BN/Prabhupada 0036 - আমাদের জীবনের লক্ষ্য: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0036 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0035 - कृष्ण हमारे इन्द्रियों के स्वामी हैं|0035|HI/Prabhupada 0037 - जो कृष्ण को जानता है, वह गुरू है|0037}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0035 - এই দেহের অভ্যন্তরে দুটি আত্মা রয়েছেন|0035|BN/Prabhupada 0037 - যিনি কৃষ্ণকে জানেন, তিনি গুরু|0037}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<div class="center">
<div class="center">
Line 19: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|YVLPFWLRMVo|আমাদের জীবনের লক্ষ্য<br />- Prabhupāda 0036}}
{{youtube_right|wWFREY4UEFY|আমাদের জীবনের লক্ষ্য<br />- Prabhupāda 0036}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 31: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->     
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->     
আমরা যখন এই জর-ব্যাপারে বিভ্রান্ত হয়ে যাই কী করা যাই - করা যাই কী না যাই, এটা হলো একটা উদাহরণ তখন একজন গুরুর সাথে পরামরসও করা উচিত সেই নির্দেশ আমরা এখানে দেখি পরিচ্ছমিতা ত্বাম ধার্মা-সমুদ্ধা-চেতাঃ ([[Vanisource:BG 2.7 |ভা.গী ২।৭]]) যখন আমরা বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়ে যাই, আমরা প্রভেদ করি না - কোনটা ধার্মিক আর কোনটা ধার্মিক নই আমাদের অবস্থান সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন না সেটাই হলো কার্পন্যা-দসফটা-স্বাভাবঃ ([[Vanisource:BG 2.7 |ভা.গী ২।৭]])। সেই সমই কোনো গুরুর প্রয়োজন ছিলো না। সেটাই হলো বৈদিক নির্দেশ তদ-বিজ্ঞানর্থাম সা গুরুম এবাভিগকছিতে স্রত্রিয়াম ব্রহ্মা-নিস্তাঁম (MU 1.2.12).
আমরা যখন এই জড়-জাগতিক ব্যাপারগুলোতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি, কি করা যায়? করব কি করব না? এটা হচ্ছে একটা উদাহরণ সেই সময় আমাদের উচিৎ অবশ্যই একজন গুরুর শরণাগত হওয়া। সেই নির্দেশই আমরা এখানে পাচ্ছি। পৃচ্ছামি ত্বাম ধর্মসম্মূঢ়চেতাঃ যখন আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাই,
 
