BN/Prabhupada 0048 - আর্য সভ্যতা: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0048 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1972 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0047 - कृष्ण परब्रह्म हैं|0047|HI/Prabhupada 0049 - हम प्रकृति के नियमों से बंधे हैं|0049}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0047 - শ্রীকৃষ্ণই হলেন পরম|0047|BN/Prabhupada 0049 - প্রকৃতির আইন দ্বারা আমরা আবদ্ধ|0049}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|Afz-Y2ocNtc|আর্য সভ্যতা<br />- Prabhupāda 0048}}
{{youtube_right|IVp6VL8K5Mg|আর্য সভ্যতা<br />- Prabhupāda 0048}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


<!-- BEGIN AUDIO LINK -->
<!-- BEGIN AUDIO LINK -->
<mp3player>https://s3.amazonaws.com/vanipedia/clip/721211BG.AHM_clip1.mp3</mp3player>  
<mp3player>https://s3.amazonaws.com/vanipedia/clip/721211BG-AHM_clip1.mp3</mp3player>  
<!-- END AUDIO LINK -->
<!-- END AUDIO LINK -->


Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
অনার্যজুষ্টম,  “যে মানুষ জীবনের মূল্য জানে না ”। আর্য।আর্য অর্থ যারা প্রগতিশীল। তাই যুদ্ধক্ষেত্ৰে অর্জুনের যুদ্ধ না করার সিদ্ধান্তকে বর্ননা করা হয়েছে অনার্যসুলভ হিসেবে। ভগবদগীতার বর্ণনায় আর্য সভ্যতা অনুসারে, ৪ টি বর্ণবিভাগ রয়েছে যেগুলি পরমেশ্বর ভগবান কর্তৃক প্রবর্তিত।  
অনার্যজুষ্টম,  জীবনের এমন প্রগতিশীল মূল্যবোধের কথা জানে এমন একজন মানুষের জন্য শোভা পায় না। আর্য। আর্য অর্থ যারা প্রগতিশীল। তাই যুদ্ধক্ষেত্ৰে অর্জুনের যুদ্ধ না করার সিদ্ধান্তকে বর্ণনা করা হয়েছে অনার্যসুলভ হিসেবে। আর্য, ভগবদগীতার বর্ণনায় আর্য সভ্যতা অনুসারে, ৪ টি বর্ণবিভাগ রয়েছে যেগুলি পরমেশ্বর ভগবান কর্তৃক প্রবর্তিত। যেটা আমরা ইতিমধ্যে ব্যাখ্যা করেছি, ধর্মং তু সাক্ষাদ্ভগবদপ্রণীতং ([[Vanisource:SB 6.3.19|শ্রীমদ্ভাগবত ৬.৩.১৯]]) কোনও সুব্যববস্থাসম্পন্ন ধর্মীয় পন্থা বলতে বোঝায়: "এটা ভগবান দ্বারা প্রদত্ত।" মানুষ কোনো ধর্মীয় পন্থা সৃষ্টি করতে পারে না। তাই এই আর্য সভ্যতা হলো, প্রগতিশীল পদ্ধতি, চাতুবর্ণং ময়া সৃষ্টং গুণকর্ম বিভাগশঃ। ([[Vanisource:BG 4.13 (1972)|গীতা ৪.১৩]]) শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "সামাজিক ব্যবস্থাপনাকে খুব ভাল ভাবে পরিচালনার জন্য এটি আমারই সৃষ্টি।" ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র। এক্ষেত্রে অর্জুন হলেন ক্ষত্রিয় বংশজাত। এজন্য যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর যুদ্ধ করার যে দ্বিধা প্রকাশ, তা আর্যসুলভ নয়। ক্ষত্রিয় হয়েও যুদ্ধ না করার  প্রবণতা ভাল নয়। ক্ষত্রিয়রা, যখন যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করে, তখন হত্যা করা তাদের জন্য পাপকর্ম নয়। তদ্রুপ, একজন ব্রাহ্মণ যখন যজ্ঞ করেন, তখন মাঝে মাঝে পশুদের সেই যজ্ঞে আহুতি দেন; তার অর্থ এই নয় যে তিনি পাপকর্ম করছেন। পশুযজ্ঞের উদ্দেশ্য পশু-মাংস আহার করা নয়। এটি বৈদিক মন্ত্র পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্রাহ্মণেরা কি যজ্ঞে সঠিকভাবে আহুতি দিচ্ছেন, তারা কি সঠিক ভাবে বৈদিক মন্ত্র জপ করছেন, সেটি পরীক্ষা করা হয় কোনও পশুকে যজ্ঞে অর্পণ এবং পুনরায় তাকে নবজীবন প্রদান করার মাধ্যমে। এই হল পশুযজ্ঞ। যজ্ঞে মাঝে মাঝে অশ্ব, মাঝে মাঝে গাভীও নিবেদন করা হত। কিন্তু এই কলিযুগে সেগুলো নিষিদ্ধ কারণ সেরকম যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণ এখন আর নেই। এই যুগে সমস্ত প্রকার যজ্ঞই নিষিদ্ধ।


