BN/Prabhupada 0059 - আপনার প্রকৃত করণীয় ভুলে যাবেন না: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Hindi Pages with Videos Category:Prabhupada 0059 - in all Languages Category:HI-Quotes - 1975 Category:HI-Quotes - Lec...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 1: Line 1:
<!-- BEGIN CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN CATEGORY LIST -->
[[Category:1080 Hindi Pages with Videos]]
[[Category:1080 Bengali Pages with Videos]]
[[Category:Prabhupada 0059 - in all Languages]]
[[Category:Prabhupada 0059 - in all Languages]]
[[Category:HI-Quotes - 1975]]
[[Category:BN-Quotes - 1975]]
[[Category:HI-Quotes - Lectures, Bhagavad-gita As It Is]]
[[Category:BN-Quotes - Lectures, Bhagavad-gita As It Is]]
[[Category:HI-Quotes - in Mexico]]
[[Category:BN-Quotes - in Mexico]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0058 - आध्यात्मिक शरीर का अर्थ है शाश्वत जीवन|0058|HI/Prabhupada 0060 - जीवन भौतिक पदार्थ से नहीं आ सकता|0060}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0058 - চিন্ময় দেহ মানে নিত্য জীবনলাভ|0058|BN/Prabhupada 0060 - জড় বস্তু থেকে জীবন আসতে পারে না|0060}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 17: Line 17:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|7CLRAsY3iw0|अपने वास्तविक कर्तव्य को मत भूलो <br /> - Prabhupāda 0059}}
{{youtube_right|7CLRAsY3iw0|আপনার প্রকৃত করণীয় ভুলে যাবেন না<br />- Prabhupāda 0059}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 29: Line 29:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
তাহলে প্রোস্নো হলো এই, যে আমি যদি চিরন্তন হই, তাহলে জীবনের এতো শোচোনিও অবস্থা কেন হয় | আর কেনই বা আমি মরতে বাধ্য হই ? " তাই এটা হল আসলে বুদ্ধিমান প্রশ্ন, যে, "যদি আমি অনন্ত হই, তাহলে কেন আমি এই জড় দেহে আবদ্ধ থাকবো, যা মৃত্যু, জন্ম, বর্ধোক্ক ও রোগ বলয়ের বশীভূত হয়ে থাকবে | অতএব কৃষ্ণ নির্দেশ করছেন, যে জীবনের এই শচনিও অবস্থার কারণ হলো এই জর্ দেহ| যারা কার্মিস,মানে যারা ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তিতে নিযুক্ত হয়  ... তাদের ডাকনাম কার্মিস | কার্মিস'রা ভবিষ্যতের পরোয়া করে না; তারা কেবল জীবনের আশু সুবিধা চান| যেমন একটা সিশু সারা দিন খেলে বাবা মায়ের কথা চিন্তা না করে| এবং ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য গ্রাহ্য না করে, কোন শিক্ষা গ্রহণ করে না|