কোনটা ধার্মিক আর কোনটা ধার্মিক নয়, তার মাঝে আমরা কোনও পার্থক্য করতে পারি না। আমাদের অবস্থানটি সঠিকভাবে ব্যবহার করি না। সেটি হলো কার্পণ্যদোষঃঅপহতস্বভাবঃ ([[Vanisource:BG 2.7 (1972)|ভগবদ্গীতা ২.]]) সেইরকম সময়ে একজন গুরুর প্রয়োজন। সেটিই হচ্ছে বৈদিক নির্দেশ। তদবিজ্ঞানর্থাম স গুরুমেবাবভিগচ্ছেৎ শ্রোত্রিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠং (মুণ্ডক উপনিষদ ১..১২) এটি করাই কর্তব্য। এটিই হচ্ছে সভ্যতা। আমরা এই জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। সেটি স্বাভাবিক। এই জড় জগত হচ্ছে একটা সমস্যার জগত। পদম্ পদম্ যৎ বিপদাম্ ([[Vanisource:SB 10.14.58|ভাগবত ১০.১৪.৫৮]]) জড় জগত মানেই হল প্রত্যেকটি পদক্ষেপেই বিপদ। এই হচ্ছে জড় জগৎ। অতএব আমাদের একজন গুরুর নির্দেশনা গ্রহণ করা উচিত, একজন শিক্ষকের থেকে, একজন আধ্যাত্মিক গুরুর থেকে, কিভাবে অগ্রগতি করতে হয় সে সম্পর্কে, কারণ এটা... পরে এটি ব্যাখ্যা করা হবে যে, আমাদের জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে, অন্ততঃ এই মানব জন্মে, এই আর্য সভ্যতায়, জীবনের লক্ষ্য হলো আমাদের নিত্য স্বরূপগত অবস্থানটিকে বোঝা যে ''আমি কে'' ''আমি কে'' যদি আমরা এটিই না বুঝি যে ''আমরা কে'' তাহলে আমরা কুকুর-বেড়ালেরই সমান। কুকুর-বেড়াল জানে না। ওরা ভাবে ওরা ওদের শরীরটি। এটি ব্যাখ্যা করা হবে। সুতরাং জীবনের এমন একটি অবস্থায় যখন কি না আমরা বিভ্রান্ত... প্রকৃতপক্ষে আমরা প্রতিটি মুহূর্তেই বিভ্রান্ত । তাই এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে প্রত্যেকেই যেন  একজন সঠিক গুরুর প্রতি শরণাগত হয়। এখন অর্জুন শ্রীকৃষ্ণের কাছে শরণাগত হচ্ছেন, তিনি হচ্ছেন প্রথম শ্রেণীর গুরু। সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন গুরু। গুরু মানে হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবান। উনি হলেন সবার গুরু, পরম গুরু। তাই যে কোন ব্যক্তিই যদি শ্রীকৃষ্ণের প্রতিনিধিত্ব করেন, তিনিও গুরু হন। সেটি চতুর্থ অধ্যায়ে ব্যাখ্যা করা হবে। এবম্ পরম্পরা প্রাপ্তম্ ইমম্ রাজর্ষয়ো বিদুঃ ([[Vanisource:BG 4.2 (1972)|ভগবদ্গীতা ৪.]]) সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ আমাদের উদাহরণ দিয়ে দেখাচ্ছেন যে কোথায় আমাদের আত্মসমর্পণ করা উচিত আর কাকে আমাদের গুরুরূপে গ্রহণ করা উচিত। এখানে শ্রীকৃষ্ণ রয়েছেন। তাই আপনার উচিৎ শ্রীকৃষ্ণ বা তার প্রতিনিধিকে গুরু হিসাবে গ্রহণ। তাহলেই আপনাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অন্যথায় এটি সম্ভব নয়, কারণ তিনিই বলতে পারেন আপনার জন্য কোনটি ভাল, আর আপনার জন্য কোনটি খারাপ। তিনি জিজ্ঞাসা করছেন, যচ্ছ্রেয়ঃ স্যান্ নিশ্চিতম ব্রূহী তৎ। ([[Vanisource:BG 2.7 (1972)|ভগবদ্গীতা ২.]])