BN/Prabhupada 0063 - আমায় এক মহান মৃদংঙ্গ বাদক হতে হবে

Revision as of 14:59, 1 December 2017 by Anurag (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0063 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - A...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Arrival Lecture -- Dallas, March 3, 1975

এখানকার পরিবেশ দেখে আমি খুব খুশি। শিক্ষা মানে কৃষ্ণ ভাবনা। এটা শিক্ষা। কেবলমাত্র আমাদের বুঝতে হবে যে, "কৃষ্ণসর্বশক্তিমান। তিনি মহান, এবং আমরা সব তার অধস্তন কর্মচারী। তাই আমাদের কর্তব্য কৃষ্ণকে সেবা করা। এই দুটি জিনিস, যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে আমাদের জীবন সার্থক। যদি আমরা শিখি যে কিভাবে কৃষ্ণকে পুজা করতে হয় ,কিভাবে তাকে খুশী করতে হয়। কিভাবে তাকে সুন্দরভাবে সাজান যায়, কিভাবে তাকে ভাল খাদ্য সামগ্রী দিতে হয়। কিভাবে তাকে অলঙ্কার এবং ফুল দিয়ে সজ্জিত করা হয়, কিভাবে তাকে আমাদের সম্মানজনক প্রনাম করতে হয়। কিভাবে তার নাম জপ করতে হয়, এইভাবে যদি আমরা চিন্তা করি। তবে কোনও তথাকথিত শিক্ষা ছাড়াই আমরা মহাবিশ্বের মধ্যে নিখুঁত ব্যক্তি হতে পারি। এটাই কৃষ্ণ ভাবনা , এখানে এ-বি-সি-ডি শিক্ষার প্রয়োজন হয় না। কেবল চেতনার পরিবর্তন প্রয়োজন।

সুতরাং যদি এই শিশুদের তাদের জীবনের শুরু থেকে শেখানো হয় ... আমাদের কাছে সুযোগ ছিল এই রকম বাবা-মাদের দ্বারা প্রশিক্ষিত হওয়ার । অনেক পূণ্যবান ব্যক্তি আমার বাবার বাড়ি পরিদর্শন করতেন। আমার বাবা ছিলেন বৈষ্ণব । তিনি বৈষ্ণব ছিলেন, এবং তিনি চেয়েছিলেন যে আমি একজন বৈষ্ণব হয়ে উঠি। যখনই কিছু ধার্মিক ব্যক্তি আসতেন, তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করতেন , "দয়া করে আমার ছেলেকে আশীর্বাদ করুন , ও যেন রাধারানীর চাকর হতে পারে।" এটাই তাঁর প্রার্থনা। তিনি অন্য কিছুর জন্য প্রার্থনা করতেন না। এবং তিনি আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন কিভাবে মৃদঙ্গ বাজাতে হয়। আমার মা ছিল বিরুদ্ধে। দুই শিক্ষক ছিল- একজন আমাকে এ-বি-সি-ডি শেখার জন্য, এবং একজন আমাকে মৃদঙ্গ শেখার জন্য। তাই একজন শিক্ষক অপেক্ষা করছিলেন এবং অন্য শিক্ষক আমাকে শিক্ষা দিয়েছিল যে কিভাবে মৃদঙ্গ বাজাতে হয়। তাই আমার মা রাগ করতেন যে, "এই অর্থহীনতা কি? তুমি মৃদঙ্গ শিক্ষা দিচ্ছ? এই মৃদঙ্গ দিয়ে ও কি করবে ? " তবে সম্ভবত আমার পিতা চেয়েছিলেন ভবিষ্যতে আমি একটি মহান মৃদঙ্গ বাদক হব। (হাসি) অতএব আমি আমার বাবার কাছে ঋণী। এবং আমি আমার বই, কৃষ্ণ বই, তার জন্য নিবেদিত । তিনি এটাই চাইছিলেন , তিনি চাইছিলেন আমি ভাগবতের প্রচারক হই, শ্রীমদ্ভাগবতের। এবং মৃদঙ্গ বাজাই আর রাধারানীর চাকর হই।

সুতরাং সকল পিতা মাতার এইরকম চিন্তা করা উচিত। অন্যথায় একজন বাবা এবং মা হওয়া উচিত না। এটা শাস্ত্রের আদেশ। শ্রীমদ্ভাগবতের , পঞ্চম অধ্যায়ে বলা হয়েছে, পিতা নস্যাত জননী নস্যাত গুরু নস্যাত সর্ব-জন নস্যাত (শ্রী.ভা.৫.৫.১৮)। এইভাবে সিদ্ধান্ত হচ্ছে ,না মচায়েত এ সামুপেতা মৃত্যুম(শ্রী.ভা.৫.৫.১৮)। যদি একজন তার শিষ্যকে উদ্ধার করতে না পারে... মৃত্যুর আসন্ন বিপদ থেকে, তবে তাকে একজন গুরু হওয়া উচিত নয়। যদি সে তা করতে না পারে তবে একজনকে বাবা বা মা হওয়া উচিত নয়। এইভাবে, কোন বন্ধু, কোন আত্মীয়, কোন বাবা, না...., যদি কেউ না শেখায় কীভাবে তার পক্ষকে মৃত্যুদণ্ডের পাঁয়তারা থেকে বাঁচাতে হবে । তাই সারা পৃথিবী জুড়ে সেই শিক্ষার অভাব রয়েছে। এবং সহজ জিনিস একজন এড়াতে পারেন জন্ম, মৃত্যু, বার্ধক্য এবং রোগের এই জড়াইয়া পড়া ,সহজভাবে শুধু মাত্র কৃষ্ণ চেতন হয়ে উঠার দ্বারা।