যেরকম আমরা ইতোমধ্যে ব্যাখ্যা করেছি, ধর্মং তু সাক্ষাদ্ভগবদপ্রণীতং ([[Vanisource:SB 6.3.19|ভাগবত ৬.৩.১৯]]) যেকোনো পদ্ধতিগত ধর্মীয় পন্থাকে গ্রহণ করতে হবে যে “তা হল ভগবদ প্রদত্ত।” মানুষ কোনো ধর্মীয় পন্থা সৃষ্টি করতে পারে না। তাই এই হলো আর্য সভ্যতা, প্রগতিশীল পদ্ধতি, চাতুবর্ণং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ। ([[Vanisource:BG 4.13|গী.তা ৪/১৩]]) কৃষ্ণ বলেছেন, “আমি মানবসমাজে ৪টি বর্ণ বিভাগ সৃষ্টি করেছি”। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র। এক্ষেত্রে অর্জুন হলেন ক্ষত্রিয় বংশজাত। এজন্য যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর যুদ্ধ করার যে অপারগতার প্রকাশ, তা আর্যসুলভ নয়। ক্ষত্রিয় হয়েও যুদ্ধ না করার  প্রবণতা ভাল নয়। ক্ষত্রিয়রা যখন যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করে, তখন হত্যা করা তাদের জন্য পাপকর্ম নয়।
:অশ্বমেধং গবালম্ভং


তদ্রুপ, একজন ব্রাহ্মণ যখন যজ্ঞ করেন, তখন মাঝে মাঝে পশুদের সেই যজ্ঞে আহুতি দেন; তার অর্থ এই নয় যে তিনি পাপকর্ম করছেন। পশুযজ্ঞের উদ্দেশ্য পশু-মাংস আহার করা নয়। এটি বৈদিক মন্ত্র পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্রাহ্মণেরা কি যজ্ঞে সঠিকভাবে আহুতি দিচ্ছেন, তারা কি সঠিক ভাবে বৈদিক মন্ত্র জপ করছেন, সেটি পরীক্ষা করা হয় কোন পশুকে যজ্ঞে নিবেদন এবং পুনরায় তাকে নবজীবন প্রদান করার মাধ্যমে। এই হল পশুযজ্ঞ। যজ্ঞে মাঝে মাঝে অশ্ব, মাঝে মাঝে গাভীও নিবেদন করা হত। কিন্তু এই কলিযুগে সেগুলো নিষিদ্ধ কারণ সেরকম যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণ এখন আর নেই। এই যুগে সমস্ত প্রকার যজ্ঞই নিষিদ্ধ। অশ্বমেধং গবালম্ভং সন্ন্যাসং পলপৈতৃকম্। দেবরেণ সুতোৎপত্তিং কলৌ পঞ্চ বিবর্জয়েৎ।। ([[Vanisource:CC Adi 17.164|চৈ.চ আদি ১৭/১৬৪]]) অশ্বমেধ যজ্ঞ, গোমেধ যজ্ঞ, সন্ন্যাস এবং দেবরের (পতির কনিষ্ট ভাত্রা) মাধ্যমে সন্তান লাভ এই যুগে সেগুলো নিষিদ্ধ।  
:সন্ন্যাসং পলপৈতৃকম্।  
 
:দেবরেণ সুতোৎপত্তিং  
 
:কলৌ পঞ্চ বিবর্জয়েৎ।।  
 
:([[Vanisource:CC Adi 17.164|চৈ চ আদি ১৭.১৬৪]])  
 
