহাকে প্রণাম জানাচ্ছি। ঠিক যেমন তোমাদের দেশে, বিশেষ করে পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে বহু মূর্তি রয়েছে। একই জিনিস, তেজো-বারি-মৃদাম্ বিনিময়ঃ। কিন্তু যখন আমরা শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ স্থাপনা করি, যেটি প্রকৃতপক্ষে ভগবানের চিন্ময় নিত্য রূপ, তখন কেউ তাঁকে প্রণাম করে না। কিন্তু তারা কতগুলো মৃত লোকদের প্রণাম করতে যাবে, যেমন অনেকে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে যায়।
তবে আমাদের লক্ষ্য হল ধাম্না স্বেনা সদা নিরাস্ত্রাখুখ্যাম। আমাদের কর্তব্য ভগবানের ধ্যান করা। তিনি  সর্বোত্কৃষ্ট স্থান অর্থতাত গোলক বৃন্দাবনকে আধিবাস করেন। সেই স্থান মায়ার আধিনের বাইরে।
|Vanisource:710806 - Lecture SB 01.01.01 - London|৭১০৮০৬- শ্রীমদ্ভাগবত প্রবচন ০১/০১/০১- লন্ডন}}
পাশ্ছাত্ত দেশে আনেক প্রদর্শশালা রয়েছে যেখানে আনেকের শিলারুপ রাখা রয়েছ। লোকেরা সেটিকে দেখতে গিয়ে সেই মৃত বস্তুকে সম্মান জানিয়ে আসে। সেরকমই মন্দির সস্থাপনের পরেও শ্রী কৃষ্ণের শাশ্বত রুপকে দেখতে কেউ মন্দির আসেনা ও সম্মান দেখাই না।
|Vanisource:710806 - Lecture SB 01.01.01 - London|710806 - প্রবচন SB 01.01.01 - লন্ডন}}

Latest revision as of 00:19, 1 December 2020

BN/Bengali - শ্রীল প্রভুপাদ কথামৃতবিন্দু
আমরা 'তেজোবারিমৃদাম্‌ বিনিময়ঃ'- এর অনিত্য প্রকাশকে প্রণাম করছি (ভাগবত ১.১.১)। তেজ মানে অগ্নি, বারি মানে জল এবং মৃৎ মানে মাটি। তুমি মাটি নিয়ে তাতে জল মিশিয়ে এবং পরে সেটিকে আগুনে দাও। এরপর সেটিকে চূর্ণ কর। দেখবে সেটি থেকে মশলাগোলা বা ইট হয়ে যাবে। আর তা দিয়ে গগনচুম্বি কিছু নির্মাণ করে সেটিকে প্রণাম করছো। 'ওহ্‌ কি বিশাল অট্টালিকা। ত্রিসর্গো'মৃশা।' কিন্তু আরেক জায়গায় বলা হচ্ছে, 'ধাম্না স্বেন নিরস্ত কুহকম্‌' আমরা এখানে ইট, পাথর বা লোহাকে প্রণাম জানাচ্ছি। ঠিক যেমন তোমাদের দেশে, বিশেষ করে পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে বহু মূর্তি রয়েছে। একই জিনিস, তেজো-বারি-মৃদাম্ বিনিময়ঃ। কিন্তু যখন আমরা শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ স্থাপনা করি, যেটি প্রকৃতপক্ষে ভগবানের চিন্ময় নিত্য রূপ, তখন কেউ তাঁকে প্রণাম করে না। কিন্তু তারা কতগুলো মৃত লোকদের প্রণাম করতে যাবে, যেমন অনেকে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে যায়।

৭১০৮০৬- শ্রীমদ্ভাগবত প্রবচন ০১/০১/০১- লন্ডন