। নিশ্চিতম্। যদি আপনি এমন কোন পরামর্শ, নির্দেশনা, চান;  নিশ্চিতম্, যা কি না কোন সন্দেহ ছাড়া, কোন বিভ্রম ছাড়াই, নির্ভুল, প্রতারণাহীন; সেটিকে বলা হয় নিশ্চিতম্। সেটি আপনি শ্রীকৃষ্ণ বা তার প্রতিনিধির থেকে পেতে পারেন। একজন অপূর্ণ ব্যক্তি বা প্রতারকের থেকে আপনি কখনও সঠিক তথ্য পেতে পারেন না। সেটি সঠিক নির্দেশনা নয়। আজকাল এটি একটি ফ্যাশন; সবাই গুরু হয়ে উঠছে আর সে তার নিজের মতামত দিচ্ছে, "আমার মনে হয়," "আমার মতে।" এসব গুরু নয়। গুরুর অর্থ হচ্ছে তিনি শাস্ত্র থেকে উদাহরণ প্রদান করবেন। যৎ শাস্ত্রবিধিম্ উৎসৃজ্য বর্ততে কামকারতঃ  ([[Vanisource:BG 16.23 (1972)|ভগবদ্গীতা ১৬.২৩]]) যারা শাস্ত্র থেকে কোনো প্রমাণ দেয় না, ''সিদ্ধিম অবাপ্নোতি, ''তিনি কখনই সাফল্য পেতে পারেন না, " "ন সুখম "এই জগতেও সে কখনও সুখী হতে পারে না।" ন পরাম গতিম, এবং পরবর্তী জীবনেও তার উন্নতির কথা আর কিই বা বলার আছে।" এগুলো হচ্ছে নির্দেশ।
এটাই আমাদের দায়িত্ব। এটাই সভ্যতা যে আমরা এই জীবনে অনেক সমস্যার সাক্ষাৎ করছি সেটাই প্রাকৃতিক। এই বস্তু জগতে, বস্তু জগৎ আমাদের জীবনের সমসস্যা। পদম পদম যদ্দ বিপদম (ভা.গী.১০.১৪.৫৮) জোর জগতের বিবরণ হলো প্রতিটি পদক্ষেপে ঝুঁকি। এটাই জোর জগৎ অতএব আমাদের একজন গুরুর নির্দেশ নেওয়া উচিত একজন শিক্ষকের থেকে, একজন আধ্যাতিক গুর্রুর থেকে কিভাবে অগ্রগতি করতে হয়, কারণ ইটা... যা পরে ব্যাখ্যা করা হবে, যা আমাদের জীবনের লক্ষ্য অন্তত মানুষের গঠন এই জীবনে, এই আরিয়ান সভ্যতা, আমাদের জীবনের লক্ষ্য হলো সাংবিধানিক অবস্থান কে বোঝা, ''আমি কে'' ''আমি কে'' যদি আমরা না বুঝি, ''আমরা কে'' তাহলে আমরা কুকুর আর বেড়ালের সমান। কুকুর,বেড়াল জানে না। তারা ভাবে তারা এই শরীর। যা বেক্ষা করা হবে।
 
সুতরাং জীবনের সেই অবস্থায়,যখন আমরা বিভ্রান্ত... প্রকৃতপক্ষে আমরা বিভ্রান্ত প্রতিটি মুহূর্তে অতএব ইটা প্রয়োজনীয় যে একজনকে এক সঠিক গুরুকে অভিগমন করা উচিত এখন অর্জুন কৃষ্ণকে অভিগমন করছে, মহান শ্রেণীর গুরু। মহান শ্রেণীর গুরু। একজন গুরুর বিবরণ হলো সর্বোচ্চ প্রভু। উনি হলেন সবার গুরু, পরম গুরু। তাই যেকেও কৃষ্ণকে চিত্রিত করে, উনিও একজন গুরু। সেটা চতুর্থ অধ্যায়ে ব্যাখ্যা করা হবে। যেতাম পরম্পরা-প্রাপ্তম এমাম রাজারসাও বিদাহ ([[Vanisource:BG 4.2|ভা.গী ৪।২]]) সুতরাং কৃষ্ণ আমাদের উদাহরণ দিচ্ছেন, কোথায় আমাদের আত্মসমর্পণ করা উচিত আর আমাদের গুরু গ্রহণ করা উচিত।  
 