অশ্বমেধ যজ্ঞ, গোমেধ যজ্ঞ, সন্ন্যাস এবং দেবরের মাধ্যমে সন্তান লাভ, (স্বামীর ছোট ভাই), এই যুগে সেগুলো নিষিদ্ধ।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 11:23, 2 June 2021



Lecture on BG 2.2-6 -- Ahmedabad, December 11, 1972

অনার্যজুষ্টম, জীবনের এমন প্রগতিশীল মূল্যবোধের কথা জানে এমন একজন মানুষের জন্য শোভা পায় না। আর্য। আর্য অর্থ যারা প্রগতিশীল। তাই যুদ্ধক্ষেত্ৰে অর্জুনের যুদ্ধ না করার সিদ্ধান্তকে বর্ণনা করা হয়েছে অনার্যসুলভ হিসেবে। আর্য, ভগবদগীতার বর্ণনায় আর্য সভ্যতা অনুসারে, ৪ টি বর্ণবিভাগ রয়েছে যেগুলি পরমেশ্বর ভগবান কর্তৃক প্রবর্তিত। যেটা আমরা ইতিমধ্যে ব্যাখ্যা করেছি, ধর্মং তু সাক্ষাদ্ভগবদপ্রণীতং (শ্রীমদ্ভাগবত ৬.৩.১৯) কোনও সুব্যববস্থাসম্পন্ন ধর্মীয় পন্থা বলতে বোঝায়: "এটা ভগবান দ্বারা প্রদত্ত।" মানুষ কোনো ধর্মীয় পন্থা সৃষ্টি করতে পারে না। তাই এই আর্য সভ্যতা হলো, প্রগতিশীল পদ্ধতি, চাতুবর্ণং ময়া সৃষ্টং গুণকর্ম বিভাগশঃ। (গীতা ৪.১৩) শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "সামাজিক ব্যবস্থাপনাকে খুব ভাল ভাবে পরিচালনার জন্য এটি আমারই সৃষ্টি।" ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র। এক্ষেত্রে অর্জুন হলেন ক্ষত্রিয় বংশজাত। এজন্য যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর যুদ্ধ করার যে দ্বিধা প্রকাশ, তা আর্যসুলভ নয়। ক্ষত্রিয় হয়েও যুদ্ধ না করার প্রবণতা ভাল নয়। ক্ষত্রিয়রা, যখন যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করে, তখন হত্যা করা তাদের জন্য পাপকর্ম নয়। তদ্রুপ, একজন ব্রাহ্মণ যখন যজ্ঞ করেন, তখন মাঝে মাঝে পশুদের সেই যজ্ঞে আহুতি দেন; তার অর্থ এই নয় যে তিনি পাপকর্ম করছেন। পশুযজ্ঞের উদ্দেশ্য পশু-মাংস আহার করা নয়। এটি বৈদিক মন্ত্র পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্রাহ্মণেরা কি যজ্ঞে সঠিকভাবে আহুতি দিচ্ছেন, তারা কি সঠিক ভাবে বৈদিক মন্ত্র জপ করছেন, সেটি পরীক্ষা করা হয় কোনও পশুকে যজ্ঞে অর্পণ এবং পুনরায় তাকে নবজীবন প্রদান করার মাধ্যমে। এই হল পশুযজ্ঞ। যজ্ঞে মাঝে মাঝে অশ্ব, মাঝে মাঝে গাভীও নিবেদন করা হত। কিন্তু এই কলিযুগে সেগুলো নিষিদ্ধ কারণ সেরকম যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণ এখন আর নেই। এই যুগে সমস্ত প্রকার যজ্ঞই নিষিদ্ধ।

অশ্বমেধং গবালম্ভং
সন্ন্যাসং পলপৈতৃকম্।
দেবরেণ সুতোৎপত্তিং
কলৌ পঞ্চ বিবর্জয়েৎ।।
(চৈ চ আদি ১৭.১৬৪)

অশ্বমেধ যজ্ঞ, গোমেধ যজ্ঞ, সন্ন্যাস এবং দেবরের মাধ্যমে সন্তান লাভ, (স্বামীর ছোট ভাই), এই যুগে সেগুলো নিষিদ্ধ।