BN/Prabhupada 0050 - তারা জানে না যে পরবর্তী জীবনটি কি

Revision as of 07:12, 4 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 16.5 -- Calcutta, February 23, 1972

প্রকৃতি, শ্রীকৃষ্ণের আদেশ অনুযায়ী, আমাদেরকে সুযোগ দিচ্ছে, জন্ম-মৃত্যুর চক্র হতে আমাদের বেরিয়ে আসার সুযোগ দিচ্ছে । জন্ম-মৃত্যু-জড়া-ব্যাধি দুঃখ-দোষানুদর্শনং (ভগবদ্গীতা. ১৩.৯) জন্ম-মৃত্যু-জড়া-ব্যাধি ,জীবনের এই চারটি সমস্যা দেখে বুদ্ধিমান হওয়া উচিত: সেটিই হচ্ছে পুরো বৈদিক ব্যবস্থা, কিভাবে এই চারটি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । কিন্তু তাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, 'তুমি এটা করো, তুমি ওটা করো," অর্থাৎ একটি নিয়ন্ত্রিত জীবন । যাতে করে শেষ পর্যন্ত সে ব্যক্তিটি বেরিয়ে আসতে পারেন। অতএব ভগবান বলেছেন, দৈবী সম্পদ বিমোক্ষ্যায় (ভগবদ্গীতা ১৬.৫) যদি আপনি দৈবী সম্পদ বিকাশ করেন, এই গুণগুলি , যেমনটা বলা হয়েছে - অহিংসা ,সত্ত্ব,সংশুদ্ধি, অহিংসা, অনেক কিছু - তাহলে আপনি বেরিয়ে আসবেন, 'বিমোক্ষ্যায়'। দুর্ভাগ্যবশত, আধুনিক সভ্যতায় তারা জানে না যে বিমোক্ষ্যায় কি? তারা এতটাই অন্ধ, তারা জানে না 'বিমোক্ষ্যায়' বলে একটি অবস্থা রয়েছে। তারা জানে না। তারা পরবর্তী জীবন কি তা তারা জানে না | কোন শিক্ষাব্যবস্থা নেই। আমি সারা বিশ্বে ভ্রমণ করছি। আত্মার দেহান্তর সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের জন্য কোন একটিও সংস্থা নেই যে, কিভাবে কেউ একটি ভাল জীবন পেতে পারে। কিন্তু তারা বিশ্বাস করে না। তাদের কোন জ্ঞানই নেই | এটা হচ্ছে আসুরিক সম্পদ | তা এখানে বর্ণনা করা হবে: প্রবৃত্তিং চ নিবৃত্তিং চ জনা ন বিদুরাসুরা। প্রবৃত্তিং মানে আকর্ষণ বা আসক্তি। কি ধরনের কার্যক্রমে আমাদের আসক্ত হওয়া উচিত, এবং কি ধরনের কার্যক্রমে আমাদের অনাসক্তি হওয়া উচিৎ। যারা অসুর তারা জানে না । প্রবৃত্তিং চ নিবৃত্তিং চ।

প্রবৃত্তিং চ নিবৃত্তিং চ
জনা ন বিদুরাসুরা।
ন শৌচং নাপি চাচারো
ন সত্যং তেষু বিদ্যতে ।।
(গীতা. ১৬.৭)

এরাই হচ্ছে অসুর | তারা জানেন না তাদের জীবন কিভাবে পরিচালিত হওয়া উচিৎ, কিভাবে এবং কোন দিকে তাদের জীবন পরিচালিত হওয়া উচিৎ। এর নাম প্রবৃত্তি , এবং কি ধরনের জীবনে তাদের অনাসক্তি হওয়া উচিত, ত্যাগ করা, নিবৃত্তি | প্রবৃত্তি তু জীবাত্মা। আরেকটি শ্লোক। ভুনাম্ | নিবৃত্তি তু মহাফলম | সমগ্র শাস্ত্র | পুরো বৈদিক দিক নির্দেশনা হল প্রবৃত্তি-নিবৃত্তি | তারা ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে | ঠিক যেমন লোকেব্যাবয়মিসা মদ্যা সেবা নিত্যা সুজানতঃ| প্রতিটি জীবসত্তার 'ব্যবায়ঃ , যৌন জীবনের প্রতি প্রবণতা রয়েছে। এবং মদ্য সেবা, নেশা ; আমিষ সেবা, এবং মাংস আহার । একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি আছে । কিন্তু অসুর, তারা এসবেই থামতে চেষ্টা করে না। তারা এসব আরও বৃদ্ধি করতে চান। সেটি হছে আসুরিক জীবন । আমার কিছু রোগ আছে। যদি আমি এটাকে সাড়াতে চাই , তাহলে ডাক্তার আমাকে কিছু প্রেসক্রিপশন দিবে, "যদি এটা না খাওয়া হয়" যেমন ডায়াবেটিস রোগী, তাকে বারণ করা হয়েছে, "আপনি চিনি খাবেন না, অথবা শর্করা খাবেন না।" নিবৃত্তি , যেমন শাস্ত্র আমাদের নির্দেশ দেয় যে, কিছু জিনিস আছে যা করা উচিৎ এবং কিছু রয়েছে যা করা উচিৎ নয় যেমন আমাদের সমাজে, আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিবৃত্তি এবং প্রবৃত্তি ধারণাকে এভাবে নিয়েছি... প্রবৃত্তি... আমরা আমাদের ছাত্রদেরকে শিক্ষা দিচ্ছি, অবৈধ সঙ্গ ত্যাগ ,মাংসাহার ত্যাগ, দ্যুতক্রিড়া ত্যাগ করতে। আমিষ সেবা নিত্য সুজনতোঃ । শাস্ত্র বলছে যদি তুমি এগুলো ত্যাগ করতে পার, নিবৃত্তিঃ তু মহাফলম, তাহলেই আপনার জীবন সফল হবে। আমরা প্রস্তুত নয়। যদি আপনি প্রবৃত্তিটি গ্রহণ করতে প্রস্তুত না হন এবং নিবৃত্তিও গ্রহণ না করেন তাহলে কারো অবশ্যই এটি জানা উচিত যে সে একটা অসুর। শ্রীকৃষ্ণ এখানে বলেছেন , প্রবৃত্তিং চ নিবৃত্তিং চ জনা ন বিদুরাসুরা (গীতা ১৬.৭) তারা জানে না.. ওটা কি? তারা বলে, এমন কি বড় বড় স্বামীরাও বলেন যে "এতে ভুল কিসের?" তুমি যা খুশি খেতে পার। কোনও ব্যাপার না, তুমি যা কিছু করতে পারো। শুধু আমাকে দক্ষিণা দাও আর আমি তোমাদের কিছু বিশেষ মন্ত্র দেব, এসবই চলছে।