এখানে কৃষ্ণ আছেন। তাই আপনাদের কৃষ্ণকে গ্রহণ করা উচিত বা তার প্রতিনিধিদের গুরু হিসাবে। তাহলে আপনাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অন্যথায় এটি সম্ভব নয়, কারণ তিনি বলতে পারেন আপনার জন্য কি ভাল, আপনার জন্য কি খারাপ। তিনি জিগেস করছেন, যাক চরিয়াঃ স্যান নিস্সিতাম ব্রূহি তৎ ([[Vanisource:BG 2.7|ভা.গী ২।৭]]). নিশ্চিতম। যদি আপনি পরামর্শ, নির্দেশনা, নিশিত্তম চান, কোন সন্দেহ ছাড়া, কোন বিভ্রম ছাড়াই, কোন ভুল ছাড়া, কোন প্রতারণা ছাড়াই, যেটিকে বলা হয় নিশিত্মাম যে আপনি কৃষ্ণ বা তার প্রতিনিধি থেকে পেতে পারেন। আপনি অসিদ্ধ ব্যক্তি বা প্রতারণা থেকে সঠিক তথ্য পেতে পারেন না। এটা সঠিক নির্দেশনা নয়।  
 
আজকাল এটি একটি ফ্যাশন; সবাই গুরূ হয়ে উঠছে এবং তিনি নিজের মতামত দিচ্ছেন, "আমার মনে হয়," "আমার মতে।" এটা গুরু নয়। গুরুর অর্থ হচ্ছে তিনি সাহিত্য থেকে সাক্ষ্য প্রদান করা উচিত। এ্যা: সস্ত্র-বিধিম উৎসরিয়া বার্তাতে কামা-করতঃ : ([[Vanisource:BG 16.23|ভা.গী ১৬।২৩]]) যারা সস্ত্রর থেকে কোনো প্রমান দেয় না তারপর ''না সিদ্ধিম সা অবাপ্নোতি, ''তিনি যে কোনও সময় সাফল্য পেতে পারেন না, " না সূক্ষ্ম, "এই উপাদান বিশ্বের কোন সুখ না," না পারাম গতিম, এবং পরের জীবনে উঁচুতা বলতে কি। "এই আদেশ হয়।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:09, 4 June 2021



Lecture on BG 2.1-11 -- Johannesburg, October 17, 1975

আমরা যখন এই জড়-জাগতিক ব্যাপারগুলোতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি, কি করা যায়? করব কি করব না? এটা হচ্ছে একটা উদাহরণ সেই সময় আমাদের উচিৎ অবশ্যই একজন গুরুর শরণাগত হওয়া। সেই নির্দেশই আমরা এখানে পাচ্ছি। পৃচ্ছামি ত্বাম ধর্মসম্মূঢ়চেতাঃ যখন আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাই, কোনটা ধার্মিক আর কোনটা ধার্মিক নয়, তার মাঝে আমরা কোনও পার্থক্য করতে পারি না। আমাদের অবস্থানটি সঠিকভাবে ব্যবহার করি না। সেটি হলো কার্পণ্যদোষঃঅপহতস্বভাবঃ (ভগবদ্গীতা ২.৭) সেইরকম সময়ে একজন গুরুর প্রয়োজন। সেটিই হচ্ছে বৈদিক নির্দেশ। তদবিজ্ঞানর্থাম স গুরুমেবাবভিগচ্ছেৎ শ্রোত্রিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠং (মুণ্ডক উপনিষদ ১.২.১২) এটি করাই কর্তব্য। এটিই হচ্ছে সভ্যতা। আমরা এই জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। সেটি স্বাভাবিক। এই জড় জগত হচ্ছে একটা সমস্যার জগত। পদম্ পদম্ যৎ বিপদাম্ (ভাগবত ১০.১৪.