পরবর্তী প্রশ্নটি হচ্ছে যে, "আমি যদি নিত্যই হয়ে থাকি, তাহলে জীবনে এতো দুর্দশাপূর্ণ অবস্থা কেন রয়েছে? আর আমি কেন মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য?" সুতরাং প্রকৃতপক্ষে এটিই হচ্ছে বুদ্ধিমানের মতো প্রশ্ন যে, "আমি যদি নিত্য হই, তবে আমি কেন এই জড় দেহে রয়েছি যেটি জন্ম, মৃত্যু, জরা এবং ব্যাধির অধীন?" অতএব শ্রীকৃষ্ণ উপদেশ দিচ্ছেন যে এইসব দুর্দশাপূর্ণ অবস্থার কারণ হচ্ছে এই জড় দেহটি। যারা কর্মীলোক, অর্থাৎ যারা ইন্দ্রিয়তৃপ্তি সাধনেই ব্যস্ত, তাদের কর্মী বলা হয়। কর্মীরা ভবিষ্যতের ধার ধারে না, ওরা শুধু জীবনের তাৎক্ষণিক সুযোগ-সুবিধা পেতে চায়। ঠিক যেমন একটি শিশু পিতামাতার পরোয়া না করে সারাদিন কেবল খেলতেই থাকে, আর ভবিষ্যতেরও কোন পরোয়া করে না। কোন শিক্ষা অর্জন করে না। কিন্তু আমরা যদি এই মানব জীবনে প্রকৃতপক্ষে বুদ্ধিমান হয়ে থাকি, তবে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত যে আমরা কিভাবে এমন একটি দেহ পেতে পারি যেখানে কোন জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যাধি থাকবে না। সুতরাং এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের অর্থ হচ্ছে লোকেদের এই সম্বন্ধে শিক্ষা দান করা। এখন কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারে যে, "যদি আমি সম্পূর্ণরূপে কৃষ্ণভাবনামৃতে নিজেকে উৎসর্গ করি, তাহলে আমার জাগতিক চাহিদাগুলো কিভাবে সরবরাহ হবে?" শ্রীমদ্ভবদ্গীতায় এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলা হয়েছে যে, যে কোনও ব্যক্তি যিনি এই কৃষ্ণভাবনামৃতে নিযুক্ত হবেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার সমস্ত প্রয়োজনীয়তাগুলোর দেখভাল করবেন। শ্রীকৃষ্ণ সকলেরই ভরণপোষণ করছেন। একো যো বহুনাম্ বিদধাতি কামান্ঃ "একজন পরমেশ্বর ভগবান সকলের সমস্ত প্রয়োজনীয়তাগুলো সরবরাহ করছেন।" সুতরাং একজন ভক্ত যিনি ভগবানের কাছে, তাঁর ধামে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তার জন্য কিছুরই অভাব হবে না। এই সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। শ্রীকৃষ্ণ ভগবদগীতায় বলেছেন, তেষাম্ সততযুক্তানাম্ যোগক্ষেম বহাম্যহম্ঃ ([[Vanisource:BG 10.10 (1972)|গীতা ১০/১০]]) "যে ভক্ত অনন্যচিত্তে আমার সেবায় নিযুক্ত, আমি তার সমস্ত প্রাপ্ত বস্তুর সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় বস্তুর সরবরাহ করি।" একটি বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে যে, এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে আমাদের একশো'টি কেন্দ্র রয়েছে, এবং প্রতিটি মন্দিরে কমপক্ষে ২৫ থেকে ২৫০ জন করে ভক্ত বসবাস করছে। আমাদের কোন নির্দিষ্ট আয়ের উৎস নেই, কিন্তু প্রতিটি মন্দিরে আমরা প্রতি মাসে আশি হাজার ডলার করে খরচ করছি। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় আমাদের কোন অভাব নেই, সবকিছুরই সরবরাহ রয়েছে। লোকেরা মাঝে মাঝে অবাক হয় যে, "এই লোকগুলি কোন কাজ করে না, কোন পেশাগত কাজও নেই, শুধু 'হরেকৃষ্ণ' গেয়ে বেড়ায়। এরা জীবনধারণ করে কিভাবে?" সুতরাং সে প্রশ্নই নেই। যদি কুকুর বেড়ালেরা ভগবানের দয়ায় বাঁচতে পারে, তাহলে ভক্তরাও ভগবানের কৃপায় খুব ভালোভাবেই বাঁচতে পারবে। সে সম্বন্ধে কোন প্রশ্নই আসে না। কিন্তু কেউ যদি