৫৮) জড় জগত মানেই হল প্রত্যেকটি পদক্ষেপেই বিপদ। এই হচ্ছে জড় জগৎ। অতএব আমাদের একজন গুরুর নির্দেশনা গ্রহণ করা উচিত, একজন শিক্ষকের থেকে, একজন আধ্যাত্মিক গুরুর থেকে, কিভাবে অগ্রগতি করতে হয় সে সম্পর্কে, কারণ এটা... পরে এটি ব্যাখ্যা করা হবে যে, আমাদের জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে, অন্ততঃ এই মানব জন্মে, এই আর্য সভ্যতায়, জীবনের লক্ষ্য হলো আমাদের নিত্য স্বরূপগত অবস্থানটিকে বোঝা যে আমি কে আমি কে'। ' যদি আমরা এটিই না বুঝি যে আমরা কে তাহলে আমরা কুকুর-বেড়ালেরই সমান। কুকুর-বেড়াল জানে না। ওরা ভাবে ওরা ওদের শরীরটি। এটি ব্যাখ্যা করা হবে। সুতরাং জীবনের এমন একটি অবস্থায় যখন কি না আমরা বিভ্রান্ত... প্রকৃতপক্ষে আমরা প্রতিটি মুহূর্তেই বিভ্রান্ত । তাই এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে প্রত্যেকেই যেন একজন সঠিক গুরুর প্রতি শরণাগত হয়। এখন অর্জুন শ্রীকৃষ্ণের কাছে শরণাগত হচ্ছেন, তিনি হচ্ছেন প্রথম শ্রেণীর গুরু। সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন গুরু। গুরু মানে হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবান। উনি হলেন সবার গুরু, পরম গুরু। তাই যে কোন ব্যক্তিই যদি শ্রীকৃষ্ণের প্রতিনিধিত্ব করেন, তিনিও গুরু হন। সেটি চতুর্থ অধ্যায়ে ব্যাখ্যা করা হবে। এবম্ পরম্পরা প্রাপ্তম্ ইমম্ রাজর্ষয়ো বিদুঃ (ভগবদ্গীতা ৪.২) সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ আমাদের উদাহরণ দিয়ে দেখাচ্ছেন যে কোথায় আমাদের আত্মসমর্পণ করা উচিত আর কাকে আমাদের গুরুরূপে গ্রহণ করা উচিত। এখানে শ্রীকৃষ্ণ রয়েছেন। তাই আপনার উচিৎ শ্রীকৃষ্ণ বা তার প্রতিনিধিকে গুরু হিসাবে গ্রহণ। তাহলেই আপনাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অন্যথায় এটি সম্ভব নয়, কারণ তিনিই বলতে পারেন আপনার জন্য কোনটি ভাল, আর আপনার জন্য কোনটি খারাপ। তিনি জিজ্ঞাসা করছেন, যচ্ছ্রেয়ঃ স্যান্ নিশ্চিতম ব্রূহী তৎ। (ভগবদ্গীতা ২.৭)। নিশ্চিতম্। যদি আপনি এমন কোন পরামর্শ, নির্দেশনা, চান; নিশ্চিতম্, যা কি না কোন সন্দেহ ছাড়া, কোন বিভ্রম ছাড়াই, নির্ভুল, প্রতারণাহীন; সেটিকে বলা হয় নিশ্চিতম্। সেটি আপনি শ্রীকৃষ্ণ বা তার প্রতিনিধির থেকে পেতে পারেন। একজন অপূর্ণ ব্যক্তি বা প্রতারকের থেকে আপনি কখনও সঠিক তথ্য পেতে পারেন না। সেটি সঠিক নির্দেশনা নয়। আজকাল এটি একটি ফ্যাশন; সবাই গুরু হয়ে উঠছে আর সে তার নিজের মতামত দিচ্ছে, "আমার মনে হয়," "আমার মতে।" এসব গুরু নয়। গুরুর অর্থ হচ্ছে তিনি শাস্ত্র থেকে উদাহরণ প্রদান করবেন। যৎ শাস্ত্রবিধিম্ উৎসৃজ্য বর্ততে কামকারতঃ (ভগবদ্গীতা ১৬.২৩) যারা শাস্ত্র থেকে কোনো প্রমাণ দেয় না, ন সিদ্ধিম স অবাপ্নোতি, তিনি কখনই সাফল্য পেতে পারেন না, " "ন সুখম "এই জগতেও সে কখনও সুখী হতে পারে না।" ন পরাম গতিম, এবং পরবর্তী জীবনেও তার উন্নতির কথা আর কিই বা বলার আছে।" এগুলো হচ্ছে নির্দেশ।