ভাবে, "আমি এই কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ করলাম, কিন্তু আমাকে কতই কিছুই না পোহাতে হচ্ছে" তাদের জন্য অথবা আমাদের সকলের জন্য উপদেশ হচ্ছে, মাত্রাস্পরস্তু কৌন্তেয় শীতোষ্ণসমসুখদুঃখদাঃ ([[Vanisource:BG 2.14 (1972)|গীতা /১৪]]) "এই সব দুঃখ এবং সুখ ঠিক শীত এবং গ্রীষ্ম ঋতুর মতোই।" শীতকালে জল খুবই কষ্টদায়ক আর গ্রীষ্মকালে জল খুবই আনন্দদায়ক। তাহলে জলের অবস্থাটি আসলে কি? এটি কি সুখদায়ক না কি দুঃখদায়ক? এটি দুঃখকর নয়, আবার সুখকরও নয়, কিন্তু নির্দিষ্ট ঋতুতে, ত্বকের স্পর্শে এটি কখনও দুঃখদায়ক আবার কখনও সুখদায়ক বলে মনে হয়। এই রকম দুঃখ এবং সুখের কথা এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, "এটি আসবে এবং যাবে। এই সব অবস্থা নিত্য নয়।" আগমপায়িনঃ অনিত্যঃ ([[Vanisource:BG 2.14 (1972)|গীতা /১৪]]) মানে হচ্ছে, "এই সব অবস্থা আসছে এবং যাচ্ছে, তাই এগুলো নিত্য নয়।" তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ উপদেশ দিয়েছেন, "তামস্তিতিক্ষসস্বঃ ভারত ([[Vanisource:BG 2.14 (1972)|গীতা /১৪]]) কিন্তু তোমার আসল কাজ, কৃষ্ণভাবনামৃত, ভুলে যাওয়া চলবে না। এই সব জাগতিক সুখ-দুঃখের পরোয়া কোর না।
 
কিন্তু জীবনের মানবরূপের,যদি আমরা আসলে বুদ্ধিমান হই, আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করবো, যেখানে কিভাবে ওই জীবন বা শরীরের কোন মৃত্যু, জন্ম, বৃদ্ধ বয়সে এবং রোগ হবে না| তাই এই কৃষ্ণ চেতনা আন্দোলনের মানে হল, এই উদ্দেশ্যে মানুষকে শিক্ষিত করে তোলা| এখন, কেউ বলতে পারে যে, "আমি যদি কেবল কৃষ্ণ চেতনা চাই, তবে কিভাবে আমার বস্তুগত প্রয়োজনগুলো সরবরাহ করা হবে? " তাই উত্তর ভগবত-গীতায় আছে, যে কেউ শুধু কৃষ্ণ চেতনা নিয়োজিত আছেন, তার জীবনের প্রয়োজনগুলো কৃষ্ণ দেখাশোনা করবে| কৃষ্ণ সকলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পথ খুঁজছেন| একো যো বাহ্যূনম বিদাধাটি কামান: এক সর্বোত্তম ব্যক্তি সমস্ত জীবিত সত্তার প্রয়োজনগুলি দেখাশোনা করছেন| সুতরাং একজন ভক্ত নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার, সার্বভৌম কর্তৃত্বে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তার কোন অভাব থাকবে না| নিশ্চিন্ত থাকো, কৃষ্ণ ভগবত-গীতায় বলেছেন, তেসম সাতটা-যুক্টানাম যোগা-ক্স্মম বাহময় আহম ([[Vanisource:BG 9.22|ভা.গী.৯.২২]]): একজন ভক্ত যিনি সব সময় আমার সেবায় নিযুক্ত আছেন, আমি দেখি, কিভাবে তার জীবনের প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ হবে। "  
 
একটি বাস্তব উদাহরণ হল এই কৃষ্ণ চেতনা আন্দোলনে আমরা একশত কেন্দ্র পেয়েছি, এবং প্রতিটি মন্দিরে, পঁচিশের কম নেই, দুইশত পঞ্চাশ জন ভক্ত পর্যন্ত বসবাস করে। তাই আমাদের কোন নির্দিষ্ট অর্থ উপায় নেই, এবং আমরা সমস্ত শাখাগুলিতে প্রতি মাসে আশি হাজার ডলার খরচ করছি। কিন্তু কৃষ্ণের রহম দ্বারা আমাদের কোন সমস্যা নেই; সবকিছুই সরবরাহ করা হয়। মানুষ কখনও কখনও বিস্মিত হয় যে "এই লোকেরা কাজ করে না, কোন পেশা গ্রহণ করবেন না, কেবল হরে কৃষ্ণ জপ করুন। কিভাবে তারা বসবাস করে? " সুতরাং সেটা কোন প্রশ্ন নোই। বিড়াল এবং কুকুর ঈশ্বরের রহমতে বসবাস করতে পারে, ঈশ্বরের রহমত দ্বারা ভক্তরা খুব আরামে জীবনযাপন করতে পারে। এমন কোন প্রশ্ন নেই, কিন্তু কেউ যদি মনে করে যে, "আমি কৃষ্ণ চেতনা গ্রহণ করেছি, কিন্তু আমি অনেক জিনিসের জন্য কষ্ট ভোগ করছি, তাদের জন্য বা আমাদের সকলের জন্য নির্দেশ হলো মাত্রা-স্পর্শাস তু কৌন্তেয় শীতস্না-সুখ-দুঃখা-ডাঃ: ([[Vanisource:BG 2.14|ভা.গী. .১৪]]) "এই ব্যথা এবং পরিতোষ শুধু মাত্র শীত ও গ্রীষ্মের মতই।" শীতকালে জল বেদনাদায়ক, এবং গ্রীষ্মে জল আনন্দদায়ক হয়। তাহলে জলের অবস্থান কী? এটা আনন্দদায়ক বা বেদনাদায়ক? এটা বেদনাদায়ক নয়, নয় আনন্দদায়ক, কিন্তু নির্দিষ্ট ঋতুতে, ত্বকে স্পর্শ করলে এটা যন্ত্রণাদায়ক বা সুন্দর বলে প্রদর্শিত হয়। এই ধরনের ব্যথা এবং আনন্দ এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে: "তারা আসছে এবং যাচ্ছে। তারা স্থায়ী নয়।" আগামৗ অপেয়নাঃ অনিত্যঃ ([[Vanisource:BG 2.14|ভা.গী. .১৪ ]]): অর্থাৎ "তারা আসছে এবং যাচ্ছে, তাই তারা স্থায়ী নয়। তাই কৃষ্ণ পরামর্শ দেয়, তামস তিতীক্ষাসভা ভারত (ভা.গী. ২.১৪): "শুধু সহ্য করো" কিন্তু আপনি আপনার বাস্তব ব্যবসা ভুলে যাবেন না, কৃষ্ণ চেতনা। চিন্তা করোনা এই উপাদান ব্যথা এবং পরিতোষের জন্য।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:15, 4 June 2021



Lecture on BG 2.14 -- Mexico, February 14, 1975

পরবর্তী প্রশ্নটি হচ্ছে যে, "আমি যদি নিত্যই হয়ে থাকি, তাহলে জীবনে এতো দুর্দশাপূর্ণ অবস্থা কেন রয়েছে? আর আমি কেন মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য?" সুতরাং প্রকৃতপক্ষে এটিই হচ্ছে বুদ্ধিমানের মতো প্রশ্ন যে, "আমি যদি নিত্য হই, তবে আমি কেন এই জড় দেহে রয়েছি যেটি জন্ম, মৃত্যু, জরা এবং ব্যাধির অধীন?" অতএব শ্রীকৃষ্ণ উপদেশ দিচ্ছেন যে এইসব দুর্দশাপূর্ণ অবস্থার কারণ হচ্ছে এই জড় দেহটি। যারা কর্মীলোক, অর্থাৎ যারা ইন্দ্রিয়তৃপ্তি সাধনেই ব্যস্ত, তাদের কর্মী বলা হয়। কর্মীরা ভবিষ্যতের ধার ধারে না, ওরা শুধু জীবনের তাৎক্ষণিক সুযোগ-সুবিধা পেতে চায়। ঠিক যেমন একটি শিশু পিতামাতার পরোয়া না করে সারাদিন কেবল খেলতেই থাকে, আর ভবিষ্যতেরও কোন পরোয়া করে না। কোন শিক্ষা অর্জন করে না। কিন্তু আমরা যদি এই মানব জীবনে প্রকৃতপক্ষে বুদ্ধিমান হয়ে থাকি, তবে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত যে আমরা কিভাবে এমন একটি দেহ পেতে পারি যেখানে কোন জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যাধি থাকবে না। সুতরাং এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের অর্থ হচ্ছে লোকেদের এই সম্বন্ধে শিক্ষা দান করা। এখন কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারে যে, "যদি আমি সম্পূর্ণরূপে কৃষ্ণভাবনামৃতে নিজেকে উৎসর্গ করি, তাহলে আমার জাগতিক চাহিদাগুলো কিভাবে সরবরাহ হবে?" শ্রীমদ্ভবদ্গীতায় এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলা হয়েছে যে, যে কোনও ব্যক্তি যিনি এই কৃষ্ণভাবনামৃতে নিযুক্ত হবেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার সমস্ত প্রয়োজনীয়তাগুলোর দেখভাল করবেন। শ্রীকৃষ্ণ সকলেরই ভরণপোষণ করছেন। একো যো বহুনাম্ বিদধাতি কামান্ঃ "একজন পরমেশ্বর ভগবান সকলের সমস্ত প্রয়োজনীয়তাগুলো সরবরাহ করছেন।" সুতরাং একজন ভক্ত যিনি ভগবানের কাছে, তাঁর ধামে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তার জন্য কিছুরই অভাব হবে না। এই সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। শ্রীকৃষ্ণ ভগবদগীতায় বলেছেন, তেষাম্ সততযুক্তানাম্ যোগক্ষেম বহাম্যহম্ঃ (গীতা ১০/১০) "যে ভক্ত অনন্যচিত্তে আমার সেবায় নিযুক্ত, আমি তার সমস্ত প্রাপ্ত বস্তুর সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় বস্তুর সরবরাহ করি।" একটি বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে যে, এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে আমাদের একশো'টি কেন্দ্র রয়েছে, এবং প্রতিটি মন্দিরে কমপক্ষে ২৫ থেকে ২৫০ জন করে ভক্ত বসবাস করছে। আমাদের কোন নির্দিষ্ট আয়ের উৎস নেই, কিন্তু প্রতিটি মন্দিরে আমরা প্রতি মাসে আশি হাজার ডলার করে খরচ করছি। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় আমাদের কোন অভাব নেই, সবকিছুরই সরবরাহ রয়েছে। লোকেরা মাঝে মাঝে অবাক হয় যে, "এই লোকগুলি কোন কাজ করে না, কোন পেশাগত কাজও নেই, শুধু 'হরেকৃষ্ণ' গেয়ে বেড়ায়। এরা জীবনধারণ করে কিভাবে?" সুতরাং সে প্রশ্নই নেই। যদি কুকুর বেড়ালেরা ভগবানের দয়ায় বাঁচতে পারে, তাহলে ভক্তরাও ভগবানের কৃপায় খুব ভালোভাবেই বাঁচতে পারবে। সে সম্বন্ধে কোন প্রশ্নই আসে না। কিন্তু কেউ যদি ভাবে, "আমি এই কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ করলাম, কিন্তু আমাকে কতই কিছুই না পোহাতে হচ্ছে" তাদের জন্য অথবা আমাদের সকলের জন্য উপদেশ হচ্ছে, মাত্রাস্পরস্তু কৌন্তেয় শীতোষ্ণসমসুখদুঃখদাঃ (গীতা ২/১৪) "এই সব দুঃখ এবং সুখ ঠিক শীত এবং গ্রীষ্ম ঋতুর মতোই।" শীতকালে জল খুবই কষ্টদায়ক আর গ্রীষ্মকালে জল খুবই আনন্দদায়ক। তাহলে জলের অবস্থাটি আসলে কি? এটি কি সুখদায়ক না কি দুঃখদায়ক? এটি দুঃখকর নয়, আবার সুখকরও নয়, কিন্তু নির্দিষ্ট ঋতুতে, ত্বকের স্পর্শে এটি কখনও দুঃখদায়ক আবার কখনও সুখদায়ক বলে মনে হয়। এই রকম দুঃখ এবং সুখের কথা এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, "এটি আসবে এবং যাবে। এই সব অবস্থা নিত্য নয়।" আগমপায়িনঃ অনিত্যঃ (গীতা ২/১৪) মানে হচ্ছে, "এই সব অবস্থা আসছে এবং যাচ্ছে, তাই এগুলো নিত্য নয়।" তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ উপদেশ দিয়েছেন, "তামস্তিতিক্ষসস্বঃ ভারত (গীতা ২/১৪) কিন্তু তোমার আসল কাজ, কৃষ্ণভাবনামৃত, ভুলে যাওয়া চলবে না। এই সব জাগতিক সুখ-দুঃখের পরোয়